বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * শিয়া-সুন্নি দাঙ্গায় রক্তাক্ত পাকিস্তান, ১১ দিনে নিহত ১৩০   * ন্যায়-সুবিচারই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়, এটাই সত্যের সৌন্দর্য : তারেক রহমান   * ১৬৪ রানে প্রথম ইনিংস শেষ টাইগারদের   * “ফিজিক্স এডুকেশন ইন দি সেকেন্ডারি এন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল”শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত   * ইনার ঢাকা হুইল ক্লাব অব নাইটিঙ্গেল-এর অফিসিয়াল ভিজিট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত   * সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি বাহরাইনের মধ্যে ব্যবসায়িক সভা   * বর্তমান চ্যাম্পিয়নকে হারাল লিভারপুল   * আবারও জেতা ম্যাচ হারল রংপুর রাইডার্স   * সোনার দাম কমল ভরিতে এক হাজার ৪৮১ টাকা   * চ্যাম্পিয়নস ট্রফি : কঠিন শর্তে হাইব্রিড মডেলে রাজি হচ্ছে পাকিস্তান  

   অর্থ-বাণিজ্য -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি বাহরাইনের মধ্যে ব্যবসায়িক সভা

কাব্য সুলতানা : সম্প্রতি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি, বাহরাইনের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায়, উভয় ব্যাংকের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক, ভবিষ্যত পারস্পরিক সহযোগিতা বহুমুখীকরণ এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নের সুযোগসমূহ নিয়ে আলোচনা হয়।

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো: ছাদেক হোসাইন এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি, বাহরাইনের ইউরোপ হোলসেল ব্যাংকিং এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র রিলেশনশিপ ম্যানেজার জনাব ফাওয়াজ হামিদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন।

এছাড়াও সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাছুম উদ্দিন খান ও আবিদুর রহমান চৌধুরীসহ সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি’র অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি বাহরাইনের মধ্যে ব্যবসায়িক সভা
                                  

কাব্য সুলতানা : সম্প্রতি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি, বাহরাইনের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায়, উভয় ব্যাংকের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক, ভবিষ্যত পারস্পরিক সহযোগিতা বহুমুখীকরণ এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নের সুযোগসমূহ নিয়ে আলোচনা হয়।

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো: ছাদেক হোসাইন এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি, বাহরাইনের ইউরোপ হোলসেল ব্যাংকিং এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র রিলেশনশিপ ম্যানেজার জনাব ফাওয়াজ হামিদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন।

এছাড়াও সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাছুম উদ্দিন খান ও আবিদুর রহমান চৌধুরীসহ সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি’র অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সোনার দাম কমল ভরিতে এক হাজার ৪৮১ টাকা
                                  

দেশের বাজারে সোনার দাম আবার কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৪৮১ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর সোনার দাম বাড়ানো হয়। তিন দিনের ব্যবধানে এখন কমলো সোনার দাম।

রোববার (১ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী সময়ে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪৮১ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৯৯৮ টাকা।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২০২ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১২ হাজার ২৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৬ টাকা বাড়িয়ে ৯২ হাজার ১৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ২৮ নভেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৬ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৪৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৮০৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৯৩ হাজার ১৬০ টাকা। আজ রোববার পর্যন্ত এ দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনা।

পদোন্নতির দাবিতে আজ মানববন্ধন করবে কৃষি ব্যাংকের ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা
                                  

মঈন মাহমুদ : পদোন্নতির দাবিতে নতুন করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা। আজ শনিবার সকালে কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এক লিখিত বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন আন্দোলনরত ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে পদোন্নতির এক দফা দাবিতে কৃষি ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন করেন তারা। তখন সাত কর্মদিবসের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ব্যাংকটির পক্ষ থেকে। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নামতে যাচ্ছেন তারা।

লিখিত বার্তায় আন্দোলনরত কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, গত ৬-৭ বছর বা এর বেশি সময় ধরে ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা কোন পদোন্নতি পাননি। যদিও ৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তারা তিন বছর পরপর নিয়মিত পদোন্নতি পাচ্ছেন। ফলে ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পদোন্নতিসহ অন্যান্য দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন বঞ্চিত কর্মকর্তারা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ১৪ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন করেন তারা। সেখানে উপস্থিত হয়ে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী ৩ বছর পরপর নিয়মিত পদোন্নতির আশ্বাস দেন। এতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন কর্মকর্তারা। কিছুদিন পরই কৃষি ব্যাংকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি পূরণ করেননি ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের দাবি।

লিখিত বার্তায় ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে পূর্বেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক এবং উপ মহাব্যবস্থাপকদের একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়ে সুকৌশলে আন্দোলন দমিয়ে রাখেন। এবার দাবি না মানলে কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি দেবেন তারা যা সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যহত করবে।

তেল-আলু-পেঁয়াজ ঊর্ধ্বমুখি, কিছুটা স্বস্তি চাল ও মুরগির
                                  

নতুন করে দাম না বাড়লেও চড়া দামে আটকে আছে ভোজ্যতেল, আলু ও পেঁয়াজ। তবে বাজারে স্বস্তির খবর হচ্ছে, আমনের নতুন চালের সরবরাহ শুরু হওয়ায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দামও কমেছে। অন্যদিকে, বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দামে তেমন প্রভাব পড়েনি। মাছের বাজারেও খুব বেশি পরিবর্তন নেই। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে নতুন আমন ধানের চাল আসায় দাম কেজিপ্রতি কমেছে ৩ থেকে ৪ টাকা। প্রতি কেজি মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা ও চায়না ইরি) ৫০ থেকে ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এ ধরনের চালের কেজি ছিল ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা।

বাজারে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় বিআর-২৮ ও পায়জাম চাল। এ ধরনের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৯ থেকে ৬২ টাকায়। এ মানের চালের দর গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। সে হিসাবে কেজিতে কমেছে সর্বোচ্চ ৩ টাকা। এ ছাড়া ৩ টাকার মতো কমে মিনিকেট বা চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকায়।

রামপুরা বাজারের এক চাল বিক্রেতা বলেন, এক সপ্তাহ ধরে আমনের নতুন চাল আসছে। এ কারণে দামও কমছে। তবে বাজারে বোতলজাত ভোজ্যতেলের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা গেছে। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায়নি। পাঁচ লিটারের বোতল থাকলেও বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দরে, অর্থাৎ ৮১৮ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে যা কেনা যেত ৭৯০ থেকে ৮১০ টাকায়।

খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। যে কারণে গত সপ্তাহে বেশি থাকলেও এখন পাম অয়েলের দাম লিটারে ১০ টাকার মতো কমেছে। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকার আশপাশের দরে। খোলা সয়াবিনের লিটার কিনতে খরচ হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৬৭ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না। যেসব কোম্পানির তেল পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোও চাহিদার তুলনায় কম। বিশেষত এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ খুবই কম।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ ও আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি ১১৫ থেকে ১২০, দেশি হাইব্রিডের কেজি ১১০ থেকে ১১৫ এবং ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৯৮ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতি কেজি নতুন আলু মানভেদে ৯০ থেকে ১১০ এবং পুরনো আলুর কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে বিক্রি হওয়া নতুন আলু ভারত থেকে আমদানি করা। স্থানীয় আলু খেত থেকে ওঠার আগ পর্যন্ত দাম কমার সুযোগ কম।

বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। তবে সে তুলনায় দামে প্রভাব পড়েনি। প্রতি কেজি গোল বেগুন ৭০ থেকে ১০০, লম্বা বেগুন ৬০ থেকে ৭০, মানভেদে শিম ৫০ থেকে ৮০, পটোল ৫০ থেকে ৬০, ঢ্যাঁড়স ৬০ থেকে ৭০, উচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি আকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, লাউয়ের পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মানভেদে কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৪০ টাকায়।

তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডিম-মুরগির দাম। আগের মতোই ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিমের ডজন বড় বাজারে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হলেও মহল্লার দোকানিরা বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা।

দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার
                                  

গত ১৫ দিনে বেড়েছে ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, হালনাগাদ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দেড় মাসের মধ্যে এই রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এ তথ্য।


এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দুই মাসের বিল পরিশোধের পর নভেম্বরের মাঝামাঝিতে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আকুর বিল পরিশোধ শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ৮৪৩ কোটি ৭০ হাজার ডলার বা ১৮ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু, প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করেছে।


সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার।


একই সময় বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৪৫ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার। তবে, নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখনও ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে।


প্রসঙ্গত, প্রতি দুই মাস পরপর আকুর বিল পরিশোধ করতে হয়। যার পরিমাণ প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। কম প্রয়োজনীয় বা বিলাসী পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার ফলে আমদানি ব্যয় কমে আসে। এর প্রভাব পড়ে আকু অঞ্চলের রিজার্ভেও। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসে বাংলাদেশকে এক দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।


নভেম্বর-ডিসেম্বরের আকু অঞ্চলের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে। সে সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার দেড় বিলিয়ন ডলার কমবে। অবশ্য তার আগে বর্তমান রিজার্ভ বেড়ে আবার ২০ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে এর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে থাকে।


আকু অঞ্চলের আমদানি-রপ্তানির ব্যয় নির্বাহ ছাড়া দৈনন্দিন ভিত্তিতে বিদেশি ঋণ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। সরকারের জরুরি আমদানি ব্যয় পরিশোধে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হবে। এর ফলে ডলার হ্রাস পেতে থাকে। অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ, অনুদান, প্রবাসী আয়ের নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ হিসাবে জমা হয়। মূলত, প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ধারা বজায় থাকায় গত ১৫ দিনে ৩০ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

চিন্ময় কৃষ্ণসহ ইসকনের ১৭ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ
                                  

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ইসকন বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে।


বৃহস্প‌তিবার (২৮ নভেম্বর) বিএফআইইউ দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে। সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


হিসাব জব্দ হওয়া ব্যক্তিদের নামে একক মালিকানা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট স্থগিত থাক‌বে। এসব হিসাবে আগামী ৩০ দিন কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। প্রয়োজনে হিসাব স্থগিতের সময় বাড়ানো যাবে।

হিসাব জব্দ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চন্ডিদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপী রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী এবং সজল দাস।

লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে। বিএফআইইউয়ের চিঠিতে হিসাব স্থগিত করা ব্যক্তিদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। যাদের হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তাদের হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য (দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী) চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

৬ ব্যাংককে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা, চাহিদা অনুযায়ী টাকা পাবেন গ্রাহকরা
                                  

সংকটে থাকা ৬ ব্যাংককে ২২ হাজার ৫০০ কো‌টি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে আগামী রোববার থেকে ব্যাংকগু‌লোতে টাকা পাবেন গ্রাহকরা। তবে চাহিদার চে‌য়ে বে‌শি অর্থ না তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


ব্যাংকগুলো হলো— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ‌্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।

বৃহস্প‌তিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এসব কথা জানান। এ সময় ব্যাংকগু‌লোর চেয়ারম্যানরা উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

গভর্নর বলেন, আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্য সহযোগিতা দিচ্ছি। আমানতকারীদের সুরক্ষার জন্য এটি দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে শাখাগুলোয় যে অস্থিরতা ছিল সেটি থেকে বেরিয়ে এসেছি। শাখাগুলোয় রোববার থেকে সবাই (গ্রাহক) নিজ নিজ চাহিদা অনুযায়ী টাকা পাবেন।


সিদ্ধান্ত প‌রিবর্তনের বিষয়ে গভর্নর জানান, আমি বলেছিলাম টাকা ছাপাব না। কিন্তু সেটা থেকে সাময়িকভাবে সরে এসেছি। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সেই টাকা তুলে নিয়ে আসব। কিন্তু মনিটরিং পলিসি আগের মতো টাইট থাকছে। এখানে নেট মানি ক্রিয়েশন হচ্ছে না। একদিকে সহায়তা করা হচ্ছে, অন্যদিকে বন্ডের মাধ্যমে তুলে নিচ্ছি। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী এই সহায়তা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাকে ডিপোজিটর ও মূল্যস্ফীতি দুটিই রক্ষা করতে হবে। টাকা ছাপাব না বলেছিলাম। কিন্তু মানুষের অবস্থানের কি পরিবর্তন হয় না?

আগের সরকারের সময়ে যেভাবে টাকা ছাপানো হয়েছে, তার সঙ্গে এর পার্থক্য কী, তা জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, ‘এসব ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। টাকা চুরি বন্ধ করা হয়েছে। সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে। সূচকগুলো নিয়মিত তদারকির মধ্যে আনা হয়েছে। বাচ্চারা ললিপপ চাইলে বাবারা যেমন দিতে থাকেন, আগে এভাবে টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক ইসলামী ব্যাংককে ছাপিয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এসব টাকার কোনো হিসাব মেলেনি।’

আমানতকারীদের উদ্দেশে গভর্নর বলেন, আমানতকারীদের টাকা নিরাপদে আছে, আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আপনারা যে ব্যাংকেই টাকা রেখে থাকুন নিরাপদে থাকবে, সমস্যা হবে না। আপনাদের যতটুকু টাকা প্রয়োজন ততটুকুই তুলুন। আমানতকারীর টাকা নিয়ে সমস্যা নেই, এ নিয়ে মাথাব্যথা আমাদের। আমানতকারীর টাকা সুরক্ষিত থাকবে। তবে একবারে একসঙ্গে সবাই টাকা উত্তোলন করতে গেলে কোনো ব্যাংকই টিকবে না।

বিসিকের ৩ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিদর্শনে শিল্প উপদেষ্টার মুন্সিগঞ্জ সফর
                                  

মঈন মাহমুদ : ২৬ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) তিনটি চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

এই সময় তার সাথে ছিলেন সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং বিসিক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন আহাম্মদ খান।
বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, বিসিক প্লাস্টিক শিল্প নগরী ও বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী
বিসিকের এই প্রকল্প ৩টি বাস্তবায়িত হলে পুরান ঢাকায় অবস্থিত কেমিক্যাল গোডাউনসমূহ, প্লাস্টিক কারখানাসমূহ এবং আরামবাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মুদ্রণ শিল্পসমূহ পরিবেশবান্ধব নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা সম্ভব হবে। এছাড়াও এই ৩টি শিল্পখাতে নিয়োজিত উদ্যোক্তাদের কর্ম পরিবেশ উন্নত হবে, দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, উপসচিব, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিসিকের পরিচালক, বিসিকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ, প্রকল্পের প্রকৌশলীসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
সফর শেষে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুততম সময়ে প্রকল্প ৩টি বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করেন এবং শিল্পখাতের উন্নয়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রকল্প ৩টি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন তিনি ।

এছাড়া, সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং বিসিক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন আহাম্মদ খান স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সুবিধা এবং সহায়তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এই সফর কেমিক্যাল, প্লাস্টিক এবং মুদ্রণ খাতের উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সকলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

নতুন খেলাপির ঝুঁকিতে ব্যবসায়ীরা
                                  

শিল্পোৎপাদন কমে যাওয়ায়। ব্যাহত হচ্ছে রপ্তানি আয়। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ নানামুখী চাপে ব্যবসা-বাণিজ্যে চলছে স্থবিরতা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের নীতিমালা পরিবর্তনের ফলে ঋণ পরিশোধের সময় কমে এসেছে। এই অবস্থা নতুন করে ঋণখেলাপি হওয়াসহ নানামুখী চাপের মুখে ব্যবসায়ীরা।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ব্যাংক খাতে ব্যাপক লুটপাটে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। লুটপাটের টাকার বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ওই সব টাকা এত দিন খেলাপি করা হয়নি। এখন সেগুলো খেলাপি হচ্ছে। আগে খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য আড়াল করে কমিয়ে দেখানো হতো। এখন সব তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণে আগামী মার্চের মধ্যে সব ধরনের ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালা কঠোর করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে দেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। নিয়ম অনুযায়ী খেলাপির বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে গিয়ে মূলধন ঘাটতি বাড়ছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর এ হার বেশি।

‘দেশের শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট সমাধানের পথ’-শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে পোশাক খাতে ৩০-৩৫ শতাংশ উৎপাদন কমেছে। স্টিল কারখানায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে ২৫-৩০ শতাংশ। সিরামিক কারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে। ডিজেল ব্যবহার ও শ্রমিকদের বাড়তি কাজের জন্য খরচ বেড়ে গেছে। পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন ক্ষুদ্র শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের ডিজেল জেনারেটর চালানো সম্ভব নয়। ফলে প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষুদ্র শিল্প বন্ধের পথে।

তিনি বলেন, শিল্প খাতে গাসের চাহিদা ১০০ কোটি ঘনফুটের মতো। কিন্তু এখন দেওয়া হচ্ছে ৫০ কোটি ঘনফুট। গত দুই বছরে শিল্প খাতের জ্বালানির চাহিদা বাড়েনি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসংকটে শিল্প খাতে বিপর্যয় নেমেছে। গত কয়েক মাসে কয়েক শ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। রপ্তানি আয় কমেছে। বিনিয়োগ থমকে আছে। কর্মসংস্থান বাড়ছে না। শিল্প খাত না বাঁচলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি থেমে যাবে। তাই শিল্পের গ্যাস-বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে। তবে সরকার বলছে, তারা শিল্পের জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় বিশেষ জোর দিয়েছে। শিল্পাঞ্চলগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে অনুসন্ধানে জোর দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে একধরনের অনিশ্চয়তা চলছে। আগামী এক-দেড় বছরে রাজনীতি কোন দিকে যায়, তা নিয়ে চিন্তায় আছেন ব্যবসায়ীরা। আবার কারা ক্ষমতায় যেতে পারে, তাও তারা বিবেচনায় রাখছেন। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে ব্যবসায়ীদের আস্থায় আনতে হবে।

তিনি আরও জানান, ১০০ দিনের মধ্যে বিনিয়োগ পরিবেশে পরিবর্তন হবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান হবে-এমন আশা করা বাস্তবসম্মত নয়। আগের সরকারের দোসরদের মধ্যে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন। তাদের অনেকেই পালিয়ে গেছেন কিংবা জেলে গেছেন। এসব প্রতিষ্ঠান এখন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খেলোয়াড় পরিবর্তন করলেই যে বিনিয়োগ বাড়বে, তা নয়।

বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। জ্বালানি খাতের দুর্নীতির কারণে মূল্যবৃদ্ধি পায়, যা ভোক্তা বা ব্যবসায়ীর ঘাড়ে পড়ে। এ খাতে দুর্নীতি কমাতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে খেলাপি ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা বা ৯ শতাংশ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নেওয়া ঋণখেলাপি চিহ্নিত হতে শুরু করায় এভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া অবলোপনকৃত ঋণ ৬০ হাজার কোটি, অর্থঋণ আদালতে আটকা দুই লাখ ৭৮ হাজার কোটি। আদালতে রিট করার মাধ্যমে স্টে অর্ডার নেওয়া ৭৬ হাজার কোটি টাকাও আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী খেলাপির খাতায় যুক্ত হবে। তাই আগামী বছর প্রকৃত হিসাবায়ন করলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নীতি সুদহার বাড়া মানে ব্যাংকঋণের সুদহার বাড়া। নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে সেটা আরো বেড়ে গেছে। এখন নতুন বিনিয়োগ তো দূরের কথা, টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত ব্যবসায়ী সমাজ। যখন ব্যাংকের সুদহার বেড়ে যায় তখন সব হিসাব ওলটপালট হয়ে যায়। কারণ কিস্তির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং মুনাফার হার কমে আসে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের গলা টিপে হত্যা করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এত দিন ছয়টি কিস্তি দিতে না পারলে একজন গ্রাহক খেলাপিতে পরিণত হতো। গত সেপ্টেম্বর থেকে তিনটি কিস্তি পরিশোধ না করতে পারলে খেলাপি করার শর্ত দেওয়া হয়েছে। আবার আগামী মার্চ (২০২৫) মাস থেকে একটি কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলেই খেলাপি করা হবে।

এদিকে, ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়নের মানুষিক চাপে রয়েছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম চালানোর জন্য ন্যূনতম রক্ষিতব্য মূলধন (এমসিআর) ও ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফার (সিসিবি) থাকতে হবে তাদের মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ ও আড়াই শতাংশ হারে।

সেই সঙ্গে মূলধন ও দায়ের মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য রক্ষায় ব্যাসেল-৩ কাঠামোর আলোকে ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে ২০১৫ সাল থেকে ন্যূনতম ৩ শতাংশ লিভারেজ অনুপাত (এলআর) সংরক্ষণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়, যা ২০২৩ সাল হতে বার্ষিক দশমিক ২৫ শতাংশ হারে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধিপূর্বক ২০২৬ সালে ৪ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী ২০২৪ সালের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোকে লিভারেজ অনুপাত ন্যূনতম সাড়ে ৩ শতাংশ হারে সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

লাখ ডলার ছোঁয়ার পথে বিটকয়েন
                                  

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম বাড়ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম এক লাখ ডলার ছুঁয়ে ফেলবে।

চলতি বছরে এরইমধ্যে বিটকয়েনের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এর মূল্য বেড়েছে ৪৫ শতাংশ।

নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর বিটকয়েনের দাম ৯৯ হাজার ৮০০ ডলারে ওঠার পর দাম কিছুটা কমে ৯৯ হাজার ৩৮৩ ডলারে দাঁড়ায়।

এবারের নির্বাচনী প্রচারণাতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলবেন। ওই নির্বাচনের পর মার্কিন কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত বিটকয়েনভিত্তিক তহবিলগুলোয় ৪০০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ হয়েছে।

হামদর্দ ও বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
                                  

সৌম্য মাহমুদ : হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে রোগী পরিসেবা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। হামদর্দের পক্ষে হামদর্দের চীফ মোতওয়াল্লী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ইউসুফ হারুন ভূইঁয়ার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন পরিচালক মার্কেটিং এন্ড সেলস্ হাকীম সাইফউদ্দিন মুরাদ।

বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের কর্পোরেট অফিসে অনুষ্টিত "সাইনিং সেরেমনি" অনুষ্ঠানে হামদর্দের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডা আবুল তৈমুর চৌধুরী, উপ-পরিচালক, মার্কেটিং, আবু মো. জাফর সাদেক, উপ-পরিচালক, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এন্ড রেগুলেটরি এফেয়ার্স এবং মার্কেটিং বিভাগের ঢাকাস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ আহমেদ জাহিদ হোসেন, এডিশনাল ডিরেক্টর,মেডিকেল সার্ভিস সহ কর্পোরেট বিভাগের অনান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হামদর্দের পক্ষ থেকে হামদর্দের কার্যক্রম এবং ন্যাচারাল মেডিসিনের উপযোগিতা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পক্ষ থেকেও তাদের সার্বিক সেবা কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়।

দুই দিন পর ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম
                                  

দুই দিন পর ফের দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি (১১.৬৬৪ গ্রাম) দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা।

নতুন এই দর আগামীকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। আজ শনিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মূল্য নির্ধারণের তথ্য জানানো হয়।

নতুন দর অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।

এদিকে, স্বর্ণের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি রুপা দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি রুপা ১ হাজার ৫৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবশেষ গত ২১ নভেম্বর স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। তখন এক ভরি স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ বেড়ে দাড়ায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। আজ পর্যন্ত এই দামেই স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে।

আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু
                                  

মৌসুমের শেষের দিকে বাজারে আলু সরবরাহ ঠিক আছে, তবুও সাড়ে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। ভারত থেকে ২১ টাকা ৬০ পয়সা কেজি দরে আলু আমদানি করা হচ্ছে। পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খরচ ও লাভসহ পণ্যটি পাইকারি সর্বোচ্চ ২৮ টাকা ও খুচরা সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা দরে বিক্রির কথা। কিন্তু বাজারে সেই আলু ৭৫ টাকা কেজি দরে কিনছেন ক্রেতারা।

আমদানির পাশাপাশি বাজারে আসতে শুরু করেছে কৃষকের নতুন আলু। অন্যদিকে আলু আমদানিতে শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবুও কমিশন বাণিজ্যে সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে হু হু করে আলুর দাম বাড়ছে।


জানা গেছে, এই সিন্ডিকেটের গাছ আমদানিকারকরা ও মুল শিকড় শ্যামবাজারের আড়তদার সিন্ডিকেট। আগে থেকেই অবৈধভাবে মুনাফা লাভের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা। আমদানিকারকরা কমিশনের মাধ্যমে আড়তদারদের দিয়ে আলু বিক্রি করান। আমদানিকারকরা সর্বোচ্চ ২১ টাকা ৬০ পয়সার আলুকে তারা দুই পর্যায়ে সিন্ডিকেট করে আড়তদারদের ৫৫-৬০ টাকা বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে। আড়তদাররা এই দামে আলু বিক্রি করছেন। ফলে এই আড়তি দামের আলু খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এদিকে দেশের হিমাগারগুলোতে চলছে আরেক সিন্ডিকেট। কোল্ড স্টোরেজে যারা আলু সংরক্ষণ করছেন, তারা এখন দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। যে কারণে আলুর দাম বেশি বেড়েছে। এখানে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী আছেন, যারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। পুরাতন আলু প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরের আলু হিমাগার পর্যায় থেকে দাম বাড়িয়ে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সেই আলু পাইকারি বাজার হয়ে খুচরা পর্যায়ে ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক মাস আগেও ৫৫-৬০ টাকা ছিল।


রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, শীত আসার আগে প্রতি বছর ২৫ টাকার নিচে নেমে আসে আলু। এ সময় এক কেজি আলু ৭৫ টাকা মানে, এটি একটি অরাজকতা। এগুলো কী দেখার কেউ নেই?

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘কোনো সরকারই বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল সিন্ডিকেট ভাঙবে। কিন্তু সেটাও দেখা যাচ্ছে না। সরকার গঠনের পর চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ায় হঠাৎ করে কিছু পণ্যের দাম কমেছিল। তবে কয়েকদিন পরই চাঁদাবাজির হাতবদল হওয়ায় ফের পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে পুরোনো সেই সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বাড়িয়েছে পণ্যের দাম। এতে নাজেহাল ভোক্তা।’


তিনি বলেন, পণ্যের দাম কে বাড়ায়, ‘কারা সিন্ডিকেট করে সরকারের কাছে সব তথ্য আছে। ব্যবস্থা নিতে পারলে দাম কমবে। তবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ভর করেছে সব গাফিলতি। গলাকাটা দাম আর কত সইবে ভোক্তা।’

আলুর দাম যে কারণে বৃদ্ধি পায়
                                  

আলুর পাইকারি বাজার মিরপুর-১১ ও মিরপুর-১৪ এর কচুক্ষেতে সরেজমিনের খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৩ টাকায়। পাইকার ও আড়ৎদাররা জানালেন, বেশ কিছুদিন ধরে আলু বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি আলু বিক্রেতা ইসমাইল বাণিজ্যালয়ের রাজিব আহমেদ জানান, বিক্রমপুরের আলুর দাম বৃদ্ধির ফলে আমাদের এখানেও আলুর দাম বেড়েছে। আমরা কেজি প্রতি খুব কম লাভ করি। বাজারে সবজির দাম বাড়ার সঙ্গে আলুর দাম বেড়েছে। সবজির দাম বাড়ার সঙ্গে আলুর দাম বাড়ার সম্পর্ক কী? এ প্রশ্নের জবাবে মেলেনি বিক্রেতাদের থেকে।

আলুর দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে বাজার ব্যবস্থাপনা ত্রুটি কাজ করছে বলে মনে করেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজির হোসেন। তিনি ক্যাবের পর্যালোচনার উল্লেখ করে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আলু সংরক্ষণে কোল্ডস্টোরেজের একচ্ছত্র আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণের কারণে দাম বৃদ্ধি পায়। কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সাত থেকে আটটি স্তর থাকার কারণে ধাপে ধাপে আলুর দাম বৃদ্ধি পায়।

ক্যাবের অনুসন্ধান তুলে ধরে নাজির হোসেন বলেন, কোল্ডস্টোরেজের মালিকরা উৎপাদন পর্যায়ে তাদের নিজস্ব ব্যাপারীদের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে দাদন দিয়ে থাকে। দাদন বণ্টন ও নিয়ন্ত্রণের কাজটি করে থাকে আলু উৎপাদন এলাকার এজেন্ট। ক্ষেত থেকে আলু ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এজেন্টরা পূর্ব নির্ধারিত দামে মাঠ থেকে সংগ্রহ করে ব্যাপারীদের মাধ্যমে কোল্ডস্টোরেজে নেয়। যত দিন কৃষকের কাছে আলু থাকে ততদিন আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর তারপরই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় কোল্ডস্টোরেজ-ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

এখন যে আলু কারওয়ান বাজারে আসছে- তা ট্রাক থেকে নামার পর দুইটি স্তর পেরিয়ে খুঁচরা পর্যায়ে ক্রেতাদের কাছে যায়। মূলত রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারগুলো কারওয়ানবাজারসহ দুটি বাজার থেকেই নিয়ন্ত্রণ হয়। যা থাকে কোল্ডস্টোরেজের নিয়ন্ত্রণে; তিনি উল্লেখ করেন।

আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে টিসিবির খোলা ট্রাকে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের পাশাপাশি ৩০ টাকা দরে আলু বিক্রি শুরু করেছে। রাজধানীর ৫০টি স্পটে আলু বিক্রি হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টিসিবির ট্রাকে এ সব পণ্য বিক্রি হবে।

গত ২০ নভেম্বর রাজধানীর কারওয়ানবাজারে আলু বিক্রির এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বসির উদ্দিন। আলুর বাড়তি দামের মূলে সিন্ডিকেট রয়েছে স্বীকার করেন তিনি। বলেন, সরবারহ ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদারের মাধ্যমে আমরা সিন্ডিকেট অকার্যকর।

তিনি ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কোল্ডস্টোরেজসহ বাজার ব্যবস্থার পর্যবেক্ষণ ও উন্নয়নের তাগিদ দেন। আলু উৎপাদন করার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়

আলু উৎপাদন করেও কৃষক কোল্ডস্টোরে রাখতে পারেন না। রাজশাহী ও বগুড়ার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। কোথাও কোথাও আগাম দাদন বা টাকা নিয়ে কৃষক আলু চাষ করেন। আলু মাঠে থেকে ওঠানোর সাথে সাথে আগে টাকা নেওয়ায় মহাজনের কাছে বিক্রি করে দিতে হয়। বাজারে আলুর বাড়তি দাম থাকলেও কৃষক তা দাবি করতে পারেন না। পূর্বনির্ধারিত দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন তারা।

এ বিষয়ে বগুড়ার কৃষক মো. আব্দুল হাফিজ বলেন, আলু ওঠানোর পর কোল্ডস্টোরে রাখার মতো সামর্থ আমাদের নেই। ধার-দেনা করে বা হাতের কিছু বাড়তি টাকা খরচ করে আলু চাষ করি। আলু ওঠানোর সাথে সাথে বিক্রি করে দেই। একই কথা জানালেন, রাজশাহীর বাগমারার কৃষক রুহুল আমিন।

আলুর দাম প্রতিবারই নভেম্বর মাসের দিকে সর্বোচ্চ আকার ধারণ করে। অজুহাত তোলা হয় আলুর মজুদ কমে আসা। এ সময় আলু আমদানিও করা হয়, এবারও করা হচ্ছে। অথচ দেশে চাহিদার তুলনায় কমপক্ষে ২০ লাখ বেশি আলুর উৎপাদন হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে দেশে আলু বার্ষিক চাহিদা সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টন। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলুর উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি টনের উপরে। ৩০ লাখ টন বেশি আলু বেশি উৎপাদন হয়েছে। তারপরও আলু ঘাটতির অজুহাত তুলে দাম বাড়ানো হয়।

মূলত আলু বাজার কাঠামো ত্রুটিযুক্ত হওয়া কারণে চাহিদার বেশি আলু উৎপাদন হলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আলুর দাম বাড়ানো হচ্ছে।

আলু উৎপাদন, উৎপাদন খরচের সঙ্গে যুক্ত থাকে সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে মতে গত বছরে প্রতি কেজি আলু উৎপাদনের খরচ ছিল ১০ টাকা ৫১ পয়সা। এসব আলু অধিকাংশ মাঠ থেকে কৃষকরা ২০ থেকে ২১ টাকা কেজি দরে মহজনদের কাছে বিক্রি করে দেন। অথচ সেই আলু রাজধানীর বাজারে বিক্রি হয় ৭০ টাকা কেজি দরে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা অবিশ্বাস্য। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিক্রমপুর ও রাজশাহীদের কৃষকরা জানান, আলুর অস্বাভাবিক দাম রোধে দাদন প্রথা বাতিল করে কৃষক যাতে সরাসরি কোল্ডস্টোরেজে রাখতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষককে সরাসরি কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি সম্প্রাসারণে আলুর উৎপাদনে খরচ নির্ধারণ করে থাকে। এক্ষেত্রে কীটনাশক আলুর বীজ ও আলু বিক্রির দামও বেঁধে দিতে হবে। যাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, কোনো মধ্যসত্ত্বভোগী সিন্ডিকেট করে আলু দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করতে না পারে।

সরবরাহ ঠিক রাখতে রমজানে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
                                  

রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ব্যবসায়ীদের ভূমিকা এখন গুরুত্বপূর্ণ। সরকার তাদের জন্য বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

সেখ বশির উদ্দিন বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে প্রায় দুই হাজারের মতো ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। ৫০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্যই তারা জীবনকে তুচ্ছ করেছেন। ছাত্র-জনতার প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

তিনি বলেন, রমজান মাস খুব দূরে নয়। ঠিক ১০০ দিন বাকি। রমজানে নিত্যপণ্যের সরবারাহ বাড়াতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বেশ কয়েকটি পণ্যের শুল্কও কমিয়েছে। এখন সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে ব্যবসায়ীদের।

এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা খাতুনগঞ্জে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা, ওজন পরিমাপক স্কেল স্থাপন ও সহজ শর্তে ব্যাংক লোনের দাবি জানান। বাণিজ্য উপদেষ্টা সমস্যাগুলো সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল বশর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সগির আহমেদসহ ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য রাখেন।

বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, স্থিতিশীল গরু-খাসি-মুরগি
                                  

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে গরু, খাসির মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও আগের সেই বেশি দামেই আটকে আছে সব ধরনের মাছ। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলতে থাকায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, মাছের ফিডের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই বাজারে সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে একটু বেশি দামে, যা আর কমেনি।


আজকের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, সোনালির কেজি ২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০, কক ৩০০ টাকা কেজি। পাশাপাশি দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বাজার ভেদে ৭৫০ টাকা থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

তবে বাজারে সব ধরনের মাছ বাড়তি দামেই আটকে আছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, গলসা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এ ছাড়া রুই প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে বেসরকারি এক চাকরিজীবী মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে বলেন, মাছে ভাতে বাঙালি সেই কথা আর নেই। এখন বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম মাছের। সাধারণ ক্রেতারা দু-একটি কমদামি মাছ ছাড়া, অন্য কোনো মাছ এখন আর কিনতে পারে না। কমদামি মাছ বলতে চাষের কই, পাঙাশ, তেলাপিয়া। তবে এসব মাছেরও এখন দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। এগুলো ছাড়া অন্য কোনো ধরনের ভালো মাছ কেনার সামর্থ্য আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নেই। তাই ঘুরে ফিরে প্রতি সপ্তাহে এ ধরনের মাছই আমরা কিনি।

রাজধানীর মগবাজারের আরেক ক্রেতা বলেন, আজ দীর্ঘদিন ধরে মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম চেয়ে বসে থাকে। মাছের দাম যে এত বাড়তি, তবুও সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোনো বাজার মনিটরিং, নিয়ন্ত্রণ, উদ্যোগ গ্রহণ করা কিছুই চোখে পড়ে না। বছরের পর বছর মাছের দাম এমন বাড়তি যাচ্ছে কিন্তু কেউ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। বাজারে এমন কোনো মাছ নেই যার দাম বাড়তি না। গরুর মাংস খাওয়া যেমনি মানুষ বাদ দিয়েছে, তেমনি এত বেশি দাম হলে সাধারণ মানুষ মাছও খেতে পারবে না।

মাছের বাড়তি দাম বিষয়ে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, আসলে যখন থেকে মাছের খাবারের দাম বেড়েছে, তখন থেকেই মাছের দাম বাড়তি। এরপর থেকে সেভাবে আর দাম কমেনি। অল্প কিছু দাম ওঠানামা করে পাইকারি বাজারে। সে ক্ষেত্রে আমরা যখন যেদিন যে দামে মাছ কিনতে পারি, খুচরা বাজারে একটু লাভ রেখে তেমন দামেই বিক্রি করি। পাইকারি বাজার থেকে মাছ কেনার পর বাজার খরচ, পরিবহন খরচ, লেবার খরচ, দোকান ভাড়া সবকিছুর সঙ্গে সমন্বয় করে পাইকারি বাজারের যে কিছুটা বেশি দামে আমরা খুচরা বাজারে বিক্রি করি। মূলত মাছ চাষি পর্যায়ে মাছের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, যে কারণে তারা আগের চেয়ে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। আমরা যদি পাইকারি বাজার থেকে কম দামে মাছ কিনতে পারি, তাহলে খুচরা বাজারেও কম দামে মাছ বিক্রি করতে পারব।


   Page 1 of 87
     অর্থ-বাণিজ্য
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি বাহরাইনের মধ্যে ব্যবসায়িক সভা
.............................................................................................
সোনার দাম কমল ভরিতে এক হাজার ৪৮১ টাকা
.............................................................................................
পদোন্নতির দাবিতে আজ মানববন্ধন করবে কৃষি ব্যাংকের ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তারা
.............................................................................................
তেল-আলু-পেঁয়াজ ঊর্ধ্বমুখি, কিছুটা স্বস্তি চাল ও মুরগির
.............................................................................................
দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার
.............................................................................................
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ইসকনের ১৭ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ
.............................................................................................
৬ ব্যাংককে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা, চাহিদা অনুযায়ী টাকা পাবেন গ্রাহকরা
.............................................................................................
বিসিকের ৩ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিদর্শনে শিল্প উপদেষ্টার মুন্সিগঞ্জ সফর
.............................................................................................
নতুন খেলাপির ঝুঁকিতে ব্যবসায়ীরা
.............................................................................................
লাখ ডলার ছোঁয়ার পথে বিটকয়েন
.............................................................................................
হামদর্দ ও বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
.............................................................................................
দুই দিন পর ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম
.............................................................................................
আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু
.............................................................................................
আলুর দাম যে কারণে বৃদ্ধি পায়
.............................................................................................
সরবরাহ ঠিক রাখতে রমজানে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
.............................................................................................
বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, স্থিতিশীল গরু-খাসি-মুরগি
.............................................................................................
খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমল
.............................................................................................
ভারত থেকে ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার চাল আমদানির অনুমতি
.............................................................................................
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
.............................................................................................
ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমলো আরও ৫ শতাংশ
.............................................................................................
বাড়লো সোনার দাম
.............................................................................................
সারাদেশে ৯৯.৪৩ শতাংশ গার্মেন্টসই খোলা : বিজিএমইএ
.............................................................................................
তিনদিনের মধ্যে আলুর দাম না কমালে ভোক্তার অফিস ঘেরাও
.............................................................................................
চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে এলো ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স
.............................................................................................
সেই জাহাজে পাকিস্তান থেকে আলু-পেঁয়াজসহ যা যা এলো
.............................................................................................
বোতলের চেয়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেশি!
.............................................................................................
বিশ্ববাজারে বাড়লো স্বর্ণের দাম
.............................................................................................
সবজির দাম কমলেও আলু আর পেঁয়াজে অস্বস্তি
.............................................................................................
‘আরও কমবে চালের দাম’
.............................................................................................
ফের কমলো স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত
.............................................................................................
টেলিকম খাতেও সালমান সিন্ডিকেট, সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার সুবিধা লুট
.............................................................................................
সোনার দাম আরও কমলো
.............................................................................................
পণ্য রপ্তানির পালে হাওয়া, আয় বেড়েছে ২০.৬ শতাংশ
.............................................................................................
নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স এল ৬৫ কোটি ডলার
.............................................................................................
অক্টোবরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৯ শতাংশ
.............................................................................................
বাংলাদেশ সুদানে ২ কোটি ডলারের সিগারেট রপ্তানি
.............................................................................................
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে কাল থেকে সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রি শুরু
.............................................................................................
রমজানে ঢাকায় খেজুর-ছোলাসহ পাঁচ পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি
.............................................................................................
বাজারে সেঞ্চুরি হাঁকানো ৭ সবজি
.............................................................................................
সবজি-মুরগির বাজারে স্বস্তি, চড়া আলুর দর
.............................................................................................
স্বস্তি পেঁয়াজ-মুরগি-সবজিতে, চড়া আলু দাম
.............................................................................................
মিলছে না আয়-ব্যয়ের হিসাব, সংসার চালাতে হিমশিম
.............................................................................................
রিজার্ভ বেড়ে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে
.............................................................................................
মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশে, খাদ্যপণ্যে ১২.৬৬%
.............................................................................................
বাজারে কমছে না শীতকালীন সবজির দাম, বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম
.............................................................................................
রমজানে নিত্যপণ্য আমদানিতে শর্ত শিথিল
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে উত্থান
.............................................................................................
স্বর্ণের দাম কমলো
.............................................................................................
খেলাপি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় শাস্তির মুখে এবি ব্যাংক
.............................................................................................
বকেয়া পরিশোধে বাংলাদেশকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়নি: আদানি গ্রুপ
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD