বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ডে   * বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর   * ‘বইমেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চাকে ক্ষুণ্ন করে’   * সড়কে চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস, দুর্ভোগে যাত্রীরা   * গুয়েতেমালায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১   * হুটহাট করে জামিন দেবেন না, বিচারকদের আসিফ নজরুল   * ৬ দাবিতে শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান   * কোনো ‘শয়তান’ যেন পালাতে না পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা   * দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৪তম   * ভোজ্যতেলের সংকট অল্প দিনের মধ্যে কেটে যাবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা  

   রাজনীতি -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে জামায়াত আমিরের প্রতিক্রিয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন আজ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। 


বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ফ্যাক্টফাইন্ডিং মিশন বাংলাদেশে ২৪-এর গণহত্যার রিপোর্ট আজ প্রকাশ করেছে। খুনি এবং খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য এবং পরিচয় জাতিসংঘ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে। এ রিপোর্টকে আমরা অভিনন্দন জানাই।’

জামায়াত আমির লেখেন, ‘মজলুমের পক্ষে নয় বরঞ্চ মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই রিপোর্ট গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। সময়ের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’


তিনি লিখেছেন, ‘আজ প্রধান উপদেষ্টা গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট সরকারের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন। জাতির সামনে ফ্যাসিস্টদের পাশবিক লালসা ও প্রতিহিংসার দলিল হয়ে থাকবে আয়নাঘর। কার্যত এটি ছিল আওয়ামী বাকশালীদের টর্চার সেল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন আবুল কাসেম (২০)। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। হত্যাকারীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা আবুল কাসেমকে ক্ষমা করুন, তার ওপর রহম করুন এবং শাহাদাতের মর্যাদা দিয়ে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। তার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদেরকে আল্লাহ তায়ালা উত্তম ধৈর্য ধরার তাওফিক দান করুন।’


জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় (ওএইচএসিএইচআর)। সংস্থাটি জানায়, এসব ঘটনায় অধিকতর ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে জামায়াত আমিরের প্রতিক্রিয়া
                                  

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন আজ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। 


বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ফ্যাক্টফাইন্ডিং মিশন বাংলাদেশে ২৪-এর গণহত্যার রিপোর্ট আজ প্রকাশ করেছে। খুনি এবং খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য এবং পরিচয় জাতিসংঘ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে। এ রিপোর্টকে আমরা অভিনন্দন জানাই।’

জামায়াত আমির লেখেন, ‘মজলুমের পক্ষে নয় বরঞ্চ মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই রিপোর্ট গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। সময়ের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’


তিনি লিখেছেন, ‘আজ প্রধান উপদেষ্টা গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট সরকারের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন। জাতির সামনে ফ্যাসিস্টদের পাশবিক লালসা ও প্রতিহিংসার দলিল হয়ে থাকবে আয়নাঘর। কার্যত এটি ছিল আওয়ামী বাকশালীদের টর্চার সেল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন আবুল কাসেম (২০)। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। হত্যাকারীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা আবুল কাসেমকে ক্ষমা করুন, তার ওপর রহম করুন এবং শাহাদাতের মর্যাদা দিয়ে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। তার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদেরকে আল্লাহ তায়ালা উত্তম ধৈর্য ধরার তাওফিক দান করুন।’


জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় (ওএইচএসিএইচআর)। সংস্থাটি জানায়, এসব ঘটনায় অধিকতর ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও, চক্রান্ত মুক্ত হয়নি: গয়েশ্বর চন্দ্র
                                  

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ স্বৈরাচার হাসিনামুক্ত হলেও চক্রান্ত মুক্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র করছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন ফরম বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ফিরে আসবে। অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারগুলো টেকসই করতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন। সংসদে বসেই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবে।

তিনি বলেন, মূল ইস্যু বাদ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার অন্যান্য ইস্যু নিয়ে কাজ করছে। সবকিছু নিয়ে কাজ করতে চাইলে কোনোটাই সফল হবে না।

কালক্ষেপণ না করে জনগণের মৌলিক ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান গয়েশ্বর।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজ্জাদ্দেদ আলী বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ঈশা খা, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাহীন রহমান, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

১১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী জনসভা করবে বিএনপি
                                  

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা ১০ দিনে ৬৪ জেলায় জনসভা করবে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এ তথ্য জানান সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাকে আইনের আওতায় না আনতে পারা সরকারের ব্যর্থতা।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, বিএনপি সরকারকে সফল দেখতে চায়, তবে এই সরকার সফল হতে চায় কিনা সেটা তাদেরই ভাবতে হবে। 

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) বেনজির আহমেদ এখনও ফ্যাসিস্টের পক্ষের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, যা জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। 

এ সময় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে থাকা ফ্যাসিস্টদের সহযোগীদের চিহ্নিত করারও দাবি জানান তিনি।

পালিয়ে গিয়েও উসকানি দিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত করছে হাসিনা: জামায়াত আমির
                                  

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, পালিয়ে গিয়েও দেশের মধ্যে উসকানি দিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পালিয়ে গিয়েও দেশের মধ্যে উসকানি দিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় শেখ হাসিনা। মুক্তিপাগল মানুষ এসব সহ্য করবে না। উসকানির ফলে বর্তমানে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার দায়ভার সম্পূর্ণ উসকানিদাতার।

জনসভায় বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ এতদিন অনেক কষ্টে ছিল। এই নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের রাজধানী বানিয়ে রাখা হয়েছিল। আমাদের তৎকালীন জামায়াতের আমির ছিলেন গোলাম আযম। তার বিরুদ্ধে এই শহরের এক গডফাদার শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭২ ফিট লম্বা ব্যানার টানিয়েছিল। তাতে লিখা ছিল, নারায়ণগঞ্জে অধ্যাপক গোলাম আযমের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ডিসি, এসপির উপস্থিতিতে গডফাদার শামীম ওসমান বলেছিলেন, আমার বিরুদ্ধে খুনের অগ্রীম মামলা করে রাখেন। আমি গোলাম আযমকে হত্যা করব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে গোলাম আযম সাহেব কারাগারে মারা যান। গডফাদারের সুযোগ হয় নাই তাকে হত্যা করার। আজ তিনি কোথায়? নারায়ণগঞ্জে নেই? এতো অহংকার ভালো না। দাম্ভিকতা ভালো না। সন্ত্রাসকে কখনো প্রশ্রয় দিতে হয় না। তাহলে শুধু আখিরাতেই নয়, দুনিয়াতেও তার করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়। 

এ সময় জামায়াত আমির বলেন, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের যত টাকা চুরি-ডাকাতি ও লুট করে বিদেশে পাচার করেছে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সে টাকা জনগণের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে হবে।

তিনি বলেন, গত ৫৪ বছর এই জাতিকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। আর সুকৌশলে এই বিভক্তি সৃষ্টি আওয়ামী লীগ করেছিল। তারা বিভক্তির শুরু করেন পাহাড়িদের নিয়ে। তারা ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা সবাই বাঙালি। কিন্তু এটা নিয়ে পাহাড়িরা প্রতিবাদ করেন। তখন থেকে এই যে বিভক্তি শুরু হয়েছে তা এখনো চলমান রয়েছে। এখনো ওইখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। তারা এখন বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেরা সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। এই বিভক্তি যতোদিন থাকবে ততোদিন এই জাতির মধ্যে একতা সৃষ্টি হবে না। যা দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর প্রত্যক্ষ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের একজন নাগরিকের সব অধিকার পাওয়ার অধিকার আছে। এটাই মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। আমাদের এই সমাজ হবে বৈষম্যহীন। আওয়ামী লীগ দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। প্রশাসনকে, বিচার ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ পুরোদমে ধ্বংস করে দিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপির বিবৃতি
                                  

দেশের চলমান পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা এখন সময়ের দাবি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় বিএনপি।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই–আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে গতকাল (বুধবার) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙ্গে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে। 

এতে আরও বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ৬ মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকান্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে। 

অথচ জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ নানান ধরণের দাবিদাওয়া নিয়ে যখন তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে যা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুন্সিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাই আগস্টের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারদের রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, নিন্দিত ঘৃণিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা, পরাজিত ফ্যাসিস্টদের উসকানিমূলক তৎপরতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অতি জরুরি অগ্রাধিকার, অথচ এসব বিষয়ে দৃশ্যমান এবং উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। 

ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বিদ্যমান উল্লেখ করে বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, এখনও প্রশাসনকে পতিত ফ্যাসিস্ট শাসকের দোসরমুক্ত করা হয়নি, বিচার বিভাগে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বিদ্যমান, পুলিশ প্রশাসনে গণঅভ্যুত্থানবিরোধী সক্রিয় সদস্যরা এখনও কর্মরত। এমতাবস্থায় সরকার জনআকাঙ্খা পূরণে সফলতা অর্জন করতে পারবে কিনা তা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে। 

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে এতে আরও বলা হয়, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের নিত্যদিনের দুঃখ দুর্দশা লাঘব করা জরুরি, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা গায়েবি মামলার কোনো সুরাহা এখনও হয়নি। গণতন্ত্রকামী জনগণ ফ্যাসিবাদী আমলের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় এখনও হয়রানির শিকার হচ্ছে, অথচ এ বিষয়ে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি। 

দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করাই বর্তমান সরকারের প্রধানতম ম্যান্ডেট উল্লেখ করে বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খাকে ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাশীঘ্র সম্ভব একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। নির্বাচনমুখী জরুরি সংস্কার সাধন করে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করাই বর্তমান সরকারের প্রধানতম ম্যান্ডেট। অথচ জনআকাঙ্খা উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরাই এই অগ্রাধিকারকে প্রাধান্য না দিয়ে অন্যান্য বিষয়ে অধিক মনোযোগী বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। 

এতে আরও বলা হয়, পতিত ফ্যাসিস্ট এবং স্বৈরাচারের স্মৃতিচিহ্ন নিশ্চিহ্ন কিংবা নির্মূলের মধ্যেই ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন নিহিত নয় বরং ফ্যাসিবাদবিরোধী আদর্শিক চিন্তা, শক্তি ও প্রভাবের আদর্শিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঐক্যকে দৃঢ় ভিত্তি দেয়া এবং জাতীয় ঐক্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চাই উত্তম পন্থা। জনগণের মধ্যে এই ধরণের বার্তা ছড়িয়ে দিতে আমাদের সকলেরই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। 

ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের আশঙ্কা করে বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপির উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রকাশ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী গণতন্ত্রবিরোধী দেশী–বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, যার উপসর্গ ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান। 

আ.লীগ বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে পঙ্গু করে রেখেছিল : মাসুদ
                                  

হুইল চেয়ারে-স্ক্র্যাচে ভর করে যারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে আন্দোলনে শামিল হয়েছে তারাই জাতির পথপ্রদর্শক বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

শারীরিকভাবে অক্ষম অদম্য মেধাবী ঢাবি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা শুধু শারীরিকভাবে অক্ষম। কিন্তু আল্লাহ আপনাদেরকে মেধাবী করেছে। ভিন্নদিক থেকে বাড়িয়ে দিয়েছেন, এগিয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় শারীরিক প্রতিবন্ধী অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. মাসুদ বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকে পঙ্গু করে রেখেছিল। দেশের অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, রাজনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মাধ্যমে জাতিকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা শারীরিক অক্ষমতা পঙ্গুত্ব করে ঝেড়ে ফেলে অদম্য মেধার অধিকারী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছে তারা এই জাতির সম্পদ।


ড. মাসুদ বলেন, হুইল চেয়ারে বসে, স্ক্র্যাচে ভর করে যারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে আন্দোলনে শামিল হয়েছে তারা এই জাতির পথপ্রদর্শক। তাদেরকে দেখেই মানুষের প্রেরণা বৃদ্ধি পেয়েছে। শারীরিক অক্ষমদের রাষ্ট্র কর্তৃক আর অক্ষম করে রাখা হবে না, ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে শারীরিক অক্ষমতা এড়িয়ে সংসদসহ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনে অংশগ্রহণ করবে এ দেশের সব শ্রেণি-পেশার নাগরিক।

শিবিরের সাবেক এ কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা মৌলিক অধিকারের অংশ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী সুবিধা সম্মিলিত টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত এটা জাতির জন্য লজ্জার। ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে। অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হবে না। তাই নতুন বাংলাদেশে ইসলামি সমাজ বিনির্মাণে তিনি সকল নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ছাত্রশিবির মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার অনন্য নিদর্শন। ছাত্রশিবির ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র ছয়জন সদস্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে জ্ঞানবিজ্ঞান, মেধা-মননে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ছাত্রশিবিরের ভূমিকা ও নেতৃত্ব এদেশের মানুষের হৃদয় দখল করে। সেজন্যই অগণিত সাথী-সদস্য নিয়ে শিবিরের আজ পথচলা।

ছাত্রশিবির শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অদম্য মেধাবী সংবর্ধনার আয়োজন করেছে, এটি তাদের নিজস্ব কোনো কৃতিত্ব নয়। এটি আল্লাহর বিধান ইসলামের নিদর্শন। ইসলামই যোগ্যদের সম্মানিত করার নিদের্শ দিয়েছে। ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে প্রত্যেক নাগরিক নিজ নিজ যোগ্যতা ও দক্ষতার আলোকে সম্মানের অধিকারী হবে।

সংবর্ধনা প্রধান অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইবনু আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী কামরুন নাহার রিতু ও পুষ্পিতা চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিম হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের নানামুখী সমস্যা তুলে ধরে ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে ওইসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি ডা. নজরুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুর রহমান, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলামসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সার্বিক পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনা দায়ী: জামায়াত আমির
                                  

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে সার্বিক পরিস্থিতির জন্য পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উসকানিকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১২টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন। 

জামায়াত আমীর তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, সার্বিক পরিস্থিতির জন্য পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উসকানি মূলত দায়ী। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা কখনোই বাংলাদেশের মানুষকে অন্তরে ধারণ করে না। এটি তার ঘৃণিত স্বভাব।

ওই স্ট্যাটাসের কিছুক্ষণ আগে একটি স্ট্যাটাস দেন ডা. শফিকুর রহমান। সেখানে দেশবাসীকে কোনো ধরনের উসকানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

সেখানে জামায়াত আমীর লিখেছেন, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক দায়িত্বশীল নাগরিকবৃন্দের আহ্বান- কোনো উসকানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য ধরুন এবং প্রিয় দেশকে ভালোবাসার নমুনা প্রদর্শন করুন।

সংস্কারের কথা বলে দেরি করা ষড়যন্ত্র কি না দেখতে হবে: তারেক রহমান
                                  

জেলা প্রতিনিধি : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কিছু মানুষ সংস্কারের কথা বলে সব ধরনের প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছে। সংস্কারের কথা বলে দেরি করাটা ষড়যন্ত্র কি না তা দেখতে হবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেনীর সোনাগাজীতে ছাবের মোহাম্মদ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, যে হারে দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, এসবের লাগাম টানতে হবে। এসব বন্ধ করতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যত দ্রুত এটি হবে জনগণ মুক্তি পাবে।

শেখ হাসিনাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এই প্রশ্নে সবাইকে এক হতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার করতেই হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, হাজারো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। অবশ্যই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। যদি বিচার না হয়, তাহলে খুন-গুমকারীরা আরও উৎসাহ পাবে।

তিনি বলেন, শহীদদের আত্মার মর্যাদা দিতে হলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ৩১ দফা দিয়েছে বিএনপি। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপি আড়াই বছর আগেই সংস্কারের কথা বলেছে। কারণ বিএনপি বিশ্বাস করতো স্বৈরাচারের বিদায় হবেই।

তারেক রহমান বলেন, যতদিন পর্যন্ত জনগণের সরকার উপহার দিতে না পারবো- ততদিন আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। কিছু মানুষ আমাদের ভেতরে ডুকে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে। এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, সেদিন ডিবি হারুনের হোটেলে ভাত খেয়েছেন। এখন তারা উপদেষ্টা হয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেন। ১৭ বছর আমাদের শ্রম ঘামের আন্দোলনের পর ৫ আগস্টের এই সফলতা।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জামায়াতকে উদ্দেশ করে বলেন, ইসলামের নামে রাজনীতি করেন। গণতন্ত্র হলো বিষ মাখানো দুধের মাখনের মতো। নির্বাচনে যাবেন না বলেও বিগত নির্বাচনে শেখ হাসিনার আঁচল ধরে গেছেন। প্রত্যেক সময় জনগণের সঙ্গে মুনাফেকি করছেন। অথচ আপনারা ইশারা-ইঙ্গিতে বিএনপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছেন। জনগণ জানে কারা নিজেদের অঙ্গিকার রক্ষা করে।

যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষ আন্দোলনে পিছপা হয় না। ১৭ বছর এত অত্যাচারের পরও হাসিনার কাছে মাথানত করিনি। হাসিনার বিচার দৃশ্যমান চাই। বিচার ছাড়া ঘরে ফিরে যাবো না।

আড়ালে সবাই আওয়ামী লীগকে কাছে চায়: নুর
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : সবাই মুখে মুখে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের বিচার দবি করলেও তাদের বিচারের জন্য ধারাবাহিক কর্মসূচি দিচ্ছে না উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ভোটের রাজনীতিতে আড়ালে সবাই আওয়ামী লীগকে কাছে চায়।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এটি একটি অশনিসংকেত। যেসব দল গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে তাদের ক্লিয়ার করা উচিৎ, আওয়ামী লীগের বিষয়ে তাদের অবস্থান কী।

অনুষ্ঠানে দলটি থেকে জানানো হয়, গণহত্যার বিচারের দাবিতে ৬৪ জেলায় ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবেন তারা।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন লিখিত বক্তব্যে বলেন, হাজার হাজার পঙ্গু ও আহত হওয়ার এই বর্বরোচিত ঘটনা ও ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার সঠিক বিচার না হলে ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থাকে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ গণহত্যার বিচার হতে হবে। কিন্তু আসামিদের গ্রেফতার, জেলে ও দেশের বাইরে রেখে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন হিসেবে জনগণের পক্ষ থেকে আগামীকাল ৫ ফেব্রুয়ারি জুলাই গণহত্যায় জড়িত গণহত্যাকারীসহ বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমে দেশের সম্পদ লুটপাট ও দেশের অর্থ বিদেশে পাচারে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার ও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার নিষ্পত্তি -এর দাবিতে ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এসময় গণঅধিকার পরিষদ ৫টি দাবি উপস্থাপন করে

১. জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

২. বিদেশে পলাতক গণহত্যার মাস্টারমাউন্ড শেখ হাসিনাসহ সবাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার এবং গণহত্যায় জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।

৩. ফ্যাসিবাদের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থপাচারে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করা।

৪. গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় রাষ্ট্র সংস্কার ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কার্যকর সংস্কার নিশ্চিতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুর্নগঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।

৫. বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রেজিমের গুম-খুন ও ১৪, ১৮ এবং ২৪ সালের ভুয়া নির্বাচনে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপনা করেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য নূরে এরশাদ সিদ্দিকী, আরিফ তালুকদার, ফাতেমা তাসনীম, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া প্রমুখ।

সংস্কারের নামে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা যাবে না: রিজভী
                                  

অনলাইন ডেস্ক : সংস্কারের নামে জনগণের চোখে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি আরও বলেছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে আপনারা (অন্তর্বতী সরকার) সংস্কার করলে করুন, কিন্তু সংস্কারের নামে গণতন্ত্রকে মজবুত শক্তিশালী করতে জনগণের ক্ষমতা, সেটি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক দল। অন্তর্বর্তী সরকারকে সাপোর্ট দেই। কিন্তু আপনাদের (সরকারকে) মনে রাখতে হবে আপনাদের সিদ্ধান্ত যেন গণবিরোধী না হয়। গরিব মানুষ মারার সিদ্ধান্ত যেন না হয়। এমনিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিদিন বাড়ছে। চালের দাম কমাতে পারেননি। তার মধ্যে যদি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় তাহলে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা ছাড়া কিছুই নয়।

তিনি বলেন, সংস্কারের নামে জনগণের চোখে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা যাবে না। বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে আপনারা সংস্কার করলে করুন কিন্তু সংস্কারের নামে গণতন্ত্রকে মজবুত শক্তিশালী করার জন্য যে কাজগুলো রয়েছে... গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে জনগণের শক্তি, জনগণের ক্ষমতা। সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তার জন্য নির্বাচনের তারিখ ঠিক করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কে সংগঠন তৈরি করবে, কে দল তৈরি করবে সেই দায়িত্ব হচ্ছে সেই ব্যক্তির। এই দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার নয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা আপনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) করতে হবে। তা না হলে জনগণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে যে শেখ হাসিনার কোনো প্রেতাত্মা আবার জন্ম নেয় কি না। একটা সংশয় দেখা দেবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতা, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, সহ-অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, এস এ জিন্নাহ কবিরসহ নেতাকর্মীরা।

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা আপাতত সমর্থন করছি না: মান্না
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থার প্রস্তাবটি সুন্দর হলেও জাতির তথা বৃহত্তর স্বার্থে এটিকে আমি আপাতত সমর্থন করছি না।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘শাসন ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

মান্না বলেন, যে স্বৈরাচারকে এত লড়াই করে ফেলে দিয়েছি, সেই স্বৈরাচারের ভোটের হার এখনো অনেক বেশি। সংখ্যানুপাতিক হারে ভোট হলে তারা অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে। তা ছাড়া ওই দল যদি ভোট করবার সুযোগ পায়, তাদের পদত্যাগ বিষয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু সরকার বলছে না আমরা নিষিদ্ধ করবো না। নিষিদ্ধ যদি না করেন তাহলে তারা নির্বাচন করবে না কেন।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, সংখ্যাানুপাতিক নির্বাচন প্রস্তাবটি খুবই সুন্দর। আমার জন্য বেশি সুন্দর, কিন্তু সমগ্র জাতির জন্য নয়। এতে করে আওয়ামী লীগের যদি ৪০টা এমপি আসে। তারপর আমি এমপি থাকতে পারবো কি না সন্দেহ আছে। তারা বলবে জনগণের রায় আমাদের পক্ষে, তুমি কে? কয়টা ভোট পেয়েছো তুমি? তোমার কয়টা এমপি আছে?

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, গত পরশুদিন এবং গতকালকেও আওয়ামী লীগের লোকজন লিফলেট বিতরণ করেছে। কীভাবে করতে পারলো তারা? আমাদের পুলিশ কি করেছে? তারপর দেখলাম আমাদের প্রশাসনের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন এরপর কেউ করলে তাকে অ্যারেস্ট করা হবে। তারা তো ঘোষণা দিয়েছে ১৫ দিন আগে, ১৫ দিন ধরে আপনারা কি করলেন? আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার এ প্রশাসন এখনো তৈরি করতে পারেনি। আমরা সফলতা কামনা করছি, কিন্তু তারা সফল হতে পারছে না। তারা যদি সফল হতে পারতো, তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না।

নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে মান্না বলেন, আপনি নিশ্চয়ই নৃশংসভাবে আমাদের দেশের শিশু-কিশোর, শ্রমজীবী মানুষদের যে নির্বিচারে গুলি করে মারা হয়েছে সেটার বিচার চান। আমিও এর বিচার চাই। কিন্তু আপনি বললেন বিচার করার আগে ভোট হবে না। বিচার করতে কতদিন লাগবে? আপনি আদালতকে বলতে পারবেন বিচার শেষ করতে হবে। তাহলে তো আদালতে হস্তক্ষেপ করা হয়। কিন্তু আদালত যদি মনে করে বিচার করতে আরও সময় লাগবে। এবং বিচার করতে যদি পাঁচ বছর লাগে, তাহলে কি পাঁচ বছর পরে নির্বাচন করবেন? সম্ভব? দ্রব্যমূল্য দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে, এতদিনেও সরকার কি কিছু করতে পেরেছে? বাস্তবতা মেনে নিতে হবে, শুধু আবেগ দিয়ে চললে আমাদের সমস্যা সমাধান হবে না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন গণমুক্তি জোটের সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আমিনুল করিমসহ প্রমুখ।

কিশোরগঞ্জের পাঁচটি আসনে জামায়াতের প্রার্থিতা ঘোষণা
                                  

জেলা প্রতিনিধি : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টিতে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ৫টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপু) আসনে অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক আলী ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মোড়ল, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ঢাকা জর্জ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ রোকন রেজা, কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী ও কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়াচর) আসনে ভৈরব উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা কবির হুসাইন। কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে।

সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে আগে নির্বাচন প্রয়োজন: তারেক রহমান
                                  

সংস্কারের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে আগে নির্বাচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শ্যামপুরের কদমতলী বালুর মাঠে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

তারেক রহমান বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে যাদেরকে জনগণ দায়িত্ব দেবে সংস্কারের কাজ তারাই শুরু করতে পারবে, তাদেরকেই শুরু করতে হবে। সংস্কারকে যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে দেশকে ও দেশের মানুষকে তত দ্রুত আমরা বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব।

তিনি বলেন, কোনো কোনো ব্যক্তি বলেন নির্বাচন হলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আমি বলি, সঙ্গে সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচিত সরকার আসলে সমস্যার জট ও গিট্টুগুলো আস্তে আস্তে খোলা যাবে।
 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের আলাপ-আলোচনা যতবেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ ততই সংকটে পড়বে। নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি দেরি হয়, সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলে স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে আবারও দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসবে। ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে।

তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের সামনে একমাত্র বিএনপিই সংস্কারের কথা বলেছিল। আড়াই বছর আগেই এই ৩১ দফা দেওয়া হয়েছিল। ৩১ দফার সঙ্গে সরকারের সংস্কার প্রস্তাবনায় খুব বেশি ফারাক নেই। 

১০ টাকা কেজি চাল দেওয়ার মতো মিথ্যা আশ্বাস না দিয়ে বাস্তবতার আলোকে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চাই বলেনও জানান তিনি।

সুস্থ হয়ে দুবাই থেকে সৌদি গেলেন বাবর
                                  

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে সৌদি আরব গেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। এ সময় লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে ছিলেন ছেলে লাবিব বিন জামান ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুর রহিম রিপন।

জানা গেছে, ওমরাহ পালনে সৌদি আরবের জেদ্দা যাওয়ার পথে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে হঠাৎ প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয় বাবরের। পথে দুবাইয়ে প্রায় আট ঘণ্টা চিকিৎসা নিয়ে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন সদ্য কারামুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। পরে তিনি সৌদি আরবের উদ্দেশে দুবাই ত্যাগ করেন।

আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন জানান, দুবাই হাসপাতালে জরুরি বিভাগে প্রায় আট ঘণ্টা চিকিৎসা নেন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি সুস্থতা অনুভব করলে তাকে সৌদি আরবে যাওয়ার অনুমিত দেওয়া হয়। পরে বিকেলে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সপরিবারে ঢাকা থেকে জেদ্দা যাওয়ার পথে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে হঠাৎ তার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়। পরে দুবাইয়ে বিমান অবতরণের পর বিমানবন্দরের কাছে একটি ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়।

বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
                                  

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, নির্বাচন, পরবর্তী আন্দোলন ও রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করতে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। এর আগে ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বৈঠকে উপস্থিত আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম, নির্বাহী সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ মজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা শহীদুল ইসলাম, জামাল নাসের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল হক কাওসারী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা রশিদ বীন ওয়াক্কাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন খান।

কেন্দ্র-তৃণমূলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, কীভাবে হবে আ.লীগের হরতাল-অবরোধ?
                                  

অনলাইন ডেস্ক : গণঅভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ ছয় মাস পর আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ১৬ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচির কথা জানিয়েছে, যার লক্ষ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ। এছাড়া, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে লিফলেট বিতরণ এবং বিক্ষোভ-সমাবেশও করার কথা রয়েছে তাদের।

দলটির ‘পলাতক’ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলছেন— এই অবৈধ সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।

এই কর্মসূচি ঘোষণা করার সময়ে আওয়ামী লীগ এমন এক পরিস্থিতিতে রয়েছে, যেখানে দলের শীর্ষ ও তৃণমূল নেতাদের অনেকেই বর্তমানে কারাগারে অথবা পলাতক। দলের সভাপতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত ছয় মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। ৫ আগস্টের পর অনেক নেতাকর্মী মামলা, হামলা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, আওয়ামী লীগের জন্য রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের এই আন্দোলন ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, বরং জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া হচ্ছে। দলের মতে— বর্তমানে দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অন্য নানা কারণে সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট এবং এই অসন্তোষই তাদের আন্দোলনের জন্য উসকানি দিচ্ছে। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এই আন্দোলন জনগণের দাবি আদায়ের জন্য। মানুষ এখন এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

তবে, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ নেতারা গ্রেফতার, নির্যাতন বা মামলা মোকাবেলার ভয়ে এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে চাইছেন না। তাদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, ‘এখনকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে না।’ তাদের বক্তব্য, ‘দেশের বাইরে বসে নেতারা তো কর্মসূচি দিয়েই নিরাপদে আছেন, তাদের মাঠে নামার প্রয়োজন নেই। আমাদের ওপরেই সব কিছু আসবে।’

আওয়ামী লীগের কিছু নেতার মতে— এই কর্মসূচি দলের মনোবল বাড়াতে এবং তৃণমূলকে চাঙ্গা করতে সহায়ক হতে পারে। জেলা পর্যায়ের এক নেতা বলেন, এতে কর্মীদের উৎসাহ বাড়বে, দলও শক্তিশালী হবে’।

অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি আওয়ামী লীগ আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, তারা তা প্রতিহত করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি রাস্তায় আসে, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। তাদের রাজনীতি আর এই দেশে করতে দেওয়া হবে না।’

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ যদি এই আন্দোলন চালিয়ে যায়, তবে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছেন, কোনো দেশই খুনি ও দুর্নীতিবাজদের পুনরায় ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেয় না। আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।’

এছাড়া, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এই মামলায় বেশ কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন, আর শেখ হাসিনাসহ অনেক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করতে পারলে, তা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কিছু নেতার মতে— আন্দোলন সফল করতে হলে সিনিয়র নেতাদের প্রথমে মাঠে নামা উচিৎ, তবেই তৃণমূলের কর্মীরা সাহস পাবে। তবে, কিছু নেতা মনে করেন, দলীয় কর্মসূচির সফলতা দেশের মানুষের মধ্যে শক্ত সমর্থন পাওয়ার ওপর নির্ভর করবে। ‘আমরা সাধারণ মানুষের পাশে আছি, তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে,’ বলেছেন বাহাউদ্দিন নাছিম। সূত্র: বিবিসি


   Page 1 of 214
     রাজনীতি
জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে জামায়াত আমিরের প্রতিক্রিয়া
.............................................................................................
দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও, চক্রান্ত মুক্ত হয়নি: গয়েশ্বর চন্দ্র
.............................................................................................
১১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী জনসভা করবে বিএনপি
.............................................................................................
পালিয়ে গিয়েও উসকানি দিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত করছে হাসিনা: জামায়াত আমির
.............................................................................................
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপির বিবৃতি
.............................................................................................
আ.লীগ বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে পঙ্গু করে রেখেছিল : মাসুদ
.............................................................................................
সার্বিক পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনা দায়ী: জামায়াত আমির
.............................................................................................
সংস্কারের কথা বলে দেরি করা ষড়যন্ত্র কি না দেখতে হবে: তারেক রহমান
.............................................................................................
আড়ালে সবাই আওয়ামী লীগকে কাছে চায়: নুর
.............................................................................................
সংস্কারের নামে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা যাবে না: রিজভী
.............................................................................................
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা আপাতত সমর্থন করছি না: মান্না
.............................................................................................
কিশোরগঞ্জের পাঁচটি আসনে জামায়াতের প্রার্থিতা ঘোষণা
.............................................................................................
সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে আগে নির্বাচন প্রয়োজন: তারেক রহমান
.............................................................................................
সুস্থ হয়ে দুবাই থেকে সৌদি গেলেন বাবর
.............................................................................................
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
.............................................................................................
কেন্দ্র-তৃণমূলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, কীভাবে হবে আ.লীগের হরতাল-অবরোধ?
.............................................................................................
জুনে গণপরিষদ নির্বাচনসহ ১১ দফা ঘোষণা বিপ্লবী পরিষদের
.............................................................................................
নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
.............................................................................................
জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার পরিণতি ৫ আগস্ট: তারেক রহমান
.............................................................................................
আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা
.............................................................................................
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জামায়াতীকরণ করা হয়েছে: রিজভী
.............................................................................................
বিএনপি-ইসলামী আন্দোলনের বৈঠক দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনসহ ১০ বিষয়ে ঐকমত্য
.............................................................................................
ভিন্নমত থাকতে পরে, তবে আমাদের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন: তারেক রহমান
.............................................................................................
গণতন্ত্রের বাইরে অন্য উদ্দেশ্য থাকলে ভালো হবে না: আমীর খসরু
.............................................................................................
এক-এগারোর ভয় দেখিয়ে সমর্থন নিতে চায় সরকার : রিজভী
.............................................................................................
সব ইসলামি দল এক হয়ে নির্বাচনের ইঙ্গিত চরমোনাই পীরের
.............................................................................................
হাসপাতাল থেকে তারেক রহমানের বাসায় গেলেন খালেদা জিয়া
.............................................................................................
বিএনপির ‘কথার টোন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে’: নাহিদ ইসলাম
.............................................................................................
মুজিব গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, জিয়া ফিরিয়ে দিয়েছেন: দুদু
.............................................................................................
এক-এগারোর পরিণতি বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি: মির্জা আব্বাস
.............................................................................................
আজ তারেক রহমানের বাসায় যাবেন খালেদা জিয়া
.............................................................................................
আবু সাঈদের ঋণ এ জাতির পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়: ডা. শফিকুর
.............................................................................................
অভ্যুত্থানের লক্ষ্যই ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন
.............................................................................................
কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
.............................................................................................
অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না: ফখরুল
.............................................................................................
জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারের রিভিউ শুনানি আজ
.............................................................................................
‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত
.............................................................................................
সংস্কার প্রশ্নে ৩১ দফার দিকে তাকান: দুদু
.............................................................................................
দ্রুত নির্বাচন দেওয়া জরুরি: আমান
.............................................................................................
জামায়াত একলা চলো নীতি অবলম্বন করেছে: গয়েশ্বর
.............................................................................................
আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য এত সহজ নয়: তারেক রহমান
.............................................................................................
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে বাবর
.............................................................................................
জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ
.............................................................................................
মুক্তিযুদ্ধের সত্য-সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে: তারেক রহমান
.............................................................................................
আ.লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে যা বললেন ফখরুল
.............................................................................................
দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন জিয়াউর রহমান: ফখরুল
.............................................................................................
দুপুরে ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি
.............................................................................................
মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারেক রহমান
.............................................................................................
ছাত্রদলের ১০ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
.............................................................................................
নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন মানি না: ফয়জুল করীম
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD