শেখ হাসিনার ভাষণ প্রদানে ভারতের দায় নেই: রণধীর জয়সওয়াল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভাষণ দিয়েছেন, তাতে ভারত সরকারের কোনো দায় নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন নিজ দায়িত্বে এবং ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে এটিকে মিলিয়ে দেখার সুযোগ নেই।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ভারতে বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলবের পর এক বিবৃতিতে এ কথা জানান রণধীর।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র বলেন, ভারতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামকে আজ বিকেল ৫টায় বিদেশ দপ্তরের সাউথ ব্লকে তলব করা হয়েছিল। তাকে জানানো হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক চায়। যা সাম্প্রতিক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে। তবে, দুঃখজনকভাবে অভ্যন্তরীণ শাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলোর জন্য আমাদের দায়ী করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত বিবৃতি ভারতকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করছে। বাংলাদেশের এসব বিবৃতি প্রকৃতপক্ষে ক্রমাগত নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন নিজ দায়িত্বে। তিনি মন্তব্য করেছেন তার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে, যেখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থানকে এক করে ফেললে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ইতিবাচক মাত্রা যোগ করতে সহায়ক হবে না।
বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, ভারত সরকার যখন পারস্পরিক স্বার্থে সহায়ক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে, তখন আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশও পরিবেশের অবনতি যেন না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বার্থে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভাষণ দিয়েছেন, তাতে ভারত সরকারের কোনো দায় নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন নিজ দায়িত্বে এবং ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে এটিকে মিলিয়ে দেখার সুযোগ নেই।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ভারতে বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলবের পর এক বিবৃতিতে এ কথা জানান রণধীর।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র বলেন, ভারতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামকে আজ বিকেল ৫টায় বিদেশ দপ্তরের সাউথ ব্লকে তলব করা হয়েছিল। তাকে জানানো হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক চায়। যা সাম্প্রতিক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে। তবে, দুঃখজনকভাবে অভ্যন্তরীণ শাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলোর জন্য আমাদের দায়ী করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত বিবৃতি ভারতকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করছে। বাংলাদেশের এসব বিবৃতি প্রকৃতপক্ষে ক্রমাগত নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন নিজ দায়িত্বে। তিনি মন্তব্য করেছেন তার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে, যেখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থানকে এক করে ফেললে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ইতিবাচক মাত্রা যোগ করতে সহায়ক হবে না।
বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, ভারত সরকার যখন পারস্পরিক স্বার্থে সহায়ক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে, তখন আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশও পরিবেশের অবনতি যেন না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বার্থে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বে জানুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। চিনি ও ভেজিট্যাবল তেলের দাম কমায় এমন চিত্র সামনে এসেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এ তথ্য জানিয়েছে।
জানুয়ারিতে এএফও খাদ্যসূচক দাড়াঁয় ১২৪ দশমিক ৯ পয়েন্টে। যা ডিসেম্বরে ছিল ১২৭ পয়েন্টে। তবে খাদ্যের দাম মাসিকভিত্তিতে কমলেও বার্ষিকভিত্তিতে ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। তাছাড়া খাদ্যপণ্যের দাম ২০২২ সালের মার্চে বেড়ে যে সর্বোচ্চ হয়েছিল তার চেয়ে এখন ২২ শতাংশ কম রয়েছে।
সূচকে দেখা গেছে, জানুয়ারিতে চিনির দাম কমেছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ও আগের বছরের তুলনায় কমেছে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ। মূলত সরবাহ সংকট কেটে যাওয়ায় চিনির দাম কমেছে। তাছাড়া গত মাসে ভেজিট্যাবল তেলের দাম কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে বছরভিত্তিতে পণ্যটির মূল্য ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে টানা তিন সপ্তাহের মতো পতনের দিকে রয়েছে তেলের দাম। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে।
ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭১ সেন্ট বা এক শতাংশ বেড়ে ৭৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে এই সপ্তাহের ভিত্তিতে ২ দশমিক ৩ শতাংশ পতনের দিকে রয়েছে।
ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৬৫ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৭১ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা সপ্তাহেরভিত্তিতে ১ দশমিক ৭ শতাংশ কম।
সূত্র: রয়টার্স
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা বা সংলাপ ইরানের সমস্যাগুলো সমাধানে কোনো ধরনের সহায়তা করবে না।
তিনি বলেছেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা ইরানের জন্য যৌক্তিক, প্রজ্ঞাপূর্ণ বা মর্যাদাপূর্ণ হবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহালের আদেশ-নামায় সই করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক অনুষ্ঠানে ইরান-মার্কিন আলোচনা প্রসঙ্গে খামেনি আরও বলেছেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এটা স্পষ্ট যে মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা ইরানের কোনো সমস্যারই সমাধান করবে না, আলোচনা ইরানের সমস্যা সমাধান করতে পারে এমন ভান করাও তাদের উচিত নয়।
তিনি বলেছেন, ২০১০-এর যে দশকে দুই বছর ধরে মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছিল ইরান কিন্তু এর ফল ছিল শূন্য, ইরানের পক্ষ থেকে ব্যাপক ছাড় দেওয়া সত্ত্বেও মার্কিন সরকার তার সমস্ত অঙ্গীকার অমান্য করে। ইরানের অর্থনৈতিক সংকটগুলো ও জনগণের রুটি-রুজির কোনো সমস্যাই মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সমাধান হবে না, বরং এইসব সমস্যা সমাধানের পথ হলো অঙ্গীকারবদ্ধ কর্মকর্তাদের উদ্যমী প্রচেষ্টা ও ঐক্যবদ্ধ জনগণের সহযোগিতা।
তিনি এ প্রসঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কীভাবে দুই বছরের দীর্ঘ আলোচনার ফসল তথা পরমাণু সমঝোতাকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দেন এবং এর আগেও মার্কিন সরকার সমঝোতা মেনে চলার অঙ্গীকার করা সত্ত্বেও তা মেনে চলেনি, সমঝোতা অনুযায়ী অনেক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও সেসব নিষেধাজ্ঞা তো বাতিল করেইনি বরং জাতিসংঘের মাধ্যমে ইরানের ওপর সব সময় নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলিয়ে রেখেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে দুই বছরের আলোচনার অভিজ্ঞতা ও ইরানের পক্ষ থেকে অনেক ছাড় দেওয়া সত্ত্বেও কোনো সুফল না আসার অভিজ্ঞতাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মার্কিন সরকার যে কেবল ওই সমঝোতা লঙ্ঘন করেই যাচ্ছিল তা নয় একইসঙ্গে ওই সমঝোতা থেকে নিজের বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে, তাই এ রকম একটি সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে অযৌক্তিক, অসচেতনতাপূর্ণ ও অসম্মানজনক যা কখনোই করা ঠিক হবে না।
এদিকে ইরানের জ্বালানি তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বিশ্ব বাজারে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে।
সূত্র: প্রেসটিভি
|
|
|
|
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরব চাইলে তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা, কারণ দেশটিতে প্রচুর খালি জায়গা রয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার চ্যানেল ১৪ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পূর্বশর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের কথা জানিয়েছে সৌদি আরব। এই শর্ত নিয়ে কোনো দরকষাকষি সম্ভব নয়, এটাও নিশ্চিত করেছে রিয়াদ।
এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, আমি এমন কোনো চুক্তিতে যাবো না, যা রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে বিপদে ফেলবে। বিশেষত ৭ অক্টোবর পরবর্তী পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনায় সায় দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, আপনারা কি জানেন, সেটা কি? একটা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছিল। সেটার নাম গাজা। গাজার নেতৃত্বে ছিল হামাস, তারাই এই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করতো। আর দেখুন আমরা সেখান থেকে কি পেয়েছি—হলোকাস্টের পর সবচেয়ে বড় গণহত্যা।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন নেতানিয়াহু। ওই সম্মেলনে ‘গাজা দখলের’ বিস্ময়কর পরিকল্পনার বিষয়ে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও স্বাভাবিক করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনের অল্প সময় পর সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের আগে ইসরায়েলের সঙ্গে কোন আলোচনায় বসতে আগ্রহী নয়।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জেরুজালেম পোস্টকে জানান, তারা আশঙ্কা করছেন নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে গাজার যুদ্ধের অবসান ও পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কর্মকর্তারা জানান, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে রাজি না হলেও পশ্চিম তীরের অধিগ্রহণ বন্ধ রেখে রিয়াদকে তুষ্ট করার চেষ্টা চালাতে পারেন নেতানিয়াহু।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে ইরানি তেল সরবরাহকারী একটি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের আওতায় বৃহস্পতিবার প্রথম এই আর্থিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেহরানের সামরিক কর্মকাণ্ডের তহবিলের জন্য ব্যবহৃত একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ককে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নেটওয়ার্ক চীনের কাছে ইরানি তেল সরবরাহ করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে অর্থ বিভাগ বলেছে, চীনকে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের ইরানি অপরিশোধিত তেলের চালানের ব্যবস্থা করা ওই নেটওয়ার্ককে নিষেধাজ্ঞার নিশানা করা হয়েছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেপেহর এনার্জি জাহান নামা পার্স নামের একটি অনুমোদিত কোম্পানির পক্ষে ওই তেল চীনে পাঠানো হয়।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি বিকাশে প্রাণঘাতী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মনুষ্যবিহীন যান উৎপাদন এবং এর আঞ্চলিক প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তার জন্য তেলের রাজস্ব উপার্জনের দিকে মনোনিবেশ করে চলেছে ইরানের সরকার।
এই ধরনের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডের অর্থায়ন সুরক্ষা করার জন্য ইরানের যে কোনও প্রচেষ্টাকে আগ্রাসীভাবে নিশানা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানতে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছেন। তার সেই নীতির আলোকে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন অর্থ বিভাগ।
সূত্র: রয়টার্স।
|
|
|
|
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা দখলের ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যায়। তবে আবারও গাজা নিয়ে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে সামাজিকমাধ্যম ‘ট্রুথে’ ট্রাম্প লিখেছেন, যুদ্ধ শেষে ইসরায়েলই গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে। গাজা দখল করতে তাদের কোনো সেনার প্রয়োজন হবে না।
তিনি লিখেছেন, যুদ্ধ শেষ হলে ইসরায়েল গাজা উপত্যকাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেবে। গাজাবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ট্রাম্প দাবি করেন, অনেকেই সেখান থেকে উন্নত জায়গায় চলে গেছেন। যেখানে তারা ভালো আছেন। নতুন করে যারা যাবে তারাও ‘খুশি, নিরাপদ এবং মুক্ত’ থাকতে পারবেন।
তিনি লিখেছেন, গাজাকে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহরে পরিণত করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সেরা ডেভেলপমেন্ট দলের সঙ্গে কাজ করছে এবং ধীরগতি ও সতর্কতার সাথে গাজাকে পুনর্গঠন শুরু করবে। যেটি হবে বিশ্বের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন শহর। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাও থাকবে।
এদিকে ট্রাম্পের গাজা দখলের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনের মানুষ। ফিলিস্তিনের এক নারী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, তারা গাজাতেই থাকবেন এবং গাজাতেই মরবেন।
তিনি বলেন, গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা এখানে থাকব এবং গাজা ভূখণ্ডে, জন্মভূমিতে মরব। আমরা দেড় বছরের যুদ্ধ, মৃত্যু ও ধ্বংস মোকাবেলা করেছি। এরপরও আমরা এখানে রয়েছি। তাহলে আমরা কীভাবে এ ধরনের প্রস্তাবে রাজি হতে পারি?
এর আগে, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজার সাধারণ মানুষকে স্থানান্তর করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এ সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উপস্থিত ছিলেন। এরপরই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এজিয়ান সাগরের আগ্নেয় দ্বীপ সান্তোরিনিতে টানা কয়েক দিনের কম্পনের পর অঞ্চলটির কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২।
এদিকে টানা কম্পনের পর আতঙ্কের জেরে ইতোমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ এই দ্বীপটি ছেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গ্রীক দ্বীপপুঞ্জ আমর্গোস এবং সান্তোরিনির মধ্যে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। এই এলাকায় একটানা কম্পনের কয়েকদিন পর এই ভূমিকম্প আঘাত হানলো। ১১ হাজারেরও বেশি লোক ইতোমধ্যেই সান্তোরিনি ছেড়েছেন। যাদের প্রায় ৭ হাজার ফেরিতে করে এবং ৪ হাজার আকাশপথে এই এলাকা ছেড়ে গেছেন।
ভূমিকম্পটি কয়েক মিনিট আগে দুটি ছোট কম্পনের পরে আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৯ মিনিটে রেকর্ড করা এই কম্পনের মাত্রা ৫.২ ছিল বলে রেকর্ড করা হয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হওয়া কম্পনের মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী। ভূপৃষ্ঠের ৫ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এদিকে ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত দ্বীপটিতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। সান্তোরিনির পাশাপাশি আনাফি, পারোস, নাক্সোস এবং মাইকোনোসসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দ্বীপগুলোতেও স্কুল শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
জলবায়ু ও নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী ভ্যাসিলিস কিকিলিয়াস বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশেষায়িত অগ্নিনির্বাপকদের ইউনিটকে সান্তোরিনিতে পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ কুকুর এবং একটি মোবাইল অপারেশন সেন্টারসহ বেশ কিছু দলও দ্বীপে পাঠানো হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় হেলিকপ্টারগুলো স্ট্যান্ডবাইতে রয়েছে।
কিকিলিয়াস আরও বলেন, দুর্বল লোকদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য উপকূলরক্ষী এবং সশস্ত্র বাহিনী কাজ করবে।
এর আগে গত শুক্রবার থেকে এজিয়ান সাগরের আগ্নেয় দ্বীপ সান্তোরিনি ও আমর্গোসে দফায় দফায় কম্পন রেকর্ড করা হয়। এমনকি গত সোমবার প্রতি কয়েক মিনিট অন্তর সান্তোরিনিতে কয়েকটি ৪ মাত্রার ওপরেসহ ভূমিকম্প অনুভূত হতে থাকে। এ কারণে লোকজনকে ঘরের ভেতরে না থাকার এবং ছোট বন্দরগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গ্রিস একাধিক ফল্ট লাইনের ওপরে অবস্থিত আর এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ভূকম্পন ইউরোপের এই দেশটিতে স্বাভাবিক দুর্যোগ পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। প্রায় ১৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম অগ্ন্যুৎপাতে সান্তোরিনি দ্বীপটি বর্তমান আকারে গঠিত হয়েছিল। আর ১৯৫০ সালে এই এলাকায় হয়েছিল সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার উত্তর মালুকু উপকূলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। অবশ্য এর জেরে প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি ও সুনামির শঙ্কাও সৃষ্টি হয়নি। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৮১ কিলোমিটার (৫০ মাইল)। রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থাও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া। এটির জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটিরও বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে।
২০০৯ সালে দেশটির পাদাংয়ে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই সময় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে এক হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া ভূমিকম্পে বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনাও ধ্বংস হয়ে যায়।
তারও আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপর আঘাত হানে সুনামি। তখন ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।
মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত দেখা যায়। রিং অব ফায়ার হলো পৃথিবীর এমন একটি অংশ, যেখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ ঘটে। এই একই কারণে জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।
|
|
|
|
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এদিন তাকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনও আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যেখানে তিনি স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা দখল করে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানা স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ট্রাম্প এও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এ ব্যাপারে কোনও বিরোধিতা করবে না সৌদি আরব। তার ভাষ্য, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ব্যাপারে কোনও দাবি নেই সৌদি আরবের।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য নাকচ করে দিয়ে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সৌদি সরকার। বিবৃতির মাধ্যমে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, ফিলিস্তিনের ব্যাপারে সৌদি আরবের অবস্থান আগের মতোই আছে। ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড থেকে বাস্তুচ্যুত করার কোনো চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল বিষয়ে ‘সুস্পষ্টভাবে’ সৌদি আরবের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে কোনো পরিস্থিতিতেই ব্যাখ্যার কোনো দরকার নেই। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে না সৌদি আরব।
এর আগে, মঙ্গলবার সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ফিলিস্তিনিরা অন্য জায়গায় পুনর্বাসিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেবে এবং সেখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবে।
ফিলিস্তিনিরা চলে গেলে গাজায় কারা বাস করবে এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বের মানুষ। আমি মনে করি গাজা একটি আন্তর্জাতিক, অবিশ্বাস্য জায়গায় পরিণত হবে। আমি মনে করি গাজা উপত্যকার সম্ভাবনা অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি সমগ্র বিশ্ব, সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা সেখানে থাকবেন, এবং তারা সেখানে বাস করবেন। ফিলিস্তিনিরাও সেখানে বাস করবেন। অনেক মানুষ সেখানে বাস করবেন।
তিনি বলেন, গাজা উপত্যকা ‘রিভেরা অব দ্য মিডল ইস্ট’ হয়ে উঠবে। আমাদের কাছে এমন কিছু করার সুযোগ রয়েছে যা অসাধারণ হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে ইসরায়েল সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবে এবং সফল হবে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবং দেশটিকে স্বীকৃতি দেওয়াতে কয়েক মাসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত এই তৎপরতা চলেছে। তবে, গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর আরব দেশগুলোর ক্ষোভের মুখে বিষয়টি স্থগিত করে সৌদি আরব।
|
|
|
|
বিশ্ববিখ্যাত আধ্যাত্মিক নেতা, দানশীল ব্যক্তি এবং ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা প্রিন্স করিম আগা খান ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তার দাতব্য সংস্থা আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (একেডিএন) এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছে।
প্রিন্স করিম আগা খান ছিলেন শিয়া ইসলামের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম বংশগত ইমাম। ১৯৫৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে দাদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার মনোনীত উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক।
প্রিন্স শাহ করিম আল হুসেইনি আগা খান ১৯৩৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর জেনেভায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জন্মগ্রহণ করেন এবং কেনিয়ার নাইরোবিতে তার শৈশব কাটে।
পরে তিনি সুইজারল্যান্ডে ফিরে যান এবং লে রোজি স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর হার্ভার্ডে ইসলামের ইতিহাস নিয়ে পড়ালেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৮০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হয়েছিল। এই সম্পদ তিনি পারিবারিক উত্তরাধিকার, ঘোড়া পালন ও রেসলিং, পর্যটন ও রিয়েল এস্টেটের বিনিয়োগ থেকে উপার্জন করেছিলেন। ব্রিটিশ, ফরাসি, সুইস ও পর্তুগিজ নাগরিকত্বের অধিকারী এই ধনকুবের বিশ্বের দরিদ্র অংশের মানুষের সহায়তায় প্রচুর অর্থ দান করেছেন।
তিনি পাকিস্তানের করাচিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ ছাড়া হার্ভার্ড ও এমআইটির যৌথ উদ্যোগে আগা খান প্রোগ্রাম ফর ইসলামিক আর্কিটেকচার চালু করেন। ভারতীয় ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, বিশেষ করে দিল্লির ঐতিহাসিক হুমায়ুনের সমাধির সংস্কারে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ রাজপুত্রকে দূরদর্শিতা, বিশ্বাস এবং উদার মানুষ এবং অসাধারণ একজন নেতা হিসেবে বর্ণনা করে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্যসেবা এবং লিঙ্গ সমতায় অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিনি প্রান্তিক মানুষের স্বার্থে এগিয়ে এসেছিলেন।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপের দেশ সুইডেনের একটি শিক্ষাকেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসি।
এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানী স্টকহোমের ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওরেব্রো শহরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থনীয় পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে, স্কুল ক্যাম্পাসে গুলির ঘটনায় ১০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীও রয়েছেন। তিনি একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ গুলির ঘটনার উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়নি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার শিকার শিক্ষাকেন্দ্রটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নয়। যারা সময় মতো প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করতে পারেননি, এমন বয়স্ক লোকজনই মূলত এই শিক্ষাকেন্দ্রে পড়াশোনা করেন।
সুইডিশ পুলিশ প্রথমে এই ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র–সংক্রান্ত গুরুতর অপরাধ বলে মন্তব্য করেছিল এবং নিরাপত্তার খাতিরে আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের বাইরে বের হতে নিষেধ করে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুলগুলো খালি করা হয়।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টারসন বলেন, দেশের জন্য এটি খুবই বেদনাদায়ক একটি দিন।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউটিলিটি স্টোর করপোরেশন (ইউএসসি) ছাড়াই এ বছর রমজানের জন্য দুর্নীতিমুক্ত ত্রাণ প্যাকেজ চালু করতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ তথ্য জানিয়েছেন। মূলত দুর্নীতি ও নিম্নমানের পণ্যের বিক্রি বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জানুয়ারি মাসে দেশটির মন্ত্রিসভা দেশব্যাপী ইউএসসির কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করতে একটি উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠন করেছিল।
পাকিস্তানে সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর রমজান প্যাকেজ ইউটিলিটি স্টোরের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ওই কমিটিকে বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রামের সঙ্গে সমন্বয় করে রমজান প্যাকেজ প্রদানের জন্য একটি কৌশল তৈরি করার দায়িত্বও দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বাজেটে ইউএসসি-এর জন্য বরাদ্দ আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে করপোরেশনের আর্থিক উন্নতির জন্য বা দেশব্যাপী এক হাজার লোকসানে থাকা আউটলেট বন্ধে সংস্থাটিকে পুনর্গঠনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে পাঁচ হাজারের বেশি স্টোর রয়েছে। যেখান থেকে কম দামে পণ্য সরবরাহ করা হয়।
ইসলামাবাদে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে শাহবাজ শরিফ বলেন, যেহেতু পবিত্র রমজান শুরু হতে চলেছে তাই আমি জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতি ও নিম্নমানের সামগ্রী বিক্রি বন্ধে ইউটিলিটি স্টোর ছাড়াই রমজান প্যাকেজ আনতে বলেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কয়েক মাস আগেও বলেছি যে ইউটিলিটি স্টোর দিয়ে এভাবে চলতে পারে না।
সূত্র: ডন
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে ভয়াবহ হামলা ও সংঘাতে কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ। দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে লড়াইয়ে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
আফ্রিকার এই দেশটিতে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিধ্বংসী যুদ্ধ চলছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, দক্ষিণ ও পশ্চিম সুদানে ভয়াবহ লড়াইয়ে সোমবার কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত এবং আরও ১৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে দেশটির সাউথ কর্ডোফান প্রদেশের রাজধানী কাদুগলিতে কামানের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে দুটি চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে।
সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এই শহরটিতে আক্রমণের ঘটনায় আবদেল আজিজ আল-হিলুর নেতৃত্বাধীন সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ (এসপিএলএম-এন) এর একটি দলকে দায়ী করেছেন গভর্নর মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কাদুগলিতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হিলুর হামলার উদ্দেশ্য” হচ্ছে এলাকাটিকে অস্থিতিশীল করা। তিনি বিদ্রোহী বাহিনীর কবল থেকে “কাদুগলির চারপাশের পাহাড়গুলো সাফ” করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
গভর্নর বলেছেন, স্থানীয় একটি বাজারকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণের এই ঘটনা ঘটেছে। এসপিএলএম-এন তাদের যুদ্ধের সময় সাউথ কর্ডোফানের বিভিন্ন অংশে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) উভয়ের সাথেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
সুদান ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সংঘাতে জর্জরিত হয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে।
এদিকে দারফুরের বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালায় সামরিক বিমান হামলায় সোমবার ২৫ জন নিহত এবং আরও ৬৩ জন আহত হয়েছেন বলে একটি মেডিকেল সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি এএফপিকে জানিয়েছে, আরএসএফের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা “নিয়ালার সিনেমা ডিস্ট্রিক্ট” এ হামলাটি হয়। উত্তর দারফুরের অবরুদ্ধ রাজধানী এল-ফাশার থেকে ১৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিয়ালাসহ দারফুরের বেশিরভাগ অংশে আরএসএফের আধিপত্য রয়েছে।
এছাড়া এল-ফাশারে অঞ্চলটিতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করেন, যারা গত বছরের মে মাস থেকে আরএসএফ অবরোধের মধ্যে রয়েছেন।
এর আগে গত শনিবার বৃহত্তর খার্তুমের অংশ সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ওমদুরমানের একটি ব্যস্ত বাজারে আরএসএফ গোলাবর্ষণ করলে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত এবং আরও ১৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছিলেন।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় গত মাসে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা হত্যাযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটেছে। তবে এরপরও লাশের মিছিল শেষ হয়নি। ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের লাশ। এরই অংশ হিসেবে সবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৮ লাশ। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫১৮ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও ২০ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৬১২ জনে পৌঁছৈছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
এদিকে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস গত রোববার জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭০৯ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৪ হাজার ২২২ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৫ মাসের আগ্রাসনের পর ১৯ জানুয়ারি বহুল কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায়। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : অভাবের সংসার, চরম অনটনে চলে। একমাত্র কন্যা সন্তানের বিয়ের জন্য গয়না গড়ে রাখা প্রয়োজন- বারবার এমনটি বলে স্বামীকে একটি কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেন স্ত্রী। পরে কিডনি বিক্রির সব অর্থ নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দেন তিনি। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের ধুলাগড় হাটতলায় এলাকায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিন্টু বেজ তার স্ত্রী সুপর্ণা বেজের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, বছর চল্লিশের পিন্টু বেজের সঙ্গে সুপর্ণা বেজের প্রেম করে বিয়ে হয় ১৬ বছর আগে। এরপর তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ভবিষ্যতে নিজেদের নাবালিকা কন্যার বিয়ে ও ভালো পড়াশোনার জন্য এখন থেকেই সোনার গয়না গড়ে রাখতে হবে- এমন কথা স্বামীকে বারবার বলে তার একটি কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেন সুপর্ণা বেজ। সেই কিডনি বিক্রি করে ১০ লাখ রুপি পায় বেজ দম্পতি।
এরপরেই কিডনি বিক্রির অর্থ এবং ঘরে থাকা সোনার গহনা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দেন ৩৫ বছর বয়সী সুপর্ণা বেজ।
পিন্টু প্রথমে তার স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন থানায় এবং স্ত্রীকে ফিরে পেতে কলকাতা হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেন। এক্ষেত্রে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তি বা নারীকে খুঁজে এনে আদালতে হাজির করানোর দায়িত্ব পুলিশের।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হেবিয়াস কর্পাস মামলায় পুলিশের দেওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সুপর্ণা বেজ লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন এবং তার প্রেমিকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকছেন। কেউ তাকে জোর করে কিছু করায়নি।
এখন যেহেতু ওই নারীর খোঁজ পাওয়া গেছে এবং তিনি স্বেচ্ছায় স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার কথা মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে আর হেবিয়াস কর্পাসের আবেদন কার্যকর হবে না।
এ বিষয়ে পিন্টু বেজ বলেন, আমাকে বারবার কিডনি বিক্রি করার কথা বলতো। ১০ লাখ রুপিতে কিডনি বিক্রি করি। সে কথা বাড়ির অন্য কাউকে জানাতে নিষেধ করেছিল স্ত্রী। তাই কাউকে জানাইনি। কিডনি দেওয়ার পর যখন অসুস্থ ছিলাম, তখন সব নিয়ে চলে গেছে। এখন আরও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন তিনি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প মেক্সিকোকে শর্ত দিয়েছেন, তাদের সীমান্তে তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে যেন অবৈধ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে। সেই শর্ত অনুযায়ী সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ডের ১০ হাজার সেনাকে তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করবে মেক্সিকো। এ শর্তে তাদের ওপর আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা সীমান্তে নতুন প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করবেন। পাশাপাশি ফেন্টানাইল (মাদক) চোরাচালান ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমেরিকাকে সহায়তা করবে। স্থানীয় সময় সোমবার এক ফোনালাপে ট্রুডো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
শুল্ক আরোপ স্থগিতের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে সব মার্কিন নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব ও আমি ঠিক সেটাই করছি। প্রাথমিক ফলাফলে আমি খুবই সন্তুষ্ট।
এদিকে, শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অনুরূপ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে চীন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পদক্ষেপে চীন ভীষণ অসন্তুষ্ট। এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মনীতির গুরুতর লঙ্ঘন।
সূত্র: রয়টার্স
|
|
|
|
|
|
|
|