“ফিজিক্স এডুকেশন ইন দি সেকেন্ডারি এন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল”শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
মঈন মাহমুদ : বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির আয়োজিনে `মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পদার্থবিদ্যা শিক্ষা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ নভেম্বর, সকালে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেমিনারের উদ্বোধনী সেশনে হয়েছে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ শৌকত আকবরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম আখতার হোসাইন স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সেমিনারের উদ্বোধনী সেশন শুরু করেন। সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড. মোঃ শৌকত আকবর সভাপতির বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া নতুন পাঠ্যক্রম প্রবর্তন এবং এই পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন না করায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, “Physics Education in the Secondary and Higher Secondary Levels” সেমিনারটি শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের স্তরে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা এবং বিশেষত পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম-কানুন শিখে, যা তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা এবং পেশাগত জীবনের ভিত্তি তৈরি করে। ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী তৈরিতে পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষার মান উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম সেমিনারে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাঁদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কার করা হবে। এছাড়া, বিদেশে অবস্থানরত অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকার ইতিমধ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরের উন্নয়নে এবং সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে কাজ শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন। উদ্বোধনী সেশন শেষে অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম সেমিনারের টেকনিক্যাল সেশন এবং প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রতিটি সেশনে সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। টেকনিক্যাল সেশনে অংশ নেওয়া বক্তাগণ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে পাঠ্যপুস্তক রচনার প্রক্রিয়া এবং মান উন্নয়নের উপায় বিষয়ে মূল্যবান মতামত এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক, গবেষক এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আলোচনাপ্রসূত বিষয়গুলো দেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থার দিক নির্দেশনা প্রদান করবে। পদার্থবিজ্ঞানের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সমতাভিত্তিক ও মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আজকের আলোচনা দেশের পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে সেমিনারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। সেমিনারে যথাযথ কারিকুলাম অন্তর্ভূক্তকরণ, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, দক্ষ শিক্ষক তৈরীতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম গ্রহন, সঠিকমানের পাঠ্যপুস্তক প্রনয়ণ, শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো এবং শিক্ষাখাতের বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেমিনারের সুপারিশকৃত বিষয়াদি বর্তমান সরকার বিবেচনা করবেন বলে উল্লেখ করেন। পরিশেষে, অধ্যাপক ড. রতন চন্দ্র ঘোষ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং সেমিনারে উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
|
মঈন মাহমুদ : বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির আয়োজিনে `মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পদার্থবিদ্যা শিক্ষা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ নভেম্বর, সকালে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেমিনারের উদ্বোধনী সেশনে হয়েছে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ শৌকত আকবরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম আখতার হোসাইন স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সেমিনারের উদ্বোধনী সেশন শুরু করেন। সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড. মোঃ শৌকত আকবর সভাপতির বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া নতুন পাঠ্যক্রম প্রবর্তন এবং এই পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন না করায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, “Physics Education in the Secondary and Higher Secondary Levels” সেমিনারটি শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের স্তরে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা এবং বিশেষত পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম-কানুন শিখে, যা তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা এবং পেশাগত জীবনের ভিত্তি তৈরি করে। ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী তৈরিতে পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষার মান উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম সেমিনারে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাঁদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কার করা হবে। এছাড়া, বিদেশে অবস্থানরত অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকার ইতিমধ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরের উন্নয়নে এবং সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে কাজ শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন। উদ্বোধনী সেশন শেষে অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম সেমিনারের টেকনিক্যাল সেশন এবং প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রতিটি সেশনে সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। টেকনিক্যাল সেশনে অংশ নেওয়া বক্তাগণ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে পাঠ্যপুস্তক রচনার প্রক্রিয়া এবং মান উন্নয়নের উপায় বিষয়ে মূল্যবান মতামত এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক, গবেষক এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আলোচনাপ্রসূত বিষয়গুলো দেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থার দিক নির্দেশনা প্রদান করবে। পদার্থবিজ্ঞানের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সমতাভিত্তিক ও মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আজকের আলোচনা দেশের পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে সেমিনারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। সেমিনারে যথাযথ কারিকুলাম অন্তর্ভূক্তকরণ, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, দক্ষ শিক্ষক তৈরীতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম গ্রহন, সঠিকমানের পাঠ্যপুস্তক প্রনয়ণ, শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো এবং শিক্ষাখাতের বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেমিনারের সুপারিশকৃত বিষয়াদি বর্তমান সরকার বিবেচনা করবেন বলে উল্লেখ করেন। পরিশেষে, অধ্যাপক ড. রতন চন্দ্র ঘোষ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং সেমিনারে উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
|
|
|
|
মঈন মাহমুদ : ইনার হুইল ক্লাব অব ঢাকা নাইটিঙ্গেলের অফিসিয়াল ক্লাব ভিজিট অব দি ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান ৩০ নভেম্বর রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনার হুইল ক্লাব ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮ চেয়ারম্যান শাহানা আলম নির্ঝর। একই দিনে ক্লাবটির জেনারেল মিটিং এবং ফান এন্ড ফেলোশিপ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট ভাইস চেয়ারম্যান জেসরিনা হায়দার, শামীম খন্দাকার, প্রাক্তন ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান শাহিনা রফিক, ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি মাহমুদা মাহবুব রুমা। এ সময় ইনার হুইল ক্লাব অব ঢাকা নাইটিঙ্গেল এর প্রেসিডেন্ট নাহিদ ফরমান ও সেক্রেটারি রায়ানা আকন্দসহ ঢাকা নাইটিঙ্গেল ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে থেলাসেমিয়া ফাউন্ডেশনকে ২টি হুইল চেয়ার, আলোর প্রদীপকে সেলাই মেশিন, স্পর্শ ফাউন্ডেশন ও বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনকে নগদ অর্থ অনুদান দেওয়া হয়। ইনার হুইল ক্লাব নারীদের একটি জনসেবামূলক আন্তর্জাতিক সংগঠন, যা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ সংগঠনের সদস্য ইনার হুইল ক্লাব অব ঢাকা নাইটিঙ্গেল। সংগঠনটি নারী ও শিশুদের উন্নত জীবন গঠনের পাশাপাশি দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনের মানোন্নয়নে কাজ করে আসছে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি ও পরিবেশ উন্নয়ন। একই সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অবলম্বন বাড়ানোর প্রত্যয়ে নিয়োজিত রয়েছেন এ সংগঠনের প্রতিটি সদস্য।
|
|
|
|
রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে আটকের পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে অসুস্থতাসহ নানা দিক বিবেচনায় জামিন নেওয়ার শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, পুলিশ মুন্নি সাহাকে আটক করেনি।
স্থানীয় জনতা তাকে আটক করলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। একপর্যায়ে তাকে ডিবিতে আনার পর প্যানিক অ্যাটাক হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৭ ধারায় জামিন নেওয়ার শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। দেড়টা-দুইটার মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ হবে।
সাংবাদিক মুন্নী সাহা এটিএন নিউজের শুরু থেকে টিভি চ্যানেলেটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৩১ মে এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ‘এক টাকার খবর’ নামের নতুন একটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার পরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘এক টাকার খবরে’র অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে যান মুন্নী সাহা।
জনতা টাওয়ারের সামনে সবজি কেনার সময় জনতার তোপের মুখে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণ তাকে ঘিরে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তাদের কাছ থেকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় মুন্নি সাহাকে। ওই সময় তার বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলার মধ্যে যে কোনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে এমন কথা জানিয়েছিল তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন।
এমনকি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলেও জানানো হয়। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম।
সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুন্নী সাহাসহ ৭ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।
|
|
|
|
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দেশের অর্থনীতির শ্বেতপত্র হস্তান্তর করেছে ‘শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি’। রোববার (১ ডিসেম্বর) কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্র তুলে দেন।
জানা গেছে, প্রতিবেদনে বিগত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সরকারের নানামুখী উদ্যোগ, উন্নয়ন প্রকল্পে প্রশ্নবিদ্ধ অর্থ ব্যয়, বিদেশি ঋণের অর্থ ব্যবহার, আর্থিক তথ্যে গরমিল, ব্যাংক খাতের লুটপাট, জিডিপি-মূল্যস্ফীতির তথ্যে নয়-ছয় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে অস্বচ্ছতা ও রাজস্ব আহরণে পদক্ষেপের বিষয়টিও উঠে এসেছে। এছাড়াও সংকট থেকে উত্তরণের পদক্ষেপও সুপারিশ করেছে কমিটি।
আগামীকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে।
|
|
|
|
দেশে গত এক বছরে এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন। এ বছর নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৮ জন। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি (এইডসের ভাইরাস) পজিটিভ শনাক্তের পর এবার এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এদের মধ্যে ৫৫ শংতাংশই বিবাহিত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (টিবি-এল অ্যান্ড এএসপি) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। এ উপলক্ষে দেশের এইডসসংক্রান্ত নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্ব এইডস দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’।
তরুণ বয়সী ও দুই ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী নিয়ে ভাবনা: চলতি বছর নতুনভাবে আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ ভাগেরই বয়স ২৫ থেকে ৪৯ বছর। আর ২১ ভাগের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছর। গত বছর এই তরুণ বা ১৯ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ছিল ১৬ ভাগ।
এ বছর মোট আক্রান্তের মধ্যে ১০ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। গত বছর এ হার ছিল ১২ শতাংশ। মোট সংক্রমণের ১ শতাংশ হিজড়া। গত বছরও তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার এমনই ছিল।
এই তিন গোষ্ঠীসহ সমকামী, নারী যৌনকর্মী, শিরায় মাদক সেবনকারীরাও এইচআইভির ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিবি-এল অ্যান্ড এএসপির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, ‘বৈশ্বিকভাবেই বয়সে নবীন জনগোষ্ঠী এইচআইভির ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের এখানেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আর মিয়ানমারে থাকতেই রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইচআইভির সংক্রমণ ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। রোহিঙ্গাসহ হিজড়াদের মধ্যে আসলে আগের চেয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বেড়েছে। তাই শনাক্তও হচ্ছে বেশি।’
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএন এইডসের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সায়মা খান বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত ও সেবার পরিধি বেড়েছে। তবে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া রোধে প্রচারকাজ বাড়ানো যেতে পারে। আর পাঠ্যক্রমে এ বিষয়ে আরও সচেতনতামূলক বিষয় যুক্ত করা দরকার।
বিবাহিতদের মধ্যে সংক্রমণ বেশি, মৃত্যু নিয়ে শঙ্কা: চলতি বছর যতজন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত। আর অবিবাহিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ। বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত রয়েছেন ৫ শতাংশ।
গত বছর বিবাহিতদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৬০ শতাংশ। আর অবিবাহিতদের মধ্যে তা ছিল ৩১ শতাংশ। গত বছরের মতো এবারও ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এইচআইভিতে।
গত বছর এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৬৬। এবার এ সংখ্যা ১৯৫। মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলেও তা এখনো শঙ্কাজনক পর্যায়ে আছে বলেই মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম। এই ভাইরোলজিস্ট বলেন, এখন এইচআইভির চিকিৎসার ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত। তারপরও এত মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। মৃত্যুর কারণ হতে পারে নিয়মিত এবং যথাযথ চিকিৎসা নিচ্ছেন না আক্রান্ত ব্যক্তিরা। আবার যেসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, তা প্রতিরোধী হয়ে উঠছে কি না, সে বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার।
|
|
|
|
দেশ ও জাতির স্বার্থে সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিকালে কাজ করে যাচ্ছে। দিনরাত পরিশ্রম করছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের সংবর্ধনা ও সেনাবাহিনীর শান্তিকালীন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, আমরা যেন দেশ জাতিকে একটি ভালো ও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারি সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি। দেশের যে পরিস্থিতি চলছে, সেখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায় সেভাবে আমরা কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন ও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে শান্তিকালীন সময়ে বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচ জনকে সেনাবাহিনী পদক (এসবিপি), পাঁচ জনকে অসামান্য সেবা পদক (ওএসপি) ও ১৮ জনকে বিশিষ্ট সেবা পদক (বিএসপি) পরিয়ে দেন।
এর আগে, অনুষ্ঠানের শুরুতে খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাঁথা এবং শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
প্রসঙ্গত, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর সেনাসদর এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
|
|
|
|
বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের রায় আজ (রোববার) ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবেন।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছায়।
নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।
শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর, আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক), আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক), মো. খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর (পলাতক), মো. ইকবাল (পলাতক), লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক), তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আবদুল হাই (পলাতক) এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক)।
আসামিদের মধ্যে ২২ জন খালাস চেয়ে আপিল করেছেন। অপরদিকে ১২ জন আসামির জেল আপিল দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতা-কর্মী।
|
|
|
|
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শনিবার রাতে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে কিছু লোক ঘেরাও করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
তবে প্যানিক অ্যাটাকে অসুস্থ থাকায় জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, কারওয়ান বাজারে লোকজন মুন্নী সাহাকে ঘেরাও করেছিল। তখন তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ডিবিতে আনা হয়। যেহেতু তার নামে চারটি মামলা আছে, সেগুলোতে জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে এর আগে, তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন জানান, সাংবাদিক মুন্নী সাহা রাত ১০টার দিকে কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারের অফিস থেকে বের হওয়ার পর কিছু ব্যক্তি তাকে ঘিরে ধরেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় গ্রেফতার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্নী সাহাকে নিয়ে যাওয়ার পর শতাধিক ব্যক্তি তার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।
মুন্নী সাহা ‘এক টাকার খবর’ নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক।
গত ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে মুন্নী সাহার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়।
ভোরের কাগজ দিয়ে মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু। সেখান থেকে তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়।
এটিএন নিউজের শুরু থেকেই তিনি যুক্ত ছিলেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে বিরোধের জেরে ২০২৩ সালের ৩১ মে মুন্নী সাহা এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম।
সে মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে ৭ সাংবাদিককে আসামি করা হয়, তাদের একজন মুন্নী সাহা।
|
|
|
|
বাতিল করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন, ২০১০। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর গত বৃহস্পতিবার আইনটি বাতিল করে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে, ২০ নভেম্বর এই আইন বাতিলের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দেয়। তবে, আইনটি বাতিল হলেও, ওই আইনের অধীনে হওয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তিগুলো বজায় থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এই আইনের অধীনে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। বিগত সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার আইনটি স্থগিত করে। গত ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট এই আইনের দুইটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করে। অধ্যাদেশ অনুমোদনের সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা-৬ এর অধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনমনে প্রবল বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে।’ গত ১৪ নভেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর ধারা ৬(২) ও ধারা ৯ হাইকোর্ট বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করেন।
|
|
|
|
বছর ঘুরে আবার এসেছে বাঙালির অহংকার বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি তার আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা ও স্বাধীন পতাকা পেয়েছিল যে মাসে, তার নাম ডিসেম্বর। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের বয়স এখন ৫৩ বছর। এ বিজয়ের মাসে পুরো কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতিই হৃদয়ের অঞ্জলি ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহার্ঘ স্বাধীনতা।
আজ ১ ডিসেম্বর। ৫৩ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই ডিসেম্বরেই বাঙালির নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুলাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই ডিসেম্বরের ১৬ তারিখেই আমরা পেয়েছিলাম দেশের স্বাধীনতা। শহীদদের আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, একটি লাল সবুজের পতাকা। তাই ডিসেম্বর মাস বাঙালি জাতিসত্তা আর নিজস্ব ভূমির গৌরবদীপ্ত বিজয় ও অহংকারের মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসেই। প্রতি বছরের মতো এবারও বিজয়ের মাসে দেশবাসী বিজয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত হবে। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও শোকে মুহ্যমান হয়ে মাথা নোয়াবে অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। নানা আয়োজনে সবার চেতনায় ধ্বনিত হবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথার স্মৃতিচারণ আর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় পুনর্জাগরণ, মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়-সামাজিক-আর্থিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মানবোধ জাগানোর লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি পালিত হবে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রতিটি রাজনৈতিক দল দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বিএনপি, জামায়াত থেকে শুরু করে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।
|
|
|
|
মিয়া আবদুল হান্নান : আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ চরমোনাই মাহফিল, ভক্তরা পেলো পরিশুদ্ধতার নির্দেশনা দিয়েছেন আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অগ্রহায়ণ মাহফিল। গত বুধবার ২৭ নভেম্বর বাদ যোহর থেকে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর কামেল চরমোনাই এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে আজ শনিবার ৩০ নভেম্বর সকালে সমাপনী অধিবেশন ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় লাখো মুসল্লীদের এ মিলন মেলা। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, নিজেকে নিজে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব ও তাকাব্বুরী পরিত্যাগ করতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। ঘোড়ার মুখে যেভাবে লাগাম থাকে সেভাবে রাগের মুখে লাগাম লাগাতে হবে। প্রতিনিয়ত সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে ক্বলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। গীবতের মতো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। যে যেখানে পারেন সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালীমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহীহ শুদ্ধভাবে সুরা-কেরাত, কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে। পরিবারে খাছ পর্দা জারি করতে হবে। সকল প্রকার নেশাজাত দ্রব্য হতে বাচিয়া থাকতে হবে।
সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্তায় যারা আছেন সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। আখেরি মোনাজাতে ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। উল্লেখ্য, মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে বুধবার রাত ১১টায় খুলনার মোহাম্মদ. আলতাফ হোসেন এবং একই দিন রাত ১০টায় ঢাকার রফিকুল ইসলাম (৬৩) বার্ধক্যজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মাহফিলে তাদের জানাজার নামাজ শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এবারের মাহফিলে চার জন অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মত মনে করতে হবে। সুতরাং তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ঐ মানুষ এমনকি আলেম, মুফতী ও পীরের কোন মূল্য নেই। আখেরী বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হবার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি তাওবা করিয়ে গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকার শপথ করান। আখেরী মুনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়া সহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। উল্লেখ্য, মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে ২৭ নভেম্বর রাত ১১টায় খুলনা নিবাসী মোঃ আলতাফ হোসেন (৬৫) পিতা মৃত ইজহার আলী এবং একই তারিখ রাত ১০টায় রায়েরবাগ, ঢাকা নিবাসী রফিকুল ইসলাম (৬৩) পিতা সালামত উল্লাহ বার্ধক্যজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। উভয়ের জানাযা শেষে মাহফিল হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। চরমোনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে এবছর প্রায় দুই সহস্রাধিক মুসল্লীর চিকিৎসা দেয়া হয়। এবারের মাহফিলে ৪ জন অমুসলিম পীরসাহেব চরমোনাই ও শায়খে চরমোনাইর হাতে বায়েত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন।
|
|
|
|
মিয়া আবদুল হান্নান : সভাপতি পদে আবু সালেহ আকন ৮০১ ভোট আর মাইনুল হাসান সোহেল পেয়েছেন ৫৪৮ ভোট। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ২০২৫ সালের জন্য সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আবু সালেহ আকন।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মুরসালিন নোমানীর চেয়ে দ্বিগুণ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন । তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৮০১টি।এদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাইনুল হাসান সোহেল। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৫৪৫ ভোট। শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয় বিকেল ৫টায়। দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারণ সদস্যরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার একঘণ্টার মধ্যে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। সোয়া ৬টার দিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ। ডিআরইউ নির্বাচনে এবার সভাপতি পদে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিন জন। তাদের মধ্যে এর আগের দুইবার নির্বাচিত সভাপতি বাসসের চিফ রিপোর্টার মুরসালিন নোমানী ৪৯৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়, শরিফুল ইসলাম (বিলু) ১০২ ভোট পান। নয়া দিগন্তের চিফ রিপোর্টার আবু সালেহ আকন সর্বোচ্চ ৮০১ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। সহসভাপতি পদে গাযী আনোয়ার ও ওসমান গণি বাবুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে গাযী আনোয়ার ৬৯৮ পেয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হোন।
সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল কাফি ২৮৯ ভোট, মাহমুদুল হাসান ২১০ ভোট, শাহনাজ শারমীন ৩৬৪ ভোট পান। সর্বোচ্চ ৫৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হোন। যুগ্ম সম্পাদক পদে মো. জাফর ইকবাল ভোট পান ৬৪৪ ভোট, নাদিয়া শারমিন ৭২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে এম এম জসিম ৪২৬ ভোট, এস এম মিজান ২৯৩, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম ১০১ ভোট পান। সর্বোচ্চ ৫৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আবদুল হাই তুহিন। দপ্তর সম্পাদক পদে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এ পদে কিরণ শেখ ভোট পান ৬৫৬ ভোট, তবে রফিক রাফি ৬৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হোন। নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ফারহানা হক নীলা ভোট পান ৪০১। সর্বোচ্চ ৯০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন রোজিনা রোজী। প্রচার প্রকাশনা পদে মো. মোহসিন হোসেন ভোট পান ৫৩৬, ৭৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত মিজান চৌধুরী। তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক পদে দেলোয়ার হোসেন মহিন ৫৮৪ ভোট পান, মো. শরিফুল ইসলাম ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাকসুদা লিসা ৫২৫ ভোট পান মজিবুর রহমান ৭৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির) সর্বোচ্চ ৯২৭ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ৮৩৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন আক্তারুজ্জামান, ৭৬৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় বোরহান উদ্দীন, ৭০৯ ভোট পেয়ে আমিনুল হক ভূঁইয়া চতুর্থ, ফারুক আলম ৬৩৬ ভোট পেয়ে পঞ্চম, ৫০৬ ভোট পেয়ে সুমন চৌধুরী ষষ্ঠতম ও সলিম উল্ল্যাহ (এসআই সলিম) ৪০৬ ভোট পেয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান ও আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) কল্যাণ সম্পাদক পদে রফিক মৃধা নির্বাচিত হয়েছেন।
|
|
|
|
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন-২০২৪ এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবু সালেহ আকন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাইনুল হাসান সোহেল।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ।
ফলাফল অনুযায়ী, ডিআরইউর সভাপতি পদে ৮০১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন দৈনিক নয়া দিগন্তের আবু সালেহ আকন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুরসালিন নোমানী পেয়েছেন ৪৯৬ ভোট। ফলে নোমানীকে প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যাবধানে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আবু সালেহ আকন।
ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক ইনকিলাবের মাইনুল হাসান সোহেল ৫৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনাজ শারমিন পেয়েছেন ৩৬৪ ভোট। এই পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল কাফি ২৮৯ ভোট, মাহমুদুল হাসান ২১০ ভোট পান।
যুগ্ম সম্পাদক পদে মো. জাফর ইকবাল ভোট পান ৬৪৪ ভোট, নাদিয়া শারমিন ৭২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে এম এম জসিম ৪২৬ ভোট, এস এম মিজান ২৯৩, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম ১০১ ভোট পান। সর্বোচ্চ ৫৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আবদুল হাই তুহিন।
দফতর সম্পাদক পদে কিরণ শেখ ভোট পান ৬৫৬ ভোট, তবে রফিক রাফি ৬৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ফারহানা হক নীলা ৪০১ ভোট পান। সর্বোচ্চ ৯০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন রোজিনা রোজী। প্রচার প্রকাশনা পদে মো. মোহসিন হোসেন ভোট পান ৫৩৬, ৭৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত মিজান চৌধুরী।
তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক পদে দেলোয়ার হোসেন মহিন ৫৮৪ ভোট পান, মো. শরিফুল ইসলাম ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাকসুদা লিসা ৫২৫ ভোট পান মজিবুর রহমান ৭৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির) সর্বোচ্চ ৯২৭ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ৮৩৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন আক্তারুজ্জামান, ৭৬৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় বোরহান উদ্দীন, ৭০৯ ভোট পেয়ে আমিনুল হক ভূঁইয়া চতুর্থ, ফারুক আলম ৬৩৬ ভোট পেয়ে পঞ্চম, ৫০৬ ভোট পেয়ে সুমন চৌধুরী ষষ্ঠতম ও সলিম উল্ল্যাহ (এসআই সলিম) ৪০৬ ভোট পেয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান ও আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) কল্যাণ সম্পাদক পদে রফিক মৃধা নির্বাচিত হন।
এর আগে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু অনুষ্ঠিত হয়।
|
|
|
|
সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন।
এদিন রাজধানীর কাওরান বাজারে এক টাকার খবরের অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে গিয়ে জনতার তোপের মুখে পড়েন সাংবাদিক মুন্নী সাহা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে তেজগাঁও থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়।
|
|
|
|
কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (এসএমডব্লিউ-৪) রক্ষণাবেক্ষণের কারণে (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে। আজ শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত (মোট ২ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট) কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের সিমিইউ-৪ এর চেন্নাই প্রান্তে চেন্নাই ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে এবং সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সময়ে এসএমডব্লিউ-৪ এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই রুটে এবং সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে।
এ কারণে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে বিএসসিপিএলসি।
|
|
|
|
মঈন মাহমুদ : প্রতারণার অভিযোগে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) থেকে ‘ডোম ইনো’কে স্থায়ীভাবে বহিস্কার ও সদস্যপদ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিক ও ফ্ল্যাটের ক্রেতাবৃন্দ। শনিবার (৩০ নভেম্বর) এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
ভুক্তভোগী শতাধিক জমির মালিক ফ্ল্যাটক্রেতারা জানান, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ও আপাদমস্তক প্রতারক এক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ডোম ইনোর বিরুদ্ধে আমরা কিছু কর্মসূচি নিয়েছি ; ডোম ইনোর সাথে সকল জমির মালিকদের চুক্তিপত্র বাতিল ও ক্ষতিপূরণ প্রদান, ফ্ল্যাটক্রেতাদের জনা ন্যায্য ব্যবস্থাগ্রহণ, ডোম ইনোর স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ, এদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধকরণ ও ডোম ইনোর রিহ্যাবের সদস্যপদ বাতিলকরণের দাবিতে ইতিমধ্যে আমরা সংবাদ সম্মেলন, প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ডোম ইনোর প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও রাজউক চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।
ফ্ল্যাট মালিক আদনান সোবহান বলেন বলেন, রিহ্যাব অফিসেও আমরা একাধিকবার উপস্থিত হয়ে ডোম ইনোর রিহ্যাব সদস্যপদ বাতিলের জন্য লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু, তারা নানা অজুহাতে তা এড়িয়ে যাচ্ছে। উপরন্ত, ডোম ইনোর নানা অপকর্মকে উপেক্ষা করে তারা গত বছর রিহ্যাব মেলায় ডোম ইনোকে gold sponsership প্রদান করেছে। এ নিয়ে রিহ্যাব মেলায় সচেতন ফ্লাটক্রেতারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিরোধের মুখে ডোম ইনো বাধ্য হয়েছে রিহ্যাব মেলা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারে।
গত আগস্টে দেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তিত হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই লাগছে পরিবর্তনের হাওয়া। আমরা মনে করি, রিহ্যাবকেও কুখ্যাত ডোম ইনো নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। রিহ্যাবের নতুন কমিটি বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদানপূর্বক দুটি দাবি পেশ করছি। ১। ডোম ইনো নামধারী সকল প্রতিষ্ঠানের রিহ্যাব সদস্যপদ বাতিল করতে হবে এবং ২। রিহ্যাব থেকে ডোম ইনো নামধারী সকল প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।
আশা করি, রিহ্যাব শত শত ভুক্তভোগীর উপরোক্ত দাবিসমূহ মেনে নেবে। রিহ্যাব কর্তৃপক্ষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে উক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না করলে রিহ্যাবের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী গ্রহণে বাধ্য হবো।
|
|
|
|
|
|
|
|