বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * গঙ্গার টানেল দিয়ে মেট্রোরেলের ট্রায়াল শুরু এপ্রিলে   * মুন্সীগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, শিলায় ফসলের ক্ষতি   * যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাত, নিহত ২৩   * আ’লীগ নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ শেখ হাসিনার   * ২৫ মার্চের গণহত্যার স্বীকৃতি চাইলেন জয়   * পৃথিবী-চাঁদের মধ্য দিয়ে নিরাপদে চলে যাবে বড় এক গ্রহাণু   * রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী   * বেইলি রোডের অভিজাত ইফতার দামেও চড়া   * ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষের কোনো পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার: মেদভেদেভ   * গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী  

   শিল্প-সাহিত্য -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রাঙা রচিত " উনিশ " শ " একাত্তর রক্ত স্নাত পাবনা " বইয়ের মোড়ক " উন্মোচন

ফজলুর রহমান খান: পাবনার আটঘরিয়ার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রাঙা রচিত উনিশ " শ " একাত্তর রক্ত স্নাত পাবনা " বইয়ের মোড়ক " উন্মোচন গত মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারি পাবনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. কাজী কারুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম ও পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরীর সম্পাদক আব্দুল মতীন খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ বুলবুল এর ছোট ভাই সুজানগর উপজেলার রাণীনগর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আলম পিযুষ,আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নেরশহীদ এমএ গফুর এর পুত্র লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার, স্মরণে প্রজন্ম ৭১ পাবনার ভারপ্রাপ্ত সমন্ময়ক তোফাজ্জল হোসেন মামুন, ভাঁড়ারা গ্রামের শহীদ পরিবারের সন্তান রস্না শেখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আক্তারুজ্জামান জর্জ।                                                                                     

 

 
 
 
 
বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রাঙা রচিত " উনিশ " শ " একাত্তর রক্ত স্নাত পাবনা " বইয়ের মোড়ক " উন্মোচন
                                  
ফজলুর রহমান খান: পাবনার আটঘরিয়ার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রাঙা রচিত উনিশ " শ " একাত্তর রক্ত স্নাত পাবনা " বইয়ের মোড়ক " উন্মোচন গত মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারি পাবনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. কাজী কারুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম ও পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরীর সম্পাদক আব্দুল মতীন খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ বুলবুল এর ছোট ভাই সুজানগর উপজেলার রাণীনগর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আলম পিযুষ,আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নেরশহীদ এমএ গফুর এর পুত্র লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার, স্মরণে প্রজন্ম ৭১ পাবনার ভারপ্রাপ্ত সমন্ময়ক তোফাজ্জল হোসেন মামুন, ভাঁড়ারা গ্রামের শহীদ পরিবারের সন্তান রস্না শেখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আক্তারুজ্জামান জর্জ।                                                                                     

 

 
 
 
 
এক লোকমা ভাত
                                  

মো: আরিফ ঊল্লাহ


বৃষ্টিময় সকাল, দমকা হাওয়া বইছে। মেঠো পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছি। হাঁটতে হাঁটতে বাজারের খানিক সামনে এসে দেখি কিছু মানুষ একজোট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ভেবেছিলাম কোন বেদ - বেদী হয়তো সাপের খেলা দেখাচ্ছে অথবা বিশাল আকারের কোনো মাছ আজ বাজারে ওঠেছে। কিন্তু না, বাতাসের সাথে ভেসে আসছিল কান্নার শব্দ। এবার পথ পরিবর্তন না করে পারলাম না, একটু যেতেই শুনি কেউ করুণ কন্ঠে আর্তনাদ করছে;

- আরে আর নো- মাইজ্জ, (আমাকে আর মেরো না)।

- আরে আর নো মাইজ্জ,

- আই আর ন— গইজ্জোম,(আমি আর এমন করবো না)।

তারপর আমার পাশ দিয়ে ৮-৯ বছরের এক শিশু চিৎকার করতে করতে যাচ্ছে। আর বলছে:

-ওমা অনে হড়ে? আব্বারে মারিফেলের।

(আম্মাজান আপনি কোথায়? আব্বুকে মেরে ফেলছে)।

ভীড় ঠেলে লোকটিকে দেখার ব্যর্থ চেষ্টা করলাম কারণ তার চেহারা দেখতে পাইনি। না দেখার পেছনের কারণ হল, তাকে এমনভাবে প্রহার করা হইয়েছে যে, সে মাথা তুলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখলেও চিনতে পারতাম না। তখনি এক মহিলা (২৫-২৮),

এক লুঙ্গিওয়ালার পায়ে ধরে সে কি আর্তনাদ ! কিন্তু পাষণ্ড বহদ্দারের ( টলারের মালিক) মনে তার এই আহাজারি পৌঁছেনি। সেই মহিলার পাশে নিষ্পাপ আরো দুই সন্তান, যাদের চোখের জল আর নাকের পানি মিলে একাকার।

কিন্তু নিষ্ঠুর লুঙ্গিওয়ালার মনে যে দয়া হয়না,

বরং চিৎকার করে বলছে:

- ইতে এত্তোর সাহস হত্তু পাইলো?

(সে এতো সাহস কোথায় পেলো?)

- আর মাছ আরে নো- হই বেচি ফেলাইলো!!!

(আমার মাছ আমাকে না বলে বিক্রি করে দিলো!)


তারপর ঐ মহিলাকে উদ্দেশ্য করে বলছে:

- তরে আর তর জামাইরে হাস্যবাজার (কক্সবাজার) আর নো- দেহি ফান। (তোকে আর তোর জামাইকে আর কখনো কক্সবাজারে যেন না দেখি।) তারপর সেই জেলেকে ছেড়ে দেয়া হলো। তাকে রিক্সায় বসানোর অনেক চেষ্টা করা হলেও সে নিজের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারছিলনা। শেষ পর্যন্ত তাকে রিক্সার পাটাতনে রাখা হলো। কারণ বসার ক্ষমতা যে সে হারিয়ে ফেলেছে। হায়রে গরিব! লোকটিকে রিক্সায় করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আর পাশে ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশু গুলির কান্নায় সারা মহল্লা যেন স্থবির হয়ে গেল।

খানিক পর জানতে পেলাম ঐ ব্যক্তি মাছ ধরার টলারের কাজ করে। সে বহদ্দারকে (টলারের মালিক কে) না জানিয়ে কিছু মাছ বিক্রি করায় তার উপর এমন অমানবিক অত্যাচার চালানো হইয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে বিগত ৬ মাস বেকার ছিল। বৃদ্ধ মা, তিন সন্তান ও তার স্ত্রীকে নিয়ে তার পরিবার। যাদের মুখে এক লোকমা ভাত দিতে গিয়ে তাকে চুরির মতো অপরাধ করতে হলো। এর পর এই জেলেকে আর আমাদের মহল্লায় দেখা যায়নি।

জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী আজ
                                  

নিউজ ডেস্ক : আজ ১২ ভাদ্র জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশের শিল্পী-সাহিত্যিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

তাছাড়া, শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে।

কবি নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় তার ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।

নজরুল বাংলা ভাষা সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি কবিতা, সংগীত, উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, চলচ্চিত্রে নিজের অবদান রেখেছেন। ছিলেন সাংবাদিক, গায়ক ও অভিনেতা। সংগীতে তার অনবদ্য অবদান এখনো তারার মতো উজ্জ্বল।

প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল।

লেখকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ। তার লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে স্বাধীন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে কবি নজরুলকে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয়। তাকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা।

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাবির বিশেষ সমাবর্তনে কবিকে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধি দেওয়া হয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি কবি একুশে পদকে ভূষিত হন।

জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ২০২১ পেলেন ৪ জন
                                  

সাহিত্য ডেস্ক : বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ২০২১ পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগম, তরুণ কথাসাহিত্যিক সঞ্জয় পাল, কবি মারুফা মিতা ও দিপন দেবনাথ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ।

‘জেমকন সাহিত্য পুরস্কার’ ক্যাটাগরিতে কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগমকে ‘কোলাহল থামার পরে’ উপন্যাসের জন্য ৫ লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র; ‘জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার’ ক্যাটাগরিতে কথাসাহিত্যিক সঞ্জয় পালকে ‘দ্বীপরাজ’ নামে উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির জন্য ১ লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র এবং ‘জেমকন তরুণ কবিতা পুরস্কার’ ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে মারুফা মিতার কবিতার পাণ্ডুলিপি ‘বোতামঘর’ ও দিপন দেবনাথের ‘আদি ফসিলের গান’র জন্য উভয়কে ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের জেমকন সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিকদের হাতেও পুরস্কারের ক্রেস্ট ও আর্থিক সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত মাসরুর আরেফিন, জেমকন তরুণ কথাসাহিত্যিক পুরস্কার যৌথভাবে জব্বার আল নাঈম ও ধ্রুপদী রিপন, জেমকন তরুণ কবিতা পুরস্কার কবি হাসনাইন হীরার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেমকন গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি এ পর্যন্ত পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে বলেন, ‘আমাদের জেমকন গ্রুপের সহযোগী সংগঠন সাপ্তাহিক খবরের কাগজ এবং দৈনিক আজকের কাগজের নামেই ২০০০ সালে এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। এ পুরস্কারের নাম ছিল কাগজ পুরস্কার। তরুণ কথাসাহিত্যিকদের উৎসাহিত করতে এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। তখন তাদের পাণ্ডুলিপি জুরি বোর্ডে দেওয়া হয়, তখন তাদের নাম থাকে না। যাতে লেখক না লেখাকে মূল্যায়ন করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনার কারণে জেমকন সাহিত্য পুরস্কার গতবছর অনুষ্ঠান করে দেওয়া যায়নি। এ কারণে একটু ছেদ পড়েছে। আশা করছি আগামীতে আমরা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পুরস্কার প্রদান অব্যাহত রাখতে পারবো। আমি বিচারকদের ধন্যবাদ জানাই কষ্ট করে পাণ্ডুলিপি পড়ে বিজয়ীদের নির্বাচিত করার জন্য।’ এ সময় তিনি এ পুরস্কারের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘আমাদের অখণ্ড বাংলা সাহিত্যের পতাকা যারা হাতে তুলে নিয়েছিলেন, তাদের একটু একটু করে দেখলাম। যারা আজ পুরস্কার পেলেন কবি হিসেবে, কথাকার হিসেবে, তারা নিজেদের সামনে অতিক্রম যোগ্য ফলক নির্দিষ্ট করে দিলেন। আমরা পাঠকরা এরপর থেকে লক্ষ্য করবো তারা পরবর্তীকালে নিজেদের কীভাবে অতিক্রম করে যাচ্ছে।’

পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগম বলেন, ‘আমি পুরস্কারের জন্য জেমকন গ্রুপ ও বিচারকদের ধন্যবাদ জানাই। আমি সমাজের একটা সমস্যাকে কেন্দ্র করে আমার বই লিখেছি। আমাদের সমাজ নারীবান্ধব নয়। বাড়ির ভেতর নারীদের প্রতি যে নির্যাতন হয়, সেটি তুলে ধরেছি। এই উপন্যাস বহুল পাঠের মধ্য দিয়ে এই সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কবি মোহাম্মদ সাদিক, কবি-অধ্যাপক ড. বনানী চক্রবর্তী, কবি নিখিলেশ রায়, কথাশিল্পী আহমাদ মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

কবিগুরুর ১৬১তম জন্মবার্ষিকী আজ
                                  

নিউজ ডেস্ক : আজ ২৫ বৈশাখ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের (৭ মে ১৮৬১ খিষ্টাব্দ) এ দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের অনন্য ব্যক্তিত্ব ও কালজয়ী এ কবি।

‘মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে এ বছর জাতীয় পর্যায়ে বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বসাহিত্যের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রতিভাদের একজন। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে যার অবদান অসামান্য। তার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য পায় নতুন রূপ। ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননশীলতা দিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে বিরল সম্মান আর্জন করেন তিনি।

বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার ‘অভিলাষ’ কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা।

১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়।

১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।

১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়।

রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।

ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণকে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন।

পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন- রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন।

রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তার রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ ও ‘জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে’ গানদুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত। এছাড়া শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতের কথাও তার গানের অনুবাদ।

তারার মাঠে
                                  

কিছু জ্বলজ্বল করছে...

একটি সাপের চোখ, সম্ভবত?

ঘাসের উপর ছায়া

সারাদিন খেলা

একটি প্রজাপতি এখনও কাঁপছে একটি ফুলের উপর বিশ্রাম

ডানার তালি-

একটি পাখি দূরে দূরে উড়ে যায়

শোন!

গাছে রস উঠছে

আগামীকালের রূপালী শিশির

দূরে নয়

এবং কিছু ফোঁটা মেঘে পৌঁছেছে,

স্বর্গ

এবং এখন পৃথিবীতে বিচরণ

এক ফোঁটা গোলাপের উপর পড়ল

অন্য একটি পাতায় -

শরতের নিঃশ্বাস

জলপ্রপাত প্রবেশ

তোমার নীরবতা

এখন, সকালের সূর্যালোকের প্রথম রশ্মি পড়ে

আপনার শরীরের উপর

আমি বাতাস

যে বার্লি কাঁপানো

মেঘ লুকিয়ে রাখে চাঁদ প্রিয়,

তোমার মুখ কোথায়?

চাঁদের আলো

মৃদুভাবে একটি গুহা মধ্যে গাছমছমে

ঝকঝকে তারা |

 

জীবনের ওজনের উপরে

আমি তারার মাঠে ঘুরে বেড়াই

একটি একাকী প্রজাপতি।

 

Written by: Maki Starfield

Translated by: Dr Jahangir AlamRustom

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ১৫ জন
                                  

সাহিত্য ডেস্ক : ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ১১ বিভাগে ১৫ গুণীজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে।

২৩ জানুয়ারি বিকেলে বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- কবিতায় আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ, কথাসাহিত্যে ঝর্না রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধ বা গবেষণায় হোসেনউদ্দীন হোসেন, অনুবাদে আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী, নাটকে সাধনা আহমেদ, শিশুসাহিত্যে রফিকুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় পান্না কায়সার, বঙ্গবন্ধু-বিষয়ক গবেষণায় হারুন-অর-রশিদ, বিজ্ঞান বা কল্পবিজ্ঞান বা পরিবেশ বিজ্ঞানে শুভাগত চৌধুরী, আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা বা ভ্রমণকাহিনিতে সুফিয়া খাতুন ও হায়দার আকবর খান রনো এবং ফোকলোর বিভাগে আমিনুর রহমান সুলতান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করবেন।’

সেবা প্রকাশনীর কাজী আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন
                                  

সাহিত্য ডেস্ক : সেবা প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা, রহস্য-ঔপন্যাসিক কাজী আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন। ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে তিনি বারডেমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন পূত্রবধূ মাসুমা মায়মুর।

মাসুমা মায়মুর ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ‌‘গত অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখ প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে। মাঝে পাঁচ বার হসপিটালাইজড ছিলেন। চিকিৎসার সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায়নি। একটা ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্টঅ্যাটাক হয়ে সব শেষ হয়ে গেল। ১০ জানুয়ারি থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে।’

বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে রহস্য-রোমাঞ্চ গল্পকে জনপ্রিয় করে তুলে ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন। তাঁর সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমে তৈরি হয় এ সাহিত্যধারার পাঠকশ্রেণি। তিনি ‌‘বিদ্যুৎ রায়’ এবং ‘শামসুদ্দিন নওয়াব’ ছদ্মনামে লিখেছেন অসংখ্য গল্প।

পাঠকদের কাছে তিনি পরিচিত প্রিয় কাজীদা নামে। প্রখ্যাত গণিতবিদ ও সাহিত্যিক বাবা কাজী মোতাহের হোসেন ও মা সাজেদা খাতুনের ঘরে ১৯৩৬ সালের ১৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন কাজী শামসুদ্দিন নওয়াব।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের পূর্ব সীমানায় উত্তর ও দক্ষিণ কোণে যে দুটি দোতালা গেস্ট হাউজ আজও দেখা যায়, সেখানেই উত্তরের দালানটিতে আনোয়ার হোসেনের ছেলেবেলা কেটেছে। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন বাড়ি বদল করে তারা দক্ষিণ দিকের গেস্ট হাউজে চলে যান।

পরিবারের সংগীতচর্চার ধারাবাহিকতায় প্রথমে সংগীতশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও ১৯৬৩ সালে বাবার দেওয়া টাকায় সেগুনবাগিচায় প্রেসের যাত্রা শুরু করেন। পরে সেই প্রেস থেকেই নিজের সম্পাদনায় পেপারব্যাকে সৃষ্টি করেছেন চিরতরুণ চরিত্রগুলো। ‘কুয়াশা’ ও ‘মাসুদ রানা’ সিরিজ দিয়ে আলোচনায় আসেন কাজী আনোয়ার হোসেন।

কবি মনজুরে মওলা আর নেই
                                  

অনলাইন ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কবি ও প্রাবন্ধিক মনজুরে মওলা।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বাংলা একাডেমি থেকে জানানো হয়, মনজুরে মওলার জানাজা ও দাফনের বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

জানা গেছে, গত ৫ ডিসেম্বর করোনা পজিটিভ হওয়ার পর মনজুরে মাওলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান তিনি।

মনজুরে মওলা পেশাজীবনে ছিলেন আমলা৷ আশির দশকের শুরুর দিকে তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন।

তার মেয়াদকালেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ‘ভাষা শহীদ গ্রন্থমালার’ ১০১টি বই বাংলা একাডেমিতে তার অসামান্য কীর্তি।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
                                  

অনলাইন ডেস্ক : আজ ১২ ভাদ্র। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১৯৭৬ সালের শোকের মাসেই এদিনে শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে গমন, পুষ্পার্ঘ অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা। সকাল সাড়ে দশটায় প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে আলোচনা সভা ।বাংলা একাডেমি কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করেছে। সকালে একাডেমির পক্ষ থেকে জাতীয় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
বেলা ১১ টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে স্বাগত বক্তৃতা করবেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। একক বক্তব্য দিবেন এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে নজরুলের কবিতা থেকে আবৃত্তি এবং নজরুলগীতি পরিবেশনা।

কবি,সাহিত্যিক শঙ্খ ঘোষ নজরুলের মৃত্যু নিয়ে লিখেছেন, নজরুলের কথা আজ যখনই মনে পড়ে আমাদের, মনে পড়ে মিলনগত এই অসম্পূর্ণতার কথা। আর তখন মনে হয়, বাক শক্তিহারা তাঁর অচেতন জীবনযাপন যেন আমাদের এই স্তম্ভিত ইতিহাসের এক নিবিড় প্রতীকচিহ্ন। যে সময়ে থেমে গেলো তার গান, তাঁর কথা, তাঁর অল্পকিছু আগেই তিনি গেয়েছিলেন, `ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে, জাগায়োনা জাগায়োনা ।`
রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ্য করে তাঁর এই কথাগুলো নজরুলকেই ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে শঙ্খ ঘোষ বলেন, `তাঁর কথাগুলো আমরা যেন ফিরিয়ে দিতে পারি তাঁকেই, `যেন আমরাই ওগুলি বলছি নজরুলকে লক্ষ্য করে।`
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম `দুখু মিয়া`। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।

নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করে। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন এবং ধানমন্ডিতে কবিরকে একটি বাড়ি দেন। বাসস

কবিগুরুর ১৫৯তম জন্মজয়ন্তী
                                  

`তোমার প্রকাশ হোক কুহেলিকা করি উদ্ঘাটন-সূর্যের মতন। রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন। উদয়দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে, মোর চিত্তমাঝে-চির-নূতনেরে দিল ডাক পঁচিশে বৈশাখ।`

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর `হে নূতন` গানে চির নতুনের মধ্যে দিয়ে তার নিজের পৃথিবীকে আগমনের শুভক্ষণকে তুলে ধরেছিলেন। আজ সেই পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জয়ন্তী।

বাঙলির মানসপটে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সদাই বিরাজমান। তিনি আমাদের অহংকার। বাঙালির জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্য আছে, তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন কবিগুরু।

আজ কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন তিনি। সার্বজনীন এ কবি বাংলাভাষা সাহিত্যকে নিয়ে গেছেন বিশ্ব দরবারে। তাইতো নাগরিক মধ্যবিত্ত মননে আজও বাজে কবির অনিন্দ্যসুন্দর সব গান।
আনন্দ, বেদনা, কিংবা বিরহ, ভালোবাসা প্রতিটি প্রকাশেই বাংলা ভাষাভাষির প্রাণের আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ।

নিজের সময়ে থেকেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ধারণ করেছিলেন অনাগত কালকে। তাইতো সব সৃষ্টি কর্মই এখনো সমান আবেদন নিয়ে মুগ্ধ শ্রোতারা। মধ্যযুগীয় উপনিবেশিক সাহিত্যের বেড়াজাল থেকে বাংলা সাহিত্যকে আধুনিকতায় মুক্তি দিয়েছিলেন কবিগুরু।

বাংলা সাহিত্যের অনন্যপ্রতিভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সাহিত্যের সব কটি ধারা। কবিগুরুর হাতেই মূলত সার্থক বাংলা ছোটগল্পের সূত্রপাত। এরপর গান-কবিতায় তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। মূলত সে উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন বাংলা সাহিত্যকে।

রবীন্দ্রনাথ বাংলার কবি, বাঙালির কবি। তবে তিনি নিজেকে বিশ্বচরাচরের অংশ হিসেবে বিশ্বাস করতেন। বাঙালির উদ্দেশে তিনি বলেছেন, `তুমি নিছক বাঙ্গালী নও, তুমি বিশ্বচরাচরের অংশ।` সকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রেমের মধ্যে বাঁচতে বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। সঙ্গে যুক্ত করতে বলেছেন- প্রাণীজগৎ, নিসর্গ, প্রকৃতিকে । শুধু তাই নয়, শিল্পের জগত, কল্পনার জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের বিস্তার ঘটাতে বলেছেন । পাশাপাশি কাজ করেছেন কৃষক ও জনমানবের জন্যও।

পিতা দেবেন্দ্রনাথ দেশ ভ্রমণের নেশায় বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে অতিবাহিত করতেন। তাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা কেটেছিল ভৃত্যদের অনুশাসনে।

শৈশবে তিনি কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নরম্যাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করেন। ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে অথবা বোলপুর ও পানিহাটির বাগানবাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।

৮ বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার উদ্দেশে তিনি ইংল্যান্ড যান। সেখানে তিনি ব্রাইটনের একটি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। ১৮৭৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।

প্রায় দেড় বছর ইংল্যান্ডে কাটিয়ে ১৮৮০ সালে কোনো ডিগ্রি না নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। ১৮৮৩ সালের ভবতারিণীর সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহিত জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী।

এর মধ্যেই চলতে থাকে তার সাহিত্যচর্চা। ১৮৯১ সাল থেকে বাবার আদেশে নদিয়া, পাবনা, রাজশাহী ও উড়িষ্যার জমিদারি তদারকি শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে তিনি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন।

১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে শিলাইদহ ছেড়ে চলে আসেন বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌঁছে দিয়েছেন বিকাশের চূড়ান্ত সোপানে। বাংলা ভাষার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলী রচনা করে ১৯১৩ সালে পান সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। যার অর্থ দিয়ে তিনি এ দেশে শাহজাদপুরের দরিদ্র কৃষকদের ঋণ দেয়ার উদ্দেশে প্রতিষ্ঠা করেন কৃষি ব্যাংক। ওপার বাংলায় গড়ে তোলেন শান্তিনিকেতন।

আবার রাজপথে নেমে এসেছেন। করেছেন বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে। পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ছুড়ে ফেলেন ব্রিটিশ সরকারের দেয়া `নাইটহুড` উপাধিও।
এদিকে চলমান মহামারি করোনার কারণে জনসমাগম এড়াতে এবছর দিনটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই কবিগুরুকে স্মরণ করতে সরকারিভাবে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

আজ (৮ মে) সকাল ১০টায় বিটিভিতে এটি দেখানো হবে। এটির সহযোগিতায় আছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

ধারণকৃত বিশেষ অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে সাংস্কৃতিক বিদ্যাপীঠ ছায়ানটেও। প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় একটি ভিডিও অনুষ্ঠান প্রচার করবে তারা। `ওই মহামানব আসে` শিরোনামের এ আয়োজনটি গ্রন্থনা করেছেন ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুন। দেখানো হবে ছায়ানটের ওয়েবসাইটে।

আজ চৈত্রসংক্রান্তি
                                  

অনলাইন ডেস্ক : বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ ৩০ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। বাংলা সনের সবশেষ মাস চৈত্রের শেষ দিন। চৈত্র মাসের এ দিনটি বাঙালির সনাতন সম্প্রদায়ের লৌকিক আচারের দিন ‘চৈত্রসংক্রান্তি’। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই কেটে যাবে দিনটি। দিনটি শেষ হলেই শুরু বাংলা নববর্ষ ১৪২৭। নববর্ষকে আবাহন করতেও থাকবে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। করোনার ভয়াবহতা আমাদের জানান দিচ্ছে লোকসমাগমের অনুষ্ঠান করো না।

বাঙালি সনাতন হিন্দুরা বাংলা মাসের শেষ দিনে শাস্ত্র ও লোকাচার মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস ক্রিয়াকর্ম করে থাকেন। আচার অনুযায়ী, এ দিনে বিদায় উত্সব পালন করে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। দোকানপাট ধুয়েমুছে বিগত বছরের যত সব জঞ্জাল, অশুচিতাকে দূর করতে চায়। কারণ রাত পেরোলেই খোলা হয় ব্যবসায়িক হিসাবনিকাশের নতুন খাতা। সে উত্সবের চিরচেনা নাম ‘হালখাতা’। তবে করোনার কারণে সব হালখাতা সব আয়োজন বন্ধ। বৈশাখকে বরণ করতে এ বছর আর কোনো আয়োজন চলছে না। বাংলা নববর্ষকে বরণের জন্য রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বের হবে না মঙ্গল শোভাযাত্রা। রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রভাতি আয়োজন শুরু ১৯৬৭ সাল থেকে। এরপর ১৯৭১ সাল ছাড়া প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে এবার সেই বর্ষবরণ আর মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে না।

প্রতিবছর রাজধানীতে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও গানের দল সুরেরধারা দিনটি ব্যাপক আয়োজনে উদযাপন করলেও এবার কোনো আয়োজন নেই। নাগরিক জীবনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে পুরোধা সংগঠন ছায়ানটও তাদের ঐতিহ্যবাহী রমনা বটমূলের প্রভাতি অনুষ্ঠান বাতিল করলেও রমনা বটমূলের বিগত কয়েক বছরের অনুষ্ঠানগুলোর ভিত্তিতে একটি ধারণকৃত অনুষ্ঠান বিটিভি প্রচার করবে।

এ প্রসঙ্গে ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন বলেন, বর্তমান মহামারিতে বিশ্বজুড়ে অগণ্য মানুষের জীবনাবসান ও জীবনশঙ্কার ক্রান্তিলগ্নে ছায়ানট এবার ‘উৎসব নয়, সময় এখন দুর্যোগ প্রতিরোধের’ এই অঙ্গীকার নিয়ে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান উপস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টায় অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে। বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপটে ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুনের সমাপনী কথন যুক্ত করা হয়েছে। বিটিভি ছাড়াও অনলাইনে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে।

বিশ্ব বাঙালি পুরস্কার পেলেন যারা
                                  

বাংলাদেশ ও ভারতের ৫ জন কীর্তিমান বাঙালি পাচ্ছেন এ পুরস্কার। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন-প্রফেসর এমিরেটস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (বাংলাদেশ), অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় (ভারত), অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (বাংলাদেশ), কবি পার্থ বসু (ভারত) এবং অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য (ভারত, সাবেক ভিসি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়)। শিশুদের হাতদিয়ে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

পুলিশের প্রেম
                                  

মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন : চট্টগ্রামের একটা আলোচিত ঘটনা দিয়ে লেখালেখিটা শুরু করতে চাই। গণমাধ্যমের বদৌলতে ঘটনাটি সবার মুখেমুখে।

৭ জানুয়ারি-২০১৯, রাত আটটা। কনকনে শীত। চট্টগ্রাম মহানগরের আগ্রাবাদ জাতিতাত্বিক জাদুঘরের সামনের ফুটপাতে ময়লা পানিতে ভরপুর ছোট্ট নালা। সেই নালার পাশে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। আশপাশে বহু মানুষ দাঁড়িয়ে ওই নারীর আর্তনাদ দেখছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু যন্ত্রণা উপেক্ষা করে ওই নারী ফুটপাতে জন্ম দিলেন ফুটফুটে এক শিশু। মায়ের নাড়িতে জড়িয়ে থাকা নবজাতকটি (শিশুটি) ফুটপাতের ধুলোবালিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। ততক্ষণেও কোনো লোক এগিয়ে এলো না। বাড়িয়ে দেননি কেউ সহযোগিতার হাত, ওই অসহায় মানসিক ভারসাম্যহীন প্রসূতি মা ও তাঁর পিতৃপরিচয়হীন শিশু সন্তানটির প্রতি। অনেকটা সবাই হা করে শিশুটির ভুবন ফাটানো কান্না আর মায়ের আত্মচিৎকার উপভোগ করছিলেন।
এরকম পরিস্থিতিতে কোনো বিবেকবান মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে ? মোটেও না।
মুহুর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে এলেন একজন মানুষ। তিনি দ্রুত মা ও শিশুটিকে নিয়ে গেলেন পাশের হাসপাতালে। পকেটের টাকা খরচ করে প্রাণে বাঁচলেন মা ও শিশুকে।
যিনি মা ও শিশুটিকে রক্ষা করলেন তাঁর নাম মাসুদুর রহমান। তিনি পুলিশের একজন গর্বিত সদস্য। তিনি ডবলমুরিং থানা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাসুদুর রহমান। মানবিক ভুমিকা পালনের জন্য এসআই মাসুদুর রহমানের সুনাম আজ দেশব্যাপী। মুমুর্ষ মানব সন্তানকে প্রাণে বাঁচিয়ে তিনি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন।
পুুলিশ শুধু খারাপ কাজটি করে, তা কিন্তু না। এসআই মাসুদুর রহমানের মতো অনেক মানবিক পুলিশ দেশে আছেন। এরকম মানবিক কাজের উদাহরণ অনেক দেয়া যায়। পুলিশের জন্মও সম্ভবত একারণে।
ইংরেজি ‘Police’ শব্দের অর্থ তা ই প্রমাণ করে।
যেমনঃ-
P-Polite (ভদ্র)
O-Obedient (বাধ্য)
L-Loyet (অনুগত্য, বিশ্বস্ত)
I-Intelligent (বুদ্ধিমান, মেধাসম্পন্ন)
C-Courageous (নির্ভিক, সাহসী)
E-Efficient (দক্ষ)
অর্থাৎ পুলিশের আচরণ হবে সুন্দর ও মানবিক। একজন পুলিশ সদস্য সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করেন, মানুষকে অন্যায় কাজ থেকে দুরে রাখতে পারেন। মানুষ যেটা পারেনা, পুলিশ সেই কাজটা করে দেখিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। একজন আদর্শবান পুলিশ দেশ ও জাতির সম্পদ। একজন পুলিশ সরকারের আইন প্রয়োগকারী, আইন রক্ষাকারী ও মানুষকে বিভিন্ন আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন। তবে কিছু পুলিশ সদস্য তাঁর মূল আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিভিন্ন খারাপকাজ অথবা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ঘুষ-দুর্নীতি অথবা অন্যায়ভাবে আয়রোজগার করেন। তাঁরা মানুষের কাছে মানবিক পুলিশ হতে পারেন না। পুলিশের মতো সকল পেশায় এরকম কিছু দুষ্টবুদ্ধি-খারাপ প্রকৃতির মানুষ থাকেন। তারা তাদের দায়িত্ব আদর্শ এবং দায়বদ্ধতা থেকে বিচ্যুত হয়ে যান। অন্যদিকে একজন মানবিক, সৎ, বুদ্ধিসম্পন্ন ও সাহসী পুলিশই পাওে, পুলিশ বাহিনীর সুনাম ধরে রাখতে, দেশের আইনশৃংখলা ঠিক রাখতে। জনগণের বন্ধু হতে।

বাংলাদেশ পুলিশের কাজ অনেক। আইনশৃংখলা রক্ষা, অপরাধ দমন, অপরাধীদের গেস্খপ্তার, মামলা গস্খহণ, বিচারে সহায়তা, সড়কের শৃংখলারক্ষা, ভিআইপি নিরাপত্তা-প্রটৌকলসহ অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয় পুলিশকে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগও পুলিশের নিতে হয়। বলতে গেলে এক পুলিশের অনেক কাজ।

দেশে এখন পুলিশের মোট জনবল ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫২০ জন। জাতিসংঘের মান অনুযায়ী শান্তির সময় নাগরিক এবং পুলিশের আদর্শ অনুপাত হলো ৪০০:১। কিন্তু বাংলাদেশে এই অনুপাত বর্তমানে ৮২২: ১। আর বাংলাদেশ পুলিশের মোট জনবলের শতকরা ৭ ভাগ এখন নারী। ১৯৮৯ সন থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরাও ধারাবাহিকভাবে অংশ নিচ্ছেন। মিশনে নারী পুলিশ যুক্ত হয়েছে ২০১০ সন থেকে। শান্তি মিশনে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে জাতিসংঘের নয়টি মিশনে ১ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এরমধ্যে নারী পুলিশ সদস্যের সংখ্যা তিন শতাধিক। আগে অধিকাংশ পুলিশ সদস্যের হাতে মানুষ লাঠি দেখতো। এখন লাঠি তুলে নিয়ে পুলিশ সদস্যের হাতে দেয়া হচ্ছে পদপর্যাদা অনুপাতে আগ্নেয়াস্ত্র। যে কারণে পুলিশ সদস্যরা এখন অনেক দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছেন। রাজধানীর হোলি আর্টিজান হামলা তার দৃষ্টান্ত হতে পারে। পুলিশ অতিদক্ষতার সাথে সেই দিনের জঙ্গিহামলার ভয়াবহতম ঘটনাটি দমন করতে পেরেছিল।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, যেকোনো মূল্যে দেশ থেকে জঙ্গি ও মাদক নির্মৃল করতে হবে।

দেশের মানুষকে রক্ষা করতে পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী টেকনাফ, কক্সবাজারসহ সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান শুরু করেছে। টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। ইয়াবামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর এই অভিযান চলবে। এক্ষেত্রে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশ অথবা কোনো বাহিনীর একার পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ পুলিশ আর্ন্তজাতিক পুলিশি সংস্থা-ইন্টারপোল এর সদস্য। পুলিশ সদর দপ্তরে আছে ইন্টারপোল ডেস্ক। এই ডেস্কের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় ছাড়াও নানা ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। এর বাইরে বাংলাদেশ পুলিশে এখন ফরেনসিক, সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিং, পোস্ট ব্লাস্ট ইনভেস্টিগেশন, ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন, বেসিক ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ও কম্পিউটারের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এর ফলে পুলিশ অনেক আধুনিক ও দায়িত্বশীল। দিনদিন পুলিশকে মানবিক হতে বাধ্য করছে।

বাংলাদেশের পর্যটন জেলা কক্সবাজার। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ উল্লেখযোগ্য দর্শণীয় স্থান সমূহের অবস্থানও কক্সবাজারে। প্রতিবছর অন্তত ২০-২৫ লাখ দেশিবিদেশি পর্যটক কক্সবাজারে ছুটে আসছেন প্রাকৃতির লীলাখেলা দর্শণে। তাঁরা মুগ্ধ হন সমুদ্রে উত্তাল রূপ আর সবুজ পাহাড়ের ঝরণা দেখে। স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি পর্যটকেরাও দুইটা বিষয়ে হতাশ হন।

প্রথমটা মাদক চোরাচালান, আর দ্বিতীয়টা রোহিঙ্গা সমস্যা। ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের পাহাড়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৯ লাখের মতো রোহিঙ্গা জনগোষ্টি। আগে আসা রোহিঙ্গাসহ বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩০টি আশ্রয়শিবিরে থাকছে ১১ লাখ ১৯ হাজারের মতো রোহিঙ্গা। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মানবতার মা’ উপাধি পেয়েছেন। বিশ্বব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি বেড়েছে। বাংলাদেশ সরকার এখন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আশ্রয়শিবির ছেড়ে পালানোর সময় ইতিমধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থান থেকে ৬০ হাজার ৫৩০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে আটক করে পুনরায় ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৩ হাজার ৭৪৩ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, যশোর, জয়পুরহাট, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের ক্যাম্প থেকে পাচার ও নানা অপরাধের জড়িত ৫৬৬ জন দালালকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। গত কয়েক মাসে পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে প্রায় সাত কোটি টাকার ইয়াবা। এসময় ৯০ জন মাদকব্যাবসায়ীকে গেস্খপ্তার করে পুলিশ। মাদক নির্মূল, অপরাধ দমনের পাশাপাশি ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্টির শান্তিশৃংখলা রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কাজ করে যেতে হবে পুলিশকে। কারণ পুলিশ জনগনের বন্ধু।
আরেকটি ঘটনা দিয়েই প্রতিবেদনটা শেষ করতে চাই।

মর্মান্তিক এবং হৃদয়বিদাড়ক এই ঘটনাটা ১ বছর আগের। ২০১৮ সনের ৮ ফেব্রুয়ারি ভোররাতের ঘটনা এটি। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ এলাকায় সেদিন ভোরে ডুবে গিয়েছিল রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা। নৌকায় যাত্রী ছিল ৫৪ জন। স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় সেদিন পুলিশ-বিজিবি সমুদ্রউপকূল থেকে একে একে উদ্ধার করেন ৫১ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষ শিশুকে। কিন্তু তিনটি শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শিশু তিনটির বয়সও কম। বয়স মাত্র চার থেকে নয় মাস। দুধের তিন শিশুকে হারিয়ে মায়েরা সৈকতের বালুচরে হামাগুড়ি দিয়ে আকাশভাঙা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন। পরিণতির জন্য তাঁরা মিয়ানমারের বর্বর সামরিকজান্তার ওপর অনবরত অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছিলেন রোহিঙ্গারা মায়েরা। আর ক্ষণেক্ষনে আল্লাহকে ডাকছিলেন, যেন শিশু সন্তানগুলো জীবীত অবস্থায় ফিরে পান তাঁরা। অসহায় মা’দের দুরবস্থা সেদিন উপস্থিত অনেকের চোখে অশ্রু ঝরিয়েছিল। সেদিনও অন্য দশজনের মতো পুলিশ সদস্যরা নিরব থাকতে পারেনি। তাঁরা সমুদ্রে ঝাঁপ দিলেন। তল্লাশি চালিয়ে তাঁরা তুলে আনলেন তিন শিশু উন্মে সলিমা ( ৪ মাস), মো. আয়ূব ( ৭ মাস) ও আবদুল নবীকে ( ৯ মাস)।

লোকজনের সামনে মায়েরা সন্তানদের কুলে তুলে নিলেন। আদর করতে শুরু করেন শিশুর মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে। এক সময় মা’দের আদর থেমে গেল। কান্নার বোলটা বাড়তে থাকে। মা’দের বিলাপের করুণ সূর উপস্থিত লোকজনের বুঝতে দেরী হয়নি-তিন শিশুর কেউ বেঁচে নেই।

উদ্ধার ৫১ রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে গাড়িতে তুলে ক্যাম্পে দিকে রওয়ানা দিলেন বিজিবি সদস্যরা। তিন শিশুর লাশ পড়ে আছে বালুচরে। লাশের মালিক পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিন শিশুর লাশ দাফনের কাজটিও করতে হবে পুলিশকে। কারণ পুলিশ জনগণেরই বন্ধু। মানুষের আবেগ-ভালোবাসা যেখানে শেষ হয়, পুলিশের প্রেম শুরু হয় সেখান থেকেই।

লেখক-
মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন)
কক্সবাজার।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মালিকানা ২ ব্যক্তির কাছে : মির্জা ফখরুল
                                  

অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে সদ্য মহাকাশে পাঠানো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর মালিকানা দুই ব্যক্তির কাছে চলে গেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি তোলেন। তবে তিনি এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওটারও (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১) মালিকানা চলে গেছে, জানেন তো? এই স্যাটেলাইটের মালিকানা চলে গেছে দুজন লোকের হাতে। সেখান থেকে আপনাদের কিনে নিতে হবে।’
তবে মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য করেননি মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘স্যাটেলাইট, ঠিক আছে ঘুরুক। এটা আগে ঘুরুক, ওটা আবর্তন করুক পৃথিবীতে। পরিক্রমা করুক তখন দেখা যাবে।’
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের মাধ্যমে। মহাকাশে উগগ্রহ পাঠানোর তালিকায় ৫৭তম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান।
দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ সভার আয়োজন করে। সভায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ডা. সামীউল আলম সুধীনের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলারও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচাযর্ অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে যুগ্ম মহাসচিব এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর পরিবচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আবদুল কুদ্দস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, শেরে বাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া ও ড্যাবের প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু।

দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নেবেন অনন্ত জলিল
                                  

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রাজীব হোসেনের দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে চান ব্যবসায়ী এবং জনপ্রিয় চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জন্মদিনে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন তিনি।
ওই পোস্টে অনন্ত জলিল লেখেন, ‘বন্ধুগন, আসসালামু আলাইকুম। আজকের দিনে আল্লাহতায়ালা তার সুন্দর ধরণী আর সুন্দর সুন্দর সৃষ্টির মাঝে আমাকে পাঠিয়েছেন, আজ আমার জন্মদিন, তাই শুকুর আলহামদুলিল্লাহ্। রাব্বুল আলআমিনের নিকট আমি কৃতজ্ঞ, এ কারণে যে এমন আনন্দের দিনে তিনি আমাকে স্বপরিবারে মক্কায় অবস্থান করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে মন খারাপ আরেক কারণে, ….. কিছু দিন আগে বাস দূর্ঘটনায় রাজিব নামে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তার হাত হারিয়ে ছিলেন। এবং আজ তিনি পৃথিবী হতে বিদায় নিয়েছেন। যা আমাকে বেশ মর্মাহত করেছে। বাবা-মা হারা এই সন্তান তার ছোট দুই ভাইকে পিতা-মাতার স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিলো। কিন্তু রাজিবের অকাল বিদায়ে তার দুই ছোট ভাইয়ের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই আমার জন্মদিনে আমি চাচ্ছি যে পরিবার হারা এই দুই সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে।’
এদিকে অনন্ত জলিলের ইচ্ছার ব্যাপারে তাদের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন মৃত রাজীবের মেঝ খালা খাদিজা বেগম লিপি। তিনি জানান, এতে তাদের আপত্তি নেই। ঢাকায় ফিরে তারা অনন্ত জলিলের সঙ্গে দেখা করবেন।
রাজীবের দুই ভাই মেহেদী হাসান ও আবদুল্লাহ এবং চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল
রাজীবের দুই ভাই মেহেদী হাসান ও আবদুল্লাহ এবং চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তামিরুল মিল্লাত নামের একটি দাখিল মাদ্রাসায় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে রাজীবের দুই ভাই মেহেদী হাসান (১৩) ও আবদুল্লাহ (১১)। তারা কোরআনে হাফেজ। মাদ্রাসার পাঠ চুকিয়ে হাসান সপ্তম শ্রেণিতে ও আবদুল্লাহ ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে।
ঢাকায় যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগের একটি মেসে থাকতেন রাজীব। তার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলের দাসপাড়ায়। আগেই মা-বাবা মারা গেছেন। তাই রাজীব ঢাকায় টিউশনি করে এবং চাচা, খালাসহ সবার সহযোগিতায় পড়াশোনা চালিয়ে নিচ্ছিলেন।
গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে বিআরটিসি বাসের সঙ্গে স্বজন পরিবহনের বাস টক্কর দিতে গেলে বাস দুটির মাঝখানে পড়ে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজীবের। সরকারি তিতুমীর কলেজের এ ছাত্রকে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরদিন ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সরকারের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। তবে সোমবার মাঝরাতে সবাই কাঁদিয়ে রাজীব চলে যান না ফেরার দেশে।


   Page 1 of 2
     শিল্প-সাহিত্য
বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রাঙা রচিত " উনিশ " শ " একাত্তর রক্ত স্নাত পাবনা " বইয়ের মোড়ক " উন্মোচন
.............................................................................................
এক লোকমা ভাত
.............................................................................................
জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী আজ
.............................................................................................
জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ২০২১ পেলেন ৪ জন
.............................................................................................
কবিগুরুর ১৬১তম জন্মবার্ষিকী আজ
.............................................................................................
তারার মাঠে
.............................................................................................
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ১৫ জন
.............................................................................................
সেবা প্রকাশনীর কাজী আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন
.............................................................................................
কবি মনজুরে মওলা আর নেই
.............................................................................................
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
.............................................................................................
কবিগুরুর ১৫৯তম জন্মজয়ন্তী
.............................................................................................
আজ চৈত্রসংক্রান্তি
.............................................................................................
বিশ্ব বাঙালি পুরস্কার পেলেন যারা
.............................................................................................
পুলিশের প্রেম
.............................................................................................
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মালিকানা ২ ব্যক্তির কাছে : মির্জা ফখরুল
.............................................................................................
দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নেবেন অনন্ত জলিল
.............................................................................................
রোহিঙ্গাদের অবশ্যই দ্রুত ফিরিয়ে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
.............................................................................................
মিয়ানমার সফর বাতিল করলেন প্রিন্স চার্লস
.............................................................................................
অপু-শাকিব কাহিনী : যা শিখলাম
.............................................................................................
বই-ই মানুষকে পরিপূর্ণ করে
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া দ্বন্দ্ব: আরেকটি মহারণ?
.............................................................................................
নববর্ষ: ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব ।। যতীন সরকার
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: dailyasiabani2012@gmail.com
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD