প্রতিদিন ওটস খাওয়ার উপকারিতা
ওটস একটি ক্লাসিক ব্রেকফাস্টের প্রিয় খাবার, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি কেবল সুস্বাদুই নয়? এই ছোট ছোট শস্যগুলোতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা আপনাকে সুস্থ, উজ্জীবিত এবং সারা দিন ভালো বোধ করতে সাহায্য করতে পারে। ওটমিল, স্মুদি বা বেকড খাবার- যেভাবেই উপভোগ করুন না কেন, ওটস আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় স্থান পাওয়ার যোগ্য।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন কর্তৃক প্রকাশিত ‘ওটসের স্বাস্থ্য-উপকারী বৈশিষ্ট্যের পর্যালোচনা’ শীর্ষক একটি গবেষণা অনুসারে, এতে বিটা-গ্লুকান রয়েছে যা গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ওটসকে উপকারী করে তোলে। হোল গ্রেইনস কাউন্সিলের মতে, ওটসের নিয়মিত ব্যবহার রক্তচাপ কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত, যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন ওটস কেন খাবেন-
১. পেট ভরিয়ে তৃপ্ত রাখে
ওটসে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেট ভরিয়ে রাখতে এবং তৃপ্ত বোধ করতে সাহায্য করে। এটি দুর্দান্ত ব্রেকফাস্ট হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি সারা সকাল ক্ষুধা নিবারণ করতে চান। ওটসের ফাইবার ধীরে ধীরে হজম হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং মধ্যাহ্নে খাবারের ক্ষুধা রোধ করে।
২. ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ
ওটস হলো শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি পাওয়ার হাউস। এতে প্রচুর আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাড়কে শক্তিশালী করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। দৈনন্দিন রুটিনে ওটস যোগ করলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারে।
৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
ওটস হজম স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। ওটসে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার নিয়মিত মলত্যাগকে উৎসাহিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজম ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে সচল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে, আপনাকে হালকা এবং আরামদায়ক বোধ করতে কাজ করে। ওটস স্বাস্থ্যকর হজমে সহায়তা করার একটি প্রাকৃতিক উপায়।
৪. হৃদরোগ দূরে রাখে
ওটসে বিটা-গ্লুকান থাকে, একটি দ্রবণীয় ফাইবার যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমিয়ে সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতে কাজ করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ওটসকে আপনার খাদ্যতালিকায় একটি সহজ এবং কার্যকর সংযোজন করে নিন।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ওটসের ফাইবার আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। যেহেতু ওটসের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি রক্তে শর্করার বৃদ্ধি ঘটায় না। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
|
ওটস একটি ক্লাসিক ব্রেকফাস্টের প্রিয় খাবার, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি কেবল সুস্বাদুই নয়? এই ছোট ছোট শস্যগুলোতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা আপনাকে সুস্থ, উজ্জীবিত এবং সারা দিন ভালো বোধ করতে সাহায্য করতে পারে। ওটমিল, স্মুদি বা বেকড খাবার- যেভাবেই উপভোগ করুন না কেন, ওটস আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় স্থান পাওয়ার যোগ্য।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন কর্তৃক প্রকাশিত ‘ওটসের স্বাস্থ্য-উপকারী বৈশিষ্ট্যের পর্যালোচনা’ শীর্ষক একটি গবেষণা অনুসারে, এতে বিটা-গ্লুকান রয়েছে যা গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ওটসকে উপকারী করে তোলে। হোল গ্রেইনস কাউন্সিলের মতে, ওটসের নিয়মিত ব্যবহার রক্তচাপ কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত, যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন ওটস কেন খাবেন-
১. পেট ভরিয়ে তৃপ্ত রাখে
ওটসে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেট ভরিয়ে রাখতে এবং তৃপ্ত বোধ করতে সাহায্য করে। এটি দুর্দান্ত ব্রেকফাস্ট হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি সারা সকাল ক্ষুধা নিবারণ করতে চান। ওটসের ফাইবার ধীরে ধীরে হজম হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং মধ্যাহ্নে খাবারের ক্ষুধা রোধ করে।
২. ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ
ওটস হলো শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি পাওয়ার হাউস। এতে প্রচুর আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাড়কে শক্তিশালী করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। দৈনন্দিন রুটিনে ওটস যোগ করলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারে।
৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
ওটস হজম স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। ওটসে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার নিয়মিত মলত্যাগকে উৎসাহিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজম ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে সচল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে, আপনাকে হালকা এবং আরামদায়ক বোধ করতে কাজ করে। ওটস স্বাস্থ্যকর হজমে সহায়তা করার একটি প্রাকৃতিক উপায়।
৪. হৃদরোগ দূরে রাখে
ওটসে বিটা-গ্লুকান থাকে, একটি দ্রবণীয় ফাইবার যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমিয়ে সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতে কাজ করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ওটসকে আপনার খাদ্যতালিকায় একটি সহজ এবং কার্যকর সংযোজন করে নিন।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ওটসের ফাইবার আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। যেহেতু ওটসের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি রক্তে শর্করার বৃদ্ধি ঘটায় না। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
|
|
|
|
রোজার ক্লান্তি অনেকটাই দূর করে দিতে পারে তরমুজের মতো সুস্বাদু ও রসালো ফল। এই ফলের প্রায় নব্বই ভাগ পানি। তাই ইফতারে নিয়মিত তরমুজ খেলে শরীরে পানির ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়। ইফতারে রাখতে পারেন তরমুজ দিয়ে তৈরি নানা ধরনের পানীয়। যেগুলো ইফতারে পান করলে আপনি সতেজ বোধ করবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই ২টি পানীয় তৈরির রেসিপি-
তরমুজ-কমলার জুস প্রথমে তরমুজের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার বীজ আলাদা করে টুকরা করে নিন। ৪ কাপ টুকরা ব্লেন্ডারে দিন। এরপর খোসা ও বীজ ছাড়ানোর ৪টি কমলার রস মেশাতে হবে। আরও দিতে হবে পুদিনা পাতা কুচি, স্বাদমতো চিনি ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার পরিবেশন গ্লাসে পরিবেশন করতে হবে। যারা ঠান্ডা খেতে বেশি পছন্দ করেন তারা বরফের টুকরা মিশিয়ে নিতে পারেন।
তরমুজ স্মুদি বিভিন্ন ধরনের স্মুদি তো খাওয়া হয়ই, তরমুজ দিয়ে স্মুদি খেয়েছেন কখনো? ইফতারে খেতে পারেন তরমুজের স্মুদি। সেজন্য প্রয়োজন হবে দুই কাপ খোসা ও বীজ ছাড়ানো তরমুজের টুকরা, ১ কাপ দই, ১ টেবিল চামচ মধু, সামান্য দারুচিনির গুঁড়া, পুদিনা পাতা কুচি ও পরিমাণ মতো চিনি। এবার সব একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে কিছুটা পানি মেশাতে পারেন। এবার ইফতারে পরিবেশন করুন।
|
|
|
|
ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার মাস। হবেই বা না কেন? এ মাসকে ঘিরে রয়েছে কতশত দিবস। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) চকলেট ডে। মানে প্রিয়জনকে চকলেট দেওয়ার দিন আজ।
রোজ ডে দিয়ে শুরু হয় ভ্যালেন্টাইন উইক। এর পরে প্রোপোজ ডে পেরিয়ে আসে চকলেট ডে। প্রেমের সম্পর্ক মধুর করতে চাইলে প্রেমের নিবেদন চকলেট দিয়েই করুন।
চকলেট পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই আজকের দিনে সুযোগ বুঝে প্রিয় মানুষটিকে চকলেট দিতে পারেন। এদিকে গবেষণাতেও দেখা গেছে, চকলেটের স্বাদ মনের কষ্ট ভোলাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে আনন্দের অনুভূতিও বাড়ায়। এ ছাড়া ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে সবার মধ্যে দূরত্ব কমাতেই যেন এ দিবসের সৃষ্টি। তাই এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে সব বয়সী মানুষের কাছে।
তবে যারা সিঙ্গেল আছেন তারা হতাশ হবেন না। কারণ দিবসটি প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য হলেও আজকের দিনে নিজে কিনে দিতে পারেন চকলেট। কারণ চকলেট খাওয়ার জন্য কাপল পাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই সুযোগ পেলেই কিনে খেয়ে নিতে পারেন চকলেট।
ইতিহাস বলে, ১৯৫০ সাল থেকে জাপানে ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে চকলেট উপহার দেওয়ার প্রথা শুরু হয় মোরোজফ নামের এক চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানির হাত ধরে। তবে ওই দেশে কেবল প্রেমিকারাই চকলেট উপহার দেন পুরুষদের। এভাবেই শুরু হল চকোলেট ডের পথচলা। যা উনিশ শতক পার করে একুশ শতকেও সমান জনপ্রিয়।
৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় রোজ ডে (Rose Day)। এই দিনটিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে লাল গোলাপ ফুল উপহার দেন। ৮ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় প্রোপ্রোজ ডে (Propose Day)। এই দিনটিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে প্রেমের প্রস্তাব দেন।
৯ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় চকোলেট ডে (Chocolate Day)। ১০ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় টেডি ডে (Teddy Day) হিসেবে। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে টেডি বিয়ার উপহার দিয়ে থাকেন। ১১ ফেব্রুয়ারি প্রোমিস ডে (Promise Day) হিসেবে। এই দিনটিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে ভালোবাসা পালনের প্রতিশ্রুতি দেন। ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবছরই পালিত হয় হাগ ডে (Hug Day) হিসেবে। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ সান্নিধ্য অনুভব করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় কিস ডে (Kiss Day)। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরের ঠোঁটে চুম্বন করে বা চুমু দিয়ে (ফ্লাইং কিস) ভালোবাসাকে তুরীয় মাত্রায় অনুভব করেন।
আর, ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে ভ্যালেন্টাইন’স ডে। এই দিনটিতে একান্তে ভালোবাসা অনুভব করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা।
|
|
|
|
স্ট্রোক একটি ভয়ংকর সমস্যা, যার উপসর্গ অনেক সময় আগেভাগে বোঝা যায় না। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বড় ধরনের স্ট্রোক হওয়ার আগে কিছু উপসর্গ চোখে ফুটে ওঠে।
হঠাৎ কথা বলতে গিয়ে জিভ অবশ হয়ে যাওয়া, হাত তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া, শরীরের এক পাশ অসাড় হয়ে যাওয়া—এই ধরনের সমস্যাগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যে ঠিক হয়ে গেলেও, ভবিষ্যতে বড় স্ট্রোকের পূর্বাভাস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন না, যা প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ায়।
স্ট্রোকের আগাম লক্ষণ অনেক সময় চোখে প্রকাশ পায়। নিয়মিত চক্ষুপরীক্ষার মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রোক নিয়ে গবেষণা করছেন। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ নিউরোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় পল মিশেল উল্লেখ করেন, স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ চোখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যেমন, এক পাশের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, চোখের সামনে কালো ছাপ বা রেখা দেখা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া—এগুলোই প্রাথমিক লক্ষণ।
গবেষণায় প্রায় ৩,৫০০ জন ৪০-৫০ বছরের মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায়, যাদের চোখের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা দৃষ্টি ঝাপসা, তাদের অনেকেই পরে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।
কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক দিলীপ কুমার জানান, হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য কথা বলতে না পারা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়া বা চোখে অন্ধকার দেখা—এগুলো ‘ট্র্যানসিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ (টিআইএ) বা ‘মিনি স্ট্রোক’-এর লক্ষণ। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয় এবং এর প্রভাব চোখেও পড়ে। চোখের রক্তজালিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে চোখ লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া বা দৃষ্টি ঝাপসা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপও চোখের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
চিকিৎসক আরও জানান, উচ্চ রক্তচাপ থেকে গ্লুকোমা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। মারাত্মক উচ্চ রক্তচাপে ‘হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি’ হতে পারে, যেখানে রেটিনার রক্তনালিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার বলেন, ডায়াবেটিস থেকেও রেটিনোপ্যাথি হতে পারে। তবে হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি নির্ধারণে আরও কিছু লক্ষণ খেয়াল রাখতে হবে—যেমন, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, চোখের ওপরের পাতায় সাদা মাংসপিণ্ড দেখা দেওয়া, অকালেই ছানি পড়া, চোখের সামনে কালো পর্দা দেখার অনুভূতি বা চোখে ব্যথা। কখনও কখনও সরাসরি দেখা গেলেও আশপাশ ঝাপসা দেখার সমস্যাও হতে পারে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সূত্র: আনন্দবাজার
|
|
|
|
চুল পড়া অত্যন্ত জটিল সমস্যা। প্রতিনিয়ত এ কারণে হীনমন্যতায় ভোগেন অনেকেই। এমনকি হেয়ার ফলের কারণে টাকও পড়ে যায় অনেকের মাথায়। তাই এই সমস্যার সহজ সমাধান চান সবাই। চুল পড়া রোধ করতে অনেক ফলও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তেমনই একটি ফল পেয়ারা। এটা খেতে যেমন সুস্বাদু, পেয়ারার পাতায় রয়েছে নানা গুণাগুণ।
যা চুল পড়া রোধ করতেও ভালো কাজ করে। চুলের বৃদ্ধি উন্নত করতেও সহায়তা করে। পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
চলুন জেনে নেই চুল পড়া রোধে যেভাবে ব্যবহার করবেন পেয়ারা পাতা—
চুলে পেয়ারা পাতা লাগাতে একটি পাত্রে আধা লিটার পানি নিয়ে তাতে এক মুঠো পেয়ারা পাতা দিন। তারপর ২০ মিনিট সিদ্ধ করুন। এরপর পানি ফিল্টার করে ঠান্ডা হতে দিন। এবার এই পানি চুলে এবং মাথার ত্বকে সিরাম হিসেবে ব্যবহার করুন।
এ ছাড়াও, আপনি আপনার মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে এটি আপনার শ্যাম্পুতেও মিশিয়ে নিতে পারেন। চুল পড়া কমাতে বা লম্বা চুল চাইলে গোসলের ২ ঘণ্টা আগে বা রাতে এই পানি দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুন।
পেয়ারা পাতা চুলে ব্যবহার করতে, কিছু পাতা শুকিয়ে তারপর পাউডার তৈরি করুন। সেই পাউডার দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে লাগাতে পারেন। এর সঙ্গে দই ও ডিম মিশিয়ে নিতে পারেন।
|
|
|
|
স্ট্রোক একটি ভয়ংকর সমস্যা, যার উপসর্গ অনেক সময় আগেভাগে বোঝা যায় না। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বড় ধরনের স্ট্রোক হওয়ার আগে কিছু উপসর্গ চোখে ফুটে ওঠে।
হঠাৎ কথা বলতে গিয়ে জিভ অবশ হয়ে যাওয়া, হাত তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া, শরীরের এক পাশ অসাড় হয়ে যাওয়া—এই ধরনের সমস্যাগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যে ঠিক হয়ে গেলেও, ভবিষ্যতে বড় স্ট্রোকের পূর্বাভাস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন না, যা প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ায়।
স্ট্রোকের আগাম লক্ষণ অনেক সময় চোখে প্রকাশ পায়। নিয়মিত চক্ষুপরীক্ষার মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রোক নিয়ে গবেষণা করছেন। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ নিউরোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় পল মিশেল উল্লেখ করেন, স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ চোখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যেমন, এক পাশের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, চোখের সামনে কালো ছাপ বা রেখা দেখা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া—এগুলোই প্রাথমিক লক্ষণ।
গবেষণায় প্রায় ৩,৫০০ জন ৪০-৫০ বছরের মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায়, যাদের চোখের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা দৃষ্টি ঝাপসা, তাদের অনেকেই পরে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।
কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক দিলীপ কুমার জানান, হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য কথা বলতে না পারা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়া বা চোখে অন্ধকার দেখা—এগুলো ‘ট্র্যানসিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ (টিআইএ) বা ‘মিনি স্ট্রোক’-এর লক্ষণ। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয় এবং এর প্রভাব চোখেও পড়ে। চোখের রক্তজালিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে চোখ লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া বা দৃষ্টি ঝাপসা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপও চোখের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
চিকিৎসক আরও জানান, উচ্চ রক্তচাপ থেকে গ্লুকোমা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। মারাত্মক উচ্চ রক্তচাপে ‘হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি’ হতে পারে, যেখানে রেটিনার রক্তনালিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার বলেন, ডায়াবেটিস থেকেও রেটিনোপ্যাথি হতে পারে। তবে হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি নির্ধারণে আরও কিছু লক্ষণ খেয়াল রাখতে হবে—যেমন, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, চোখের ওপরের পাতায় সাদা মাংসপিণ্ড দেখা দেওয়া, অকালেই ছানি পড়া, চোখের সামনে কালো পর্দা দেখার অনুভূতি বা চোখে ব্যথা। কখনও কখনও সরাসরি দেখা গেলেও আশপাশ ঝাপসা দেখার সমস্যাও হতে পারে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সূত্র: আনন্দবাজার
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : হার্ট বা হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ দরকার হয়। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালী যদি বন্ধ হয়ে যায় এবং এর ফলে যদি রক্ত হার্টে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে হার্টের মাংসপেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। আর তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক। যে কেউ যে কোনও সময়ে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন। শরীরচর্চা না করা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের ৮টি লক্ষণ—
শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া: যদি আপনার শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটা খারাপ লক্ষণ। মূলত হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে পানি জমা-সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাস কষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
বুকে ব্যথা: সাধারণত বুকের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। আস্তে আস্তে সেই ব্যথা চোয়ালে অথবা বাম কাঁধ ও হাতে ছড়িয়ে পড়ে থাকে। এই রকম ব্যথা দেখা দিলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কাশি: আপনার যদি দীর্ঘ দিন কাশির সমস্যা থাকে, এবং তার সঙ্গে সাদা বা কিছুটা ঘোলাটে কফ বের হয়। তবে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে না। ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে হ্যাঁ, কাশি সব সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নাও হতে পারে। কফের সঙ্গে নিয়মিত রক্ত বের হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: যদি কাজ করার মধ্যেই আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তা হলে বুঝবেন হার্টের সমস্যা রয়েছে।
তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া: আপনি কি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কিছুক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে? তবে আপনি এখনই কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার প্রধান লক্ষণ এটি।
মাথা ব্যথা: যখনই প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, আমরা ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কি, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হলো প্রতিদিনের প্রচণ্ড মাথা ব্যথা?
অনিয়মিত পালস রেট: আপনি যদি অনেক বেশি নার্ভাস থাকেন বা কোথাও থেকে দৌড়ে আসেন আপনার পালস রেট ওঠা-নামা করতে পারে। তবে এটি যখন কোনও কারণ ছাড়াই হয়, তবে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের আগে এমনটা হয়ে থাকে।
|
|
|
|
দীর্ঘায়ু পাওয়ার চেয়ে এখন বেশি জরুরি সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেশিরভাগ বয়স্ক ব্যক্তি একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন। যদিও মানুষের আয়ুষ্কাল বা জীবনকাল বেড়েছে, তবুও অনেকেই এই বাড়তি সময় সুস্থভাবে কাটাতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘায়ু পাওয়ার চেয়ে এখন বেশি জরুরি সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে আধুনিক চিকিৎসা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবার কারণে। আগের তুলনায় এখন মানুষ অনেক বেশি দিন বাঁচছেন, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই দীর্ঘ জীবন কেমনভাবে কাটাচ্ছেন? অনেকেই দীর্ঘ জীবন কাটালেও তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে না, যার ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং স্বাস্থ্যসেবার খরচও বাড়ে। ইবমঁবস
গবেষণায় বলা হয়েছে, এখন মানুষের আয়ুষ্কাল (লাইফস্প্যান) ও সুস্থ জীবনকালের (হেলথস্প্যান) মধ্যে অনেক ফারাক তৈরি হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী এই ব্যবধান বর্তমানে প্রায় ৯.৬ বছর। অর্থাৎ, মানুষের জীবনের শেষ দশক প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা শারীরিক সমস্যায় কাটে। খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমস। যুক্তরাষ্ট্রে এ ব্যবধান আরও উদ্বেগজনক। সেখানে জীবনকাল এবং সুস্থ জীবনকালের মধ্যে ব্যবধান ১২.৪ বছর। অর্থাৎ, সেখানে মানুষ তাদের শেষ বয়সে অনেক বছর ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। গবেষকরা এটিকে `স্বর্ণযুগের` এক মর্মান্তিক বাস্তবতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে দীর্ঘ জীবনের বাড়তি সময় কষ্টের মধ্যে কাটছে। এছাড়া, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় বেশি বাঁচে, কিন্তু তাদের অতিরিক্ত সময়ের বেশিরভাগই অসুস্থতায় কাটে। বিশ্বব্যাপী এই ব্যবধান নারীদের জন্য ২.৪ বছর বেশি এবং জার্মানিতে এটি ৩.৬ বছর।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, মাদকাসক্তি, আর্থ্রাইটিস (হাড়ের ক্ষয়), পিঠের ব্যথা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে এই ব্যবধান তৈরি হচ্ছে। নারীরা এসব সমস্যায় বেশি ভুগছেন, যা তাদের দীর্ঘ জীবনকাল এবং সুস্থ জীবনকালকে আরও বিভক্ত করে ফেলছে। গবেষকরা বলছেন, যেসব দেশে গড় আয়ু বেশি, সেসব দেশেই আয়ুষ্কাল এবং সুস্থ জীবনকালের মধ্যে ব্যবধান আরও বড় হচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে জীবনকাল বাড়লেও, পরবর্তী জীবনের স্বাস্থ্য মান উন্নত হয়নি। তাই সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করার দিকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
|
|
|
|
প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলেই ভারি বুক হালকা হয়, কিংবা মনটা একটু বেশিই চনমনে হয়ে ওঠে—এ কথা অস্বীকার সুযোগ নেই। জড়িয়ে ধরা কেবল ভালোবাসার প্রকাশ নয়, এটি মানসিক শান্তি, স্বস্তি এবং সংযোগের প্রতীক। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, আলিঙ্গন মানুষকে মানসিক চাপ কমাতে, সম্পর্কের বন্ধন মজবুত করতে এবং সুখ বাড়াতে সহায়তা করে।
প্রিয়জনকে কম-বেশি সবাই-ই জড়িয়ে ধরি। এই জড়িয়ে ধরাটা বিশ্বাস, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও স্নেহের অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে।
আজ ৩ ডিসেম্বর। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন বা ‘লেটস হাগ ডে’। এ দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়। দিবসটি কবে থেকে ও কী কারণে পালন করা শুরু হয়, সে বিষয়ে তেমন সুস্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
যতদূর জানা গেছে, কেভিন জাবর্নি নিামক এক ব্যক্তি এই দিনের পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তিনি জনসমক্ষে একে অপরের প্রতি স্নেহ দেখাতে লোকেদের উত্সাহিত করতেই প্রথম জাতীয় আলিঙ্গন দিবস উদযাপন করেন।
দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো, একে অপরের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা; যা আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে।
জানলে অবাক হবেন, আলিঙ্গনের ফলে মানসিক চাপ কমে যাওয়ার প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন সুস্থতার ক্ষেত্রেও পড়ে। আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট একাডেমিক পাবলিশিং কোম্পানি প্রকাশিত সেজ জার্নালস চার শতাধিক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর একটি গবেষণা করে। গবেষকেরা সেখানে দেখেন, আলিঙ্গন কোনো ব্যক্তির অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস করতে পারে। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি আলিঙ্গন পেয়েছেন, তাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম ছিল।
হয়তো আদিকাল থেকেই মানুষের মধ্যে জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গনের আনন্দ আবিষ্কৃত হয়েছিল, যখন মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে যে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরা কতটা মধুর। যেভাবেই দিবসটির শুরু হোক না কেন, আজও এটি বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা ও মমতা প্রকাশের একটি উপায় হিসেবে বিদ্যমান।
মজার বিষয় হলো, জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গন একটি সর্বজনীন ভালোবাসার প্রকাশ। যখন বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অভিবাদনের ধরন পরিবর্তিত হয়, যেমন—করমর্দন, নমস্কার বা হাই-ফাইভ, তখন আলিঙ্গন প্রায় সব সংস্কৃতিতেই ভালোবাসা ও সংযোগ প্রকাশের সাধারণ মাধ্যম হিসেবে দেখা যায়। মানুষের সুস্থ এবং সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য আলিঙ্গন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশেষত সদ্যোজাত শিশুদের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে শিশুরা ছোটবেলায় আলিঙ্গন বা স্নেহলাভ পায় না, তারা সাধারণত সুস্থ এবং ভালোবাসা-ঘেরা শিশুদের মতো সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে না।
তবে কেবল শিশুরাই নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও আলিঙ্গনের সুফল পেতে পারে। আসলে, বহু গবেষণায় দেখা গেছে যে আলিঙ্গন কেবল মানসিক ও আবেগগত দিক থেকেই নয়, শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্যও উপকারী।
তাই লজ্জা নয়—প্রস্তুত হন এবং ‘জড়িয়ে ধরা দিবস’-এ কাউকে জড়িয়ে ধরুন!
সূত্র্র: ডে’জ অব দ্য ইয়ার
|
|
|
|
ফল খাওয়ার মানে হলো পুষ্টির পাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন কমানোর একটি স্মার্ট উপায়। ফলে থাকে প্রচুর পুষ্টি, কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার, যা ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত। সঠিক সময়ে এবং সঠিক উপায়ে ফল খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো সহজ হতে পারে। ফিটনেসের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই পদ্ধতির জন্য ফলকে আপনার সুষম খাদ্যের একটি অংশ করে নিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ফলগুলো আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে-
পেয়ারা
ফাইবার, ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ পেয়ারায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৬৮ ক্যালোরি থাকে। উচ্চ ফাইবার উপাদান তৃপ্তি বৃদ্ধি করে, অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। এর কম গ্লাইসেমিক সূচক রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, এটি ওজন ব্যবস্থাপনার জন্য আদর্শ। ক্ষুধা নিবারণের জন্য এই ফল সকালের নাস্তা বা মধ্য দুপুরে খেতে পারেন। এক চিমটি বিট লবণের সঙ্গে বা সতেজ সালাদ উপাদান হিসেবে কাঁচা খান।
পেঁপে
পেঁপেতে ক্যালোরি কম (১০০ গ্রাম প্রতি ৪৩ ক্যালোরি) এবং ভিটামিন এ এবং সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পাপাইনের মতো পাচক এনজাইম বেশি। এনজাইমগুলো হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা প্রতিরোধ করে, এতে থাকা পানি এবং ফাইবার উপাদান দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। এটি সকালের নাস্তায় বা খাবারের পরে মিষ্টি হিসেবে খেতে পারেন। তাজা পেঁপের টুকরো উপভোগ করুন বা এটি স্মুদিতে মিশিয়ে খান।
তরমুজ
৯০ শতাংশ তৈরি তরমুজে ভিটামিন এ এবং সি, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ প্রতি ১০০ গ্রাম ৩০ ক্যালোরি রয়েছে। তরমুজ হাইড্রেটেড এবং পরিপূর্ণ রাখে এবং ক্যালোরি গ্রহণ কমায়। তরমুজে থাকা সিট্রুলাইন ফ্যাট মেটাবলিজমেও সাহায্য করে। এটি মাঝ-সকালে বা একটি রিফ্রেশিং প্রাক-লাঞ্চ স্ন্যাক হিসাবে গ্রহণ করুন।তরমুজের জুস খেলে তাতে চিনি যোগ করা এড়িয়ে চলুন।
আপেল
আপেল ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৫২ ক্যালোরি থাকে। আপেলে থাকা ফাইবার ক্ষুধা নিবারণ করতে এবং অপ্রয়োজনীয় স্ন্যাকিং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাস্থ্যকরভাবে চিনির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে। সকালে বা সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে প্রথমে একটি আপেল খান। এটি কাঁচা খান বা ওটমিল বা দইয়ের সঙ্গে স্লাইস যোগ করুন।
কমলা
কমলায় ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ফাইবার থাকে, প্রতি ১০০ গ্রামে ৪৭ ক্যালোরি থাকে। এর কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার সামগ্রী পরিতৃপ্ত রাখে। কমলায় তাকা ভিটামিন সি বিপাক বাড়ায় এবং চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে। সকাল বা সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে কমলা খান। চিনি ছাড়াই তাজা বা জুস হিসেবে উপভোগ করুন।
|
|
|
|
আমেরিকান সাহিত্যিক রালফ ওয়াল্ডো এমারসন বলেছেন, বন্য বাতাস পান করার কথা। কেন বলেছেন? তার কারণ হচ্ছে, পানি পান করলে যেমন জীবনীশক্তি ফিরে আসে, বন্য বাতাস পান করলেও তাই। আক্ষরিক অর্থে বন্য বাতাস পান করা যায় না কিন্তু শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়, অনুভব করা যায়।
বনে কিছু সময় কাটানো বা কিছু সময় প্রকৃতির মাঝে মনে মনে হরিয়ে যাওয়াকে বলা হয় ‘শিনরিন ইয়োকু’ বা ফরেস্ট বাথিং। এ হলো প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভেসে যাওয়া। যদিও বাথিং বলতে গোসল করা বোঝায়, আর ফরেস্ট বাথিং বলতে বনের সৌন্দর্য, প্রকৃতির শব্দ, নিরবতা, স্পর্শ ও গন্ধ অনুভব করা বোঝায়। এর মাধ্যমে মূলত মনের গোসল হয়।
ফরেস্ট বাথিং কেন করবেন: জাপানিজ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, টানা দুই ঘণ্টা বনে কাটালে শরীর ও মনে পরিবর্তন আসে। রক্তচাপ কমে, হতাশা কমে, মনোযোগ বাড়ে আর স্মৃতিশক্তি ভালো হয়। এ ছাড়া বনের গাছ থেকে নির্গত ফাইটোনসাইড নামক রাসায়নিকের প্রভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ১৯৮০-র দশক থেকে জাপানের জনগণের স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য সরকারি ও উন্মুক্ত এমন সবুজাভ বনগুলোতে যাওয়ার রীতি শুরু হয়। এখনও এই রীতি চলমান। বরং আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ফরেস্ট বাথিং।
ফরেস্ট বাথিং আমাদের দৃষ্টি, শ্রবণ, স্বাদ, ঘ্রাণ এবং স্পর্শের ইন্দ্রিয়গুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির সংযোগ তৈরি করে দেয়। ফরেস্ট বাথিংয়ের জন্য একেবারে বনের কাছেই যেতে হবে, তা নয়। গাছের ছায়ায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে এবং জোরে জোরে শ্বাস গ্রহণ করলেও ফরেস্ট বাথিংয়ের অনুভূতি পেতে পারেন। এ ছাড়া চলে যেতে পারেন কোনো পার্কে।
ফরেস্ট বাথিং যেভাবে করবেন: রোদ, বৃষ্টি, শীত কিংবা কুয়াশা ভেজা প্রকৃতি বা গাছ স্পর্শ করে, হেলান দিয়ে বসে কিছু সময় নিরবতা পালন করতে পারেন। এ সময় চোখ বন্ধ করে পাতা নড়ার শব্দ শুনুন, পাখির কলতান শুনুন, কোনো পোকামাকড়ের হেঁটে যাওয়া অনুভব করুন। এরপর চোখ খুলে আকাশের দিকে তাকান। আলো ছায়ার লুকোচুরি দেখুন, কিছু পাতা স্পর্শ করুন। মাটির ছোঁয়া পেতে খালিপায়ে কিছু সময় হাঁটুন। দেখুন চারপাশের রং কীভাবে বদলে গেছে।
কর্মব্যস্ত জীবনে হাঁপিয়ে উঠলে ফরেস্ট বাথিং করতে পারেন।
|
|
|
|
সবাই ঘন, ঝলমলে চুল পছন্দ করে, তাই না? তবে আআজকাল চুল পড়া এবং পাতলা হওয়া বেশ সাধারণ হয়ে উঠেছে। মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, দূষণ এবং সঠিক পুষ্টির অভাব সবই এখানে ভূমিকা পালন করে। চুলকে সুস্থ রাখতে আমরা শ্যাম্পু থেকে শুরু করে তেল ব্যবহার- সব ধরনের জিনিস চেষ্টা করি। কিন্তু খাবারের তালিকায় শুধু একটি ছোট পরিবর্তন আপনার চুল সুন্দর ও সুস্থ রাখতে কাজ করতে পারে। বলছি পালং শাকের কথা। পালং শাক পুষ্টিগুণে ভরপুর যা শুধুমাত্র চুলের জন্যই নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও অসাধারণ। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর পালং শাক আপনার চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক পালং শাক চুলের জন্য কীভাবে উপকার করে-
১. আয়রন
আয়রনে সমৃদ্ধ পালং শাক রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মাথার ত্বকে প্রচুর অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত রাখে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও পালং শাকে ভিটামিন সি রয়েছে, যারোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যা আপনাকে সুস্থ রাখে এবং চুলকে শক্তিশালী করে।
২. ফোলেট
পালং শাকের ফোলেট কোষের বৃদ্ধিতে কার্যকরী। হ্যাঁ, এমনকী সেই কোষগুলোও বৃদ্ধি করে যা চুলের ফলিকল তৈরি করে। ফোলেটের ঘাটতির কারণে চুলের বৃদ্ধি ধীর বা পাতলা হতে পারে, তাই এই মাত্রাগুলি বজায় রাখা অপরিহার্য। পালং শাকে থাকা ফোলেট আপনার কাঙ্ক্ষিত চুল পাওয়া সহজ করে তোলে।
৩. ভিটামিন এ
ভিটামিন এ স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্পের জন্য একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। পালং শাকের ভিটামিন এ উপাদান সিবাম তৈরি করতে সাহায্য করে, যা মূলত মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল। এই তেল চুলকে ময়েশ্চারাইজ রাখে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প মানেই স্বাস্থ্যকর চুল। হিসাব সহজ!
৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
পালং শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল সুস্থ রাখার চেয়ে আরও বেশি কিছু করে; এটি আমাদের স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয় এবং ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।
|
|
|
|
শীতকাল অনেকেরই একটি প্রিয় ঋতু। শহরে সেভাবে এখনও শীতের আগমণ না ঘটলেও গ্রামের দিকে ভোর বেলা ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে যেমন লেবু শরবত উপকারী ঠিক তেমন শীতের দিনেও শরীর গরম রাখতে পারে বিশেষ কিছু খাবার। এসব খাবার শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই সময়ে কোন কোন খাবার শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে।
গবেষণা বলছে, শীতের সময়ে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। সেক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খাঁটি ঘি। রুটি বা ভাতের সঙ্গে অল্প পরিমাণ ঘি খেলে এই কনকনে শীতে শরীর গরম হবে । তবে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘি খাওয়া উচিত।
গরম ভাত, ডাল ও রুটির সঙ্গে সামান্য দেশি ঘি মিশিয়ে খেলেই উষ্ণ থাকে শরীর। পিত্তের সমস্যা মেটাতেও কাজে আসে দেশি ঘি।
শীতকালে শালগম, বীট, রাঙাআলু ও গাজরের মতো শাকসবজির স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। অথবা এগুলি রোস্ট করে খেলে শরীর শীতকালে উষ্ণ থাকে।
শীতকালে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে হলুদও। তরকারিতে হলুদ ব্যবহার করার পাশাপাশি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হলুদ মেশানো দুধ খেলেও তা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
শীত কমাতে ঘন ঘন কফিতে চুমুক না দিয়ে বরং আদা, তুলসি দিয়ে ফোটানো চা খান। এতে শরীরে যেমন আরাম পাবে, তেমনি শরীর গরম রাখতেও সাহায্য করবে।
দিনে কয়েকটা খেঁজুর খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে উষ্ণ রাখতে খুবই কার্যকরী।
শীতকালে শরীর গরম রাখতে শুকনো ফল অনেক কার্যকরী। এপ্রিকট, শুকনো ডুমুর, খেজুর, বাদাম ও কাজুর মতন শুকনো ফল আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখার পাশাপাশি শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। কারণ এগুলি প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টি, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ।
শীতে শরীর গরম রাখতে কাঠবাদাম, কাজুবাদামসহ বিভিন্ন ধরনের বাদাম চর্বির বিশেষ উৎস। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এসব খাবার।
ডিমে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন শরীরকে উষ্ণ করে তুলতে পারে। এই খাবারকে বলা হয় ‘শক্তির পাওয়ার হাউস’। এই শীতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন এই খাবার।
চিনে শরীরকে উষ্ণ রাখতে পেঁয়াজের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে চিনে পেঁয়াজকে ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। আপনি পেঁয়াজকে রোজকার খাদ্য তালিকায় রাখার পাশাপাশি স্যুপে মিশিয়ে বা সালাদেও ব্যবহার করতে পারেন।
আদা শরীরের তাপ বাড়াতে সাহায্য করার পাশাপাশি শীতকালে হওয়া সর্দি-কাশি কমাতেও সাহায্য করে। বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। সাহায্য করে হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে। এজন্য অনেকে গরম জলে আদা মিশিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি আদা দেওয়া চা-ও খান।
শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য অনেকে তরকারিতে সর্ষে দেওয়ার পাশাপাশি গরম ভাতে কাঁচা সর্ষে বাটাও খান। এর ফলে খাবার সুস্বাদু লাগার পাশাপাশি শরীরের উষ্ণতাও বৃদ্ধি পায়। অনেকে স্নানের সময় শরীরে সর্ষের তেল মাখার পাশাপাশি পায়ের তালু ও হাতের তালুতে সর্ষের তেল মালিশ করেন। এতে শরীর উষ্ণ থাকে।
ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শীতকালে মধু খুবই উপকারি। সঙ্গে তুলসি পাতা খান অনেকে। এতে সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। বাড়ে হজম ক্ষমতাও। ভালো রাখে ত্বকও।
শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে গুড়। এটি শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। খাবার পর অল্প পরিমাণে খেলেই এর কাজ বোঝা যায়।
শীতকালে শরীর ভেতর থেকে উষ্ণ রাখার জন্য কলা খেতে পারেন। এই ফলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি আপনার থাইরয়েড এবং অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিকে দারুণভাবে সচল রাখে। আর এই গ্রন্থিগুলো শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপনার সকালের খাবারে কলা রাখতে পারেন। আবার বিকেলে নাস্তা হিসেবে বাদাম ও মাখনের সাথে কলা খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কলা এমন একটি খাবার যা শরীরের তাপ বাড়ায়।
আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে মরিচ বা মরিচের মতো মশলাদার খাবার শরীরের তাপ বাড়ায় না। কিন্তু খাওয়ার সময় গরম অনুভব হতে পারে। অন্যদিকে জিরা একটি মশলাদার ভেষজ যা নিয়মের ব্যতিক্রম। এটি মরিচ বা মরিচের মতো তীব্র মশলা নয় কিন্তু আপনার খাবারে জিরা যোগ করলে ধীরে ধীরে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
শীতকালে পিপাসা না পেলেও শরীরে কিন্তু পানির চাহিদা রয়ে যায় আগের মতোই। শরীরে বিপাকক্রিয়া এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণের প্রয়োজন। কম পরিমাণে পানি গ্রহণ করলে ইউরিন ইনফেকশন কিংবা শরীর ডিহাইড্রেট হতে পারে। শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিস্বল্পতা হলে ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকে। সুস্থ ত্বক ও সুস্থ চুল পেতে হলে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
|
|
|
|
খাবার খেলেই ওজন বাড়বে! দৈনন্দিন খাওয়ার সময় এই বিষয়টি মাথায় ঘুরপাক করে। কিন্তু সুস্থ ও সুন্দর থাকতে হলে সুষম খাবার খেতে হবে। ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলেও সঠিক নিয়ম মেনে, সঠিক পরিমাপে খাবার খেতে হবে। কী খাচ্ছেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছেন তা-ও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একই সময়ে অধিক খাবার না খেয়ে অল্প করে বার বার খাবার খেলে শরীরে তেমন মেদ জমে না।
এই বিষয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানান, প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর খাবার খাওয়া উচিত। একবারে ভারী খাবার না খেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খেলেই হজম ভালো হবে। শরীরে মেদও জমবে না। শম্পার পরামর্শ, সকালের খাবার বাদ দিয়ে তারপরের বেলায় চর্ব-চোষ্য খেয়ে ফেললে কোনো লাভই হবে না। অনেকেই ভাবেন যে, বার বার খেলে মেদ জমবে। এটি সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। দিনে তিন বার ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ছয়বার অল্প অল্প করে খেলে তবেই শরীর ঠিক থাকবে। সকাল, দুপুর ও রাত, এই তিনবেলার খাবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাঝের সময়েও একেবারে পেট খালি রাখলে চলবে না। বেশিক্ষণ পেট খালি থাকলে গ্যাস-অম্বলের ভয় থাকে। এ পুষ্টিবিদ জানান, প্রতিটি খাবারের মধ্যে অন্তত ২-৩ ঘণ্টার পার্থক্য থাকতে হবে। হালকা খাবার কয়েক ঘণ্টা পর পর খেতে হবে। যেমন, সকালে দুধ-কর্নফ্লেক্স বা ওট্স খেলে ‘মিড মর্নিং’-এ মৌসুমি ফল বা একমুঠো বাদাম খেতে হবে। আবার দুপুরের খাওয়ার পর সেই রাতে খেলে চলবে না। তার মাঝে বিকেলে হালকা টিফিন করতে হবে। সে সময় ছাতু, বাদাম, শুকনো ফল খেতে পারেন। ভাজাপোড়া, মচমচে স্ন্যাকস একেবারেই খাওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, কতক্ষণ পর পর খাওয়া জরুরি তা শরীরের বিপাক হারের উপর নির্ভর করে। সকালে কখন উঠছেন, শারীরিক পরিশ্রম কতটা, শরীরচর্চার অভ্যাস রয়েছে কি না, এই বিষয়গুলি খাওয়াদাওয়া এবং তার সময়ের উপর নির্ভর করে। তবে সময় মেপে খাওয়া খুব জরুরি।
|
|
|
|
বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। আর এই বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দু’জন মানুষ একসঙ্গে, একই ছাদের তলায় বসবাস শুরু করেন। বিবাহিত জীবনের সূচনা ঘটে সংসারের মাধ্যমে। আর একই সংসারে বসবাসকালে দু’জনের মধ্যে নানা বিষয়ে ঝামেলা হতে পারে। শুধু মতামতের অমিল নয়, কখনো কখনো দেখা দেয় শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণেও সম্পর্কে ফাটল ধরে।
এজন্য বিয়ের আগে হবু বর-কনের উচিত কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করানো। এতে বিরক্ত বা রাগান্বিত হওয়ার কিছু নয়, বরং সচেতন মানুষ হিসেবে ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে প্রতিটি হবু দম্পতিরই উচিত কয়েকটি টেস্ট করানো। জেনে নিন কী কী-
রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা হবু বর ও কনের রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি। কারণ স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকলে গর্ভাবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে বিয়ের আগে দু’জনেরই আরএইচ ফ্যাক্টর একই হওয়া দরকার।
থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা বিয়ের আগে হবু বর ও কনের থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষাও জরুরি। দু’জনের মধ্যে একজনের শরীরেও যদি এই রোগ থাকে তাহলে সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
ব্লাড ডিসঅর্ডার পরীক্ষা বিয়ের আগে নারীর ব্লাড ডিসঅর্ডার পরীক্ষা করানো উচিত। এই পরীক্ষা করালে জানা যাবে হবু কনে রক্তাল্পতায় ভুগছেন কি না। কারণ সন্তান ধারণের জন্য শরীরে রক্তের পরিমাণ ঠিক থাকা দরকার।
নারীর ওভারি পরীক্ষা জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের কারণে অনেক নারীই ওভারির নানা সমস্যায় ভোগেন। তাই বিয়ের আগে নারীর ওভারি টেস্ট করানো প্রয়োজন। ওভারিতে সমস্যা থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণু তৈরির পরিমাণও কমতে শুরু থাকে। এক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা ভবিষ্যতে সন্তান হবে কি না তা জানতে হবু বর ও কনে দু’জনেরই বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষের ক্ষেত্রে স্পাম টেস্ট করালে শুক্রাণুর স্থিতি ও কাউন্ট কতটা আছে তা জানা যায়। সময় থাকতে থাকতে এর চিকিৎসাও করা সম্ভব।
এসটিডি পরীক্ষা নারী-পুরুষ উভয়েরই এসটিডি বা যৌন রোগের পরীক্ষা করা উচিত। বিয়ের আগে একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক থাকলে এই পরীক্ষার মাধ্যমে তা জানা যায়।
এইচআইভি বিয়ের আগে হবু বর ও কনের এইচআইভি পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে রক্ত, শরীরের সিরাম নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা রোধকারী ভাইরাসের উপস্থিতি জানা যায়।
এইচআইভি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এই ভাইরাস শরীরে থাকলে তার থেকে এইডস পর্যন্ত হতে পারে। অনেকেই আগে থেকে শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পান না।
ফলে ওই ব্যক্তি যৌন সম্পর্ক করলে তা সঙ্গীর শরীরে এমনকি গর্ভের সন্তানেরও হতে পারে এইডস। যদি হবু বর বা কনের কারও এইচআইভি সংক্রমণ থাকলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও কয়েকবার ভাবা উচিত।
মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা একটি সুখী দাম্পত্য জীবন গড়তে দু’জনকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। বর্তমানে অনেকেই মানসিক নানা সমস্যায় ভোগেন।
কেউ হয়তো অতিরিক্ত রাগ করেন, আবার কারও সন্দেহপ্রবণতা বেশি, হঠাৎ হতাশ হয়ে পড়া, অবসন্নতা ইত্যাদি সমস্যা মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। তাই বিয়ের পর ঝামেলা এড়াতে সঙ্গীর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে মেন্টাল হেলথেও যাচাই করুন।
জেনেটিক টেস্ট বিয়ের আগে হবু বর ও কনে উভয়েরই জেনেটিক পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এই পরীক্ষা করলে জানা যাবে আপনার হবু সঙ্গীর কোনো জিনঘটিত সমস্যা আছে কি না।
|
|
|
|
বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে বাঁচতে হলে হাত ধোয়ার বিকল্প নেই। কারণ বারবার চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করলে হাতে থাকা জীবাণু সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে অপরিচ্ছন্ন হাত থেকে জীবাণুগুলো খাবার ও পানীয়তে প্রবেশ করে। তাই মুখে-চোখে হাত দেওয়ার আগে বা খাওয়ার আগে ও পরে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া জরুরি।
আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ‘গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং দিবস’। রোগ প্রতিরোধ ও জীবন বাঁচানোর কার্যকর ও সাশ্রয়ী উপায় হিসেবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যেই পালিত হয় এই দিবস।
নিয়মিত হাত ধুলে কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমে? ১. সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ফলে ডায়রিয়াজনিত রোগ ৩০ শতাংশ কমে যায়। ২. এই অভ্যাস তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। ৩. কলেরা, ইবোলা, শিগেলোসিস, সার্স, হেপাটাইটিস ই ও কোভিড-১৯ এর মতো প্রাদুর্ভাব-সম্পর্কিত প্যাথোজেনগুলোর সংক্রমণ কমাতে হাত ধোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৪. হাত পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বিস্তার কমে। ৫. গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে। ৬. হাসপাতাল থেকে ছড়ানো বিভিন্ন সংক্রমণ (এইচএআইএস) এর বিস্তার রোধ করে। ৭. শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাত ধোয়ার অভ্যাস স্কুলে অনুপস্থিতির হারও কমাতে পারে। ৮. নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস থাকলে উত্পাদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। ৯. স্কুলছাত্রীদের মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিতি ২৯-৫৭ শতাংশ কমে। ১০. ছোট থেকেই শিশুর হাত ধোয়ার অভ্যাস তার বিকাশ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
সংসারে অর্থ নিয়ে অশান্তি এড়াতে করণীয় অ্যালার্জি থেকে মুক্তি মিলবে কীভাবে? কখন হাত ধোবেন? >> খাবার তৈরির আগে ও পরে >> খাবার খাওয়ার আগে ও পরে >> বমি বা ডায়রিয়ায় অসুস্থ এমন রোগীর যত্ন নেওয়ার আগে ও পরে >> কাটা বা ক্ষত চিকিৎসার আগে ও পরে >> টয়লেট ব্যবহারের পর >> ডায়াপার পরিবর্তনের পর বা টয়লেট ব্যবহার করা শিশুকে পরিষ্কার করার পর >> নাক পরিষ্কারের সময়, কাশি বা হাঁচির সময় মুখে হাত দিলে >> প্রাণীকে সংস্পর্শ করলে বা তাদেরকে খাওয়ানো ও বর্জ্য পরিষ্কারের পর >> আবর্জনা স্পর্শ করার পর >> চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করার আগে >> মাস্ক স্পর্শ করার পরে >> জনবহুল স্থান থেকে ফিরে
এছাড়া দরজার হাতল, টেবিল, গ্যাস পাম্প, শপিং কার্টসহ বিভিন্ন পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর সাবান-পানি বা ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
বেশ কয়েকটি গবেষণার তথ্যের ভিত্তিতে হাত ধোয়ার মূল সময়ের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য সাবান-পানি দিয়ে ভালে করে হাত ধুতে হবে।
কীভাবে হাত ধোবেন? ১. প্রথমে হাত পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। ২. তারপর সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করে হাতের পেছনে, আঙুলের ফাঁকে ও নখ ভালো করে পরিষ্কার করুন। ৩. কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য হাত স্ক্রাব করুন। ৪. এবার পরিষ্কার পানিতে হাত ধুয়ে নিন। ৫. সবশেষে পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে হাত শুকনো করে মুছে নিন।
সূত্র: সিডিসি
|
|
|
|
|
|
|
|