বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * শিয়া-সুন্নি দাঙ্গায় রক্তাক্ত পাকিস্তান, ১১ দিনে নিহত ১৩০   * ন্যায়-সুবিচারই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়, এটাই সত্যের সৌন্দর্য : তারেক রহমান   * ১৬৪ রানে প্রথম ইনিংস শেষ টাইগারদের   * “ফিজিক্স এডুকেশন ইন দি সেকেন্ডারি এন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল”শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত   * ইনার ঢাকা হুইল ক্লাব অব নাইটিঙ্গেল-এর অফিসিয়াল ভিজিট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত   * সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. এবং এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি বাহরাইনের মধ্যে ব্যবসায়িক সভা   * বর্তমান চ্যাম্পিয়নকে হারাল লিভারপুল   * আবারও জেতা ম্যাচ হারল রংপুর রাইডার্স   * সোনার দাম কমল ভরিতে এক হাজার ৪৮১ টাকা   * চ্যাম্পিয়নস ট্রফি : কঠিন শর্তে হাইব্রিড মডেলে রাজি হচ্ছে পাকিস্তান  

   অপরাধ ও অনিয়ম -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
ভোলা থেকে ৫২০ মণ জাটকা আটক

ঢাকায় পাচারের সময় ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ট্রাক থেকে ৫২০ মণ জাটকা ইলিশ ও আড়াই মণ শাপলা পাতা মাছ জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মাদরাসা বাজার, ভেদুরিয়া ফেরিঘাট ও সদর পৌরসভার হোমিও কলেজ মোড় থেকে পৃথক পৃথক অভিযানে জাটকা ইলিশসহ ট্রাকগুলো জব্দ করা হয়। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাব্বির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরে ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতিতে আটককৃত ইলিশ স্থানীয় গরিব দুস্থ ও বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এছাড়া আটককৃত আড়াই মণ শাপলা পাতা মাছ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট সাব্বির আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অধীনস্থ বিসিজি বেইস ভোলার সেকশন কমান্ডার রাসেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ভোলা সদর উপজেলার বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এ সময় অভিযানে আলীনগর মাদরাসা বাজার, হোমিও কলেজ মোড় ও ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে তিনটি ট্রাকসহ ৫২০ মণ জাটকা ও ১০০ কেজি শাপলা পাতা মাছ আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন,আটককৃত জাটকা স্থানীয় গরিব, দুস্থ ও এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আটক হওয়া শাপলা পাতা মাছ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে জাটকা বহনকারী তিনটি ট্রাককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ভোলা থেকে ৫২০ মণ জাটকা আটক
                                  

ঢাকায় পাচারের সময় ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ট্রাক থেকে ৫২০ মণ জাটকা ইলিশ ও আড়াই মণ শাপলা পাতা মাছ জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মাদরাসা বাজার, ভেদুরিয়া ফেরিঘাট ও সদর পৌরসভার হোমিও কলেজ মোড় থেকে পৃথক পৃথক অভিযানে জাটকা ইলিশসহ ট্রাকগুলো জব্দ করা হয়। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাব্বির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরে ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতিতে আটককৃত ইলিশ স্থানীয় গরিব দুস্থ ও বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এছাড়া আটককৃত আড়াই মণ শাপলা পাতা মাছ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট সাব্বির আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অধীনস্থ বিসিজি বেইস ভোলার সেকশন কমান্ডার রাসেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ভোলা সদর উপজেলার বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এ সময় অভিযানে আলীনগর মাদরাসা বাজার, হোমিও কলেজ মোড় ও ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে তিনটি ট্রাকসহ ৫২০ মণ জাটকা ও ১০০ কেজি শাপলা পাতা মাছ আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন,আটককৃত জাটকা স্থানীয় গরিব, দুস্থ ও এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আটক হওয়া শাপলা পাতা মাছ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে জাটকা বহনকারী তিনটি ট্রাককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পাচারকারীদের কোমরে বাঁধা ছিল সাড়ে ৫ কেজি সোনা
                                  

ঝিনাইদহের মহেশপুরের সীমান্ত এলাকা থেকে ৪৬টি সোনার বারসহ দুই চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিজিবি। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন, মহেশপুরের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল কাদের মন্ডল (৬০) ও একই উপজেলার রায়পুর গ্রামের মো. দুলাল (৪০)।

ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক শাহ মো. আজিজুস শহীদ জানান, বিপুল পরিমাণ সোনা ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারীরা সীমান্তের দিকে গমন করবে এমন তথ্য আসে বিজিবির কাছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির টহল দল সামন্তা বিওপি সংলগ্ন সীমান্ত পিলার ৫৯/৩ এস থেকে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রায়পুর গ্রামের মাঠে ধানক্ষেতে অবস্থান নেয়। সেসময় দুই চোরাকারবারী হেঁটে সীমান্তের দিকে এলে বিজিবির টহল দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন বিজিবি সদস্যরা আব্দুর কাদের মন্ডল ও মো. দুলালকে আটক করে।

পরে আটকদের দেহ তল্লাশি করে কোমরে লুকানো অবস্থায় ৪৬টি সোনার বার উদ্ধার করে। ওই সোনার ওজন ৫ কেজি ৪৫৪ গ্রাম যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫ কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার ৭৫০ টাকা।

বিজিবি কর্মকর্তা আরও জানান, আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করে মহেশপুর থানায় সোপর্দ এবং উদ্ধারকৃত সোনা ঝিনাইদহ ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান।

নরসিংদীতে অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনীসহ আটক ২
                                  

নরসিংদীর শিবপুরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পণ্যবোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় কার্ভাড ভ্যানের চালক জসিম (৪৫) ও ভাড়ার শর্তে কার্ভাড ভ্যান মালিক মুকুল মিয়া (৫৭) নামে ২ জনকে আটক করা হয়।

বুধবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিদিয়া এলাকা থেকে কাভার্ড ভ্যানসহ ওই ২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

আটককৃত চালক জসিম উদ্দিন বরগুনা সদর উপজেলার কাঠালতলী গ্রামের ইদ্রিস খানের ছেলে এবং কার্ভাড ভ্যান মালিক মুকুল মিয়া বাগেরহাটেের শরণখোলা উপজেলার তাবালখালী গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে।

নরসিংদী ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা গোপন সূত্রে খবর পাই যে, সীমান্ত এলাকা থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পণ্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান স্যারের নির্দেশক্রমে আমরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকার শহীদ মিনার নামকস্থানে অবস্থান নেই। এ সময় ঢাকাগামী মাঝারি আকারের একটি কার্ভাড ভ্যানের গতিরোধ করলে এতে থাকা চালক ও অপর ব্যক্তির আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এসময় কার্ভাড ভ্যানটির পেছনের ঢালা খুলে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী ও বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। পরে কার্ভাড ভ্যানসহ চালক ও অপর ব্যক্তিকে আটক করে নরসিংদী ডিবি পুলিশের কার্যালয়ের নিয়ে আসা হয়।

ওসি এস এম কামারুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ওই সব প্রসাধনী ও পণ্য সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ এলাকা থেকে ঢাকার চকবাজারে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। পারভেজ নামে চকবাজারের এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে ভাড়ার চুক্তি হয়। সে অনুসারে এসব পণ্য শান্তিগজ্ঞ থেকে কার্ভাডভ্যানে বোঝাই করে ঢাকার চকবাজার নিয়ে যাচ্ছে। তবে এ সব প্রসাধনী সামগ্রী ও পণ্যের কোনো চালান কপি বা রশিদ দেখাতে পারেনি আটককৃত ব্যক্তিরা।

আটককৃত ভারতীয় এসব প্রসাধনী সামগ্রী ও পণ্যের কাভার্ড ভ্যানসহ আনুমানিক মূল্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা হতে পারে বলে জানান ওসি।

পটুয়াখালীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় অর্ধশত জেলে কারাগারে
                                  

পটুয়াখালীর পয়রা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার মিটার জাল ও ১০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নদীর লেবুখালী অংশে এ অভিযান পরিচালিত চালিত হয়। অভিযান শেষে জব্দ জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। উদ্ধার মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের নেতৃত্বে অভিযানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক যাদব সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ মাইনুল হাসান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইফফাত আরা জামান উর্মি, দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহীন মাহমুদ, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ মিটার জাল ও এক হাজার ৮০০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। অর্ধশত জেলেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পাংশায় অস্ত্রসহ ৩ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
                                  

রাজবাড়ীর পাংশায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। শনিবার (৫ অক্টোবর) ভোর রাতে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়া গ্রামের অনাথ আলী শেখের ছেলে সজল শেখ (২৪), আজম মন্ডলের ছেলে জিহাদ মন্ডল (১৯) ও মৃত জনাব আলী মন্ডলের ছেলে আলেফ মন্ডল (৫০)।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাংশা থানার সরিষা ইউনিয়নে শনিবার ভোর রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি দেশীয় তৈরি একনালা বন্দুক এবং তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকার বলেন, ভোর রাতে পাংশা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত সজলের নামে একটি অস্ত্র, তিনটি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলাসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী আসামি গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশকে সহযোগিতা করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

হাত বদলে পাচার হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ
                                  

প্রতিবছর দুর্গাপূজার আগে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করতো শেখ হাসিনার সরকার। তবে দেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মাঝেই নতুন সরকারের কাছে ইলিশ চেয়ে আবেদন করেছে ভারতের ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। তবে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের সময় ইলিশ মাছ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এসব ইলিশ কোন জায়গা থেকে ক্রয় করে পাচার করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা, তার সঠিক উত্তর পাওয়া না গেলেও চাঁদপুরের সবচেয়ে বড় ইলিশের বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, ভারতে চাঁদপুর থেকে সরাসরি ইলিশ পাচার হয় না। চাঁদপুর মাছ ঘাট দেশের বৃহত্তম ইলিশের বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইলিশ সরবরাহ করা হয়। সেই সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলার মাছ ব্যবসায়ীরা চাঁদপুরে ক্রয় করতে আসেন। তাদের মধ্যে একটি চক্র সিলেট, দিনাজপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়ার বর্ডার দিয়ে ইলিশ পাচার করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। তবে নদীতে তুলনামূলক ইলিশ না থাকায় চাঁদপুরে খুবই কম ইলিশ আসে। তাই গতবছরের চেয়ে ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় দাম একটু বেশি।

চাঁদপুর মাছ ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদপুরের এসব ইলিশ পদ্মা-মেঘনা এবং দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী ও সন্দীপ থেকে আসে। তবে এবার এর চিত্র একেবারেই ভিন্ন। ঘাটে আগের মতো নেই ইলিশের ট্রলার, বোট, নৌকা। খুচরা বিক্রেতারা বসে আছেন ইলিশ নিয়ে। দিনে প্রায় ৫০০-৬০০ মণ মাছ আমদানি হয়েছে। এতে ২০০-৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ২২ হাজার টাকা, ৩০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিমণ ৩২ হাজার টাকা, ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিমণ ৪০ হাজার টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিমণ ৫২ হাজার টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিমণ প্রায় ৬৬ হাজার টাকা ও ১ হাজার ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিমণ ৭২ হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে।

চাঁদপুরে ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতিবছর গতানুগতিক হারে কমছে ইলিশের উৎপাদন। এতে অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে দেশীয় চাহিদা পূরণে। তার ওপর যদি রপ্তানি করা হয় তাহলে তার প্রভাব পরবে ক্রেতাদের ওপর। তাই ভারতে ইলিশ পাঠাতে অনীহা তাদের। চলতি মৌসুমে ইলিশের সরবরাহ কম হওয়ায় অতিরিক্ত দামে ইলিশ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তাই রপ্তানি না করে ইলিশের দাম কমিয়ে আগে দেশের চাহিদা পূরণ করার দাবি তাদের।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে জেলায় মাছের চাহিদা ছিল ৬৮ হাজার ৪৬৬ টন। উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার টন। একই অর্থবছরে শুধু ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ হাজার ৩২৬ টন।

চাঁদপুর ঘাটে রিজন নামে এক ক্রেতা বলেন, আগের বছরের তুলনায় এবার মাছ অনেক কম, তাই দাম অনেক বেশি। ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হলেও চাঁদপুরের ইলিশে চাহিদা অনেক বেশি। আমি মনে করি দেশের চাহিদা পূরণ হওয়ার পর যদি কিছু মাছ থাকে তাহলে বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে।

আরেক ক্রেতা সঞ্চয় দাস বলেন, আমাদের ঘাটে মাছ কম আসছে। এ কারণে ভারতে কোনোভাবেই মাছ দেওয়া যাবে না। আগে আমাদের চাহিদা পূরণ করতে হবে।

কুমিল্লা থেকে আসা ইলিশ ক্রেতা উত্তম বলেন, আধু ব্যবসায়ীদের কারণে চাঁদপুরের ইলিশ দেশের বাইরের দেশে চলে যাচ্ছে। যা আমরা জানতে পারছি না। দেশের ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। তাহলে মাছ কোথায়? আর এখানে ভরপুর মাছ থাকা স্বত্বেও দাম বেশি।

ঘাটের আড়তদার নবী হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় মাছের দাম কম। এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু ঘাটে ইলিশ সরবরাহ কম থাকায় তুলনামূলকভাবে মাছের দাম বেশি।

চাঁদপুর মাছ ঘাটের ইলিশ বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, ক্রেতারা আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করছেন ভারতে ইলিশ সরবরাহ করা হচ্ছে না, তাহলে ইলিশের দাম কমছে না কেন? কিন্তু ভারতে মাছ যায় কিনা এ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা নেই। তবে এখান থেকে ভারতে ইলিশ পাচার হচ্ছে, এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ ছাড়াও দেশে বন্যা হয়েছে, যার কারণে ইলিশ সরবরাহ কম। নদীতে মাছ আসে স্রোত ও আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে।

তিনি আরও বলেন, গত বছর এ সময়ে এক কেজি ওজনের মাছ বিক্রয় করেছি সাড়ে ১৪শ টাকা করে। এবার এক কেজি ওজনের মাছ বিক্রয় করতে হচ্ছে ১৮শ টাকায়। কারণ এবার ইলিশ সরবরাহ অনেক কম। সামনে আর মাত্র কয়েক দিন আছে ইলিশের মৌসুম। দেখা যাক কি রকম সরবরাহ হয়। তার দাম নির্ধারণ হবে।

চাঁদপুর মাছ ঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী ইয়াছিন বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ কম আসায় দাম একটু বেশি। আগের মতো দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ আসে না ঘাটে।

জাতীয় মৎস্যজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম বেপারী বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন, পানি দূষণসহ বিভিন্ন কারণে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরা পড়েছে না। গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ অনেক কম। আমরা আশা করি, এ মাসে ইলিশ ধরা পড়বে। জেলেরা নদীতে ইলিশ পাবে।

তিনি আরও বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে মাননীয় উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের ইলিশ ভারতে বিক্রয় করা যাবে না। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরের ইলিশ যেন অবৈধভাবে পাচার না হয় সেই জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে । কোনোভাবে ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বাইরের দেশে ইলিশ পাচার করতে পারবে না।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, আগের তুলনায় গত দুই দিন ধরে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় কিছুটা ইলিশ ধরা পড়েছে। এখন জেলেরা মোটামুটি ভালো ইলিশ পাচ্ছেন। আশা করা যায় সামনের দিনগুলোতে আরও ইলিশ ধরা পড়বে।

তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর ঘাট থেকে ভারতে ইলিশ পাচার হচ্ছে কি না এ বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলছে। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মিয়ানমার থেকে আনা সাড়ে ১০ কেজি সোনা উদ্ধার
                                  

কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ কেজি ৫০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার ও সোনার বারসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে মিয়ানমার মুদ্রার দুই লাখ ২৯ হাজার ৫০০ কিয়াত ও ১০টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে টেকনাফ পৌরসভা অলিয়াবাদ এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় ।

গ্রেফতাররা হলেন, মিয়ানমারের মংডুর সোদাপাড়ার মো. হাফিজুর রহমান (২৮) ও একই গ্রামের মো. আনোয়ার (৩০)।

টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবির) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে সোনার বড় চালান একটি বাড়িতে লুকানো আছে। এ খবরে টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় বিজিবি। এসময় ওই দুজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদের ব্যাগের ভেতর থেকে ১০ কেজি ৫০০ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও সোনার বার, বাংলাদেশি নগদ চার লাখ ৭৮ হাজার ২৪০ টাকা, মিয়ানমার মুদ্রার দুই লাখ ২৯ হাজার ৫০০ কিয়াত এবং ১০টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত সোনা ও টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। আর গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

ভারতে পাচারের সময় সুপারি, রসুন ও শিং মাছ জব্দ
                                  

সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজারের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় রসুন, সুপারি ও শিং মাছ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার বিওপির কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশার।

জানা যায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার বাংলাবাজারের কুশিউড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে বাংলাদেশি রসুন, সুপারি ও শিং মাছ পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযানে নামে বিজিবির বিশেষ একটি দল।

এই অভিযানে কুশিউড়া সীমান্ত থেকে ছয় হাজার কেজি সুপারি, ছয় হাজার কেজি রসুন এবং চার হাজার কেজি শিং মাছসহ একটি ট্রাক, দুটি পিকআপ ও চারটি মাহিন্দ্রা পিকআপ জব্দ করা হয়। এগুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক দুই কোটি টাকা।

দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার বিওপির কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশার বলেন, আমরা দোয়ারাবাজারে বিভিন্ন সীমান্তে প্রতিনিয়ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। আজ বিকেলে ভারতে বিভিন্ন ধরনের বাংলাদেশি মালামাল পাচারের সময় সেগুলো জব্দ করা হয়। তবে এই ঘটনায় কোনো চোরাকারবারিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জামালপুরে পাওয়ার প্লান্টে ডাকাতি
                                  

জামালপুরে শিকদার গ্রুপের পাওয়ার প্যাক মতিয়ারা ১০০ মেগাওয়ার্ড পাওয়ার প্লান্টে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা নিরাপত্তা কর্মী ও প্লান্টের কর্মকর্তা কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে কয়েক কোটি টাকার মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

প্লান্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, জামালপুর পৌরসভার শাহপুরে অবস্থিত শিকদার গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র মতিয়ারা পাওয়ার প্লান্টে গত রাত সাড়ে সাতটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে।

পরে তারা অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসার সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর প্লান্টে কর্মরত প্রকৌশলী ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি ভবনে আটকে রেখে রাতভর লুটপাট চালায়।

প্লান্টের ভেতরে থাকা কয়েকটি কন্টেনার থেকে মূল্যবান ক্যাবল ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ লুট করে ডাকাতরা। এ সময় প্লাটের ভেতরের অফিসগুলো থেকে মূল্যবান উপকরণ নিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার ড্রাইভ, কম্পিউটার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহরাব হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জে লুট হওয়া ২ অস্ত্র উদ্ধার
                                  

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের ব্যবহৃত দুইটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।


বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আড়াইহাজার পৌরসভার গাজীপুরা এলাকায় পরিত্যক্ত একটি ইটভাটা থেকে দুইটি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ জানান, গত ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তরা থানার অস্ত্রসহ সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যান। পরে সেখানে আগুন লাগিয়ে থানাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়। এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিপন আহম্মেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫-৩০ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

ইতোমধ্যে অস্থায়ীভাবে থানার কার্যক্রম উপজেলার গণগ্রন্থাগারে পরিচালিত হচ্ছে। গত মধ্যরাত থেকে লুটকৃত অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযানের খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে দুইটি শটগান গাজীপুরা এলাকায় পরিত্যক্ত ইটভাটায় ফেলে রাখা হয়। পরে পুলিশ স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে অস্ত্র দুইটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

সারাদেশে ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
                                  

ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে নকল ও ভেজাল পণ্যের ওপর তদারকিসহ বন্যার ত্রাণসামগ্রী (মুড়ি, চিরা, গুড়) ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকির লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ তদারকি অভিযান পরিচালনা করে।

এরমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অধিদপ্তরের ৬ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৬টি টিম ঢাকা মহানগরীর বনানী বাজার, কল্যাণপুর, কলাবাগান ও মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে।

সবমিলে সারাদেশের ৫২টি জেলায় অধিদপ্তরের ৫৭টি টিম অভিযানে ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করে।

পালানোর সময় খোয়া গেল বিচারপতি মানিকের ৭০ লাখ টাকা
                                  

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন আলোচিত সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে বিজিবি।

পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা, ব্রিটিশ পাসপোর্টসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে যান মানিক। কিন্তু যাদের সঙ্গে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চুক্তি করেছিলেন, তারাই সব কেড়ে নিয়ে লাপাত্তা।

ভারতে পালানোর সময় এই বিচারপতির একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে ভিডিওটি ভাইরালও হয়েছে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কী কী নিয়ে পালাচ্ছিলেন-এমন প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি মানিক বলেন, আমার সঙ্গে ছিল ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট, নগদ কিছু টাকা, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড।

এ সময় পাশ থেকে একজন জানতে চান, আজকে আটকের সময় আপনার সাথে কী ছিল? জবাবে সাবেক এই বিচারপতি জানান, তেমন কিছু ছিল না। চল্লিশ হাজারের মতো টাকা ছিল। গতকাল ৬০/৭০ (লাখ) এর মতো ছিল। ওটা নিয়ে গেছে।

নৌকাওয়ালা নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেগুলো ওই দুই ছোকরাই নিয়েছে। আমার সঙ্গে কিচ্ছু নাই, ফোন-ফোন নম্বর সব নিয়ে গেছে।

আলোচিত সাবেক এই বিচারপতি আরও বলেন, আমি ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে আসছিলাম, ওই টাকা আমি তাদের দিয়েছি। কিন্তু পরে ওই দুই ছেলে আমাকে মারধর করে সব নিয়ে গেছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ সাবেক বিচারপতি মানিকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন। আরেকজন তার নাম জিজ্ঞেস করছেন। এ সময় বিচারপতি মানিক তার পুরো নাম বলেন এবং তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ বলে জানান।

বিচারপতি মানিক আরও বলেন, আমি ১৫ হাজার টাকার কথা বলে সীমান্ত পার হতে চাচ্ছিলাম। পরে আমাকে দুই ছেলে ভারত সীমান্তে নিয়ে আমার সাথে থাকা ৬০-৭০ লাখ টাকা এবং মোবাইল নিয়ে যায়।

এ সময় কয়েকজন তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আপনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন। তখন বিচারপতি মানিক বলেন, প্রশাসনের ভয়ে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম। তখন অপর পাশ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি তো অনেক জুলুম করেছেন। তখন তিনি বলেন, আমি কোনো জুলুম করিনি।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নানা সময় বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি।

এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অবসরে যান। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও টেলিভিশন টকশোতে কথা বলতেন তিনি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মানিকের নামে গত সোমবার নোয়াখালীর আদালতে মামলা হয়েছে। কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।

একই অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আইনজীবী মো. জিয়াউল হক বাদী হয়ে আরেকটি মামলার আবেদন করেন। আদালত অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। আত্মগোপনের তালিকায় আছেন সাবেক মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা। তাদের কেউ কেউ গ্রেফতারও হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ডিবি হারুনের সম্পদ, একাধিক বাড়ি
                                  

বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ। বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা সর্বশেষ ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি)। সরকারি স্কেল অনুযায়ী তৃতীয় গ্রেডের চাকরিজীবী হিসেবে সর্বসাকল্যে বেতন ৮০ হাজার টাকারও কম। অথচ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ। যুক্তরাষ্ট্রে হারুনের রয়েছে একাধিক বাড়ি ও সম্পদ। এছাড়া সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও আছে হারুনের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চাকরি জীবনের শুরু থেকেই হারুন ছিলেন বেপরোয়া। কখনোই চাকরি বিধিমালার তোয়াক্কা করেননি। যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই নানা অনিয়মে জড়িয়েছেন। প্রতিটি ধাপে প্রতারণা ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়ালেও তাকে কখনো শাস্তি পেতে হয়নি। বরং পদায়ন করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব ইউনিটে। ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, জিম্মি করে অর্থ আদায়, মারধর, জমি দখল, বাড়ি দখল, প্লট দখল, ফ্ল্যাট দখল, গুম, খুন, হত্যা, অর্থ পাচার, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, আটকে রেখে নির্যাতন, নিয়োগ বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারিসহ এহেন কোনো অপরাধ নেই, যার সঙ্গে জড়াননি হারুন।

তবুও বছর বছর পদোন্নতি পেয়েছেন। এসব অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ ঘুরে ডিবি হারুনের অন্তত হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্পত্তি দখল ও দেখাশোনার জন্য আছে তিন সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি। নামে-বেনামে অন্তত তিনটি রিসোর্টের মালিকানা আছে তার। রয়েছে একাধিক আবাসিক হোটেল। আরও অন্তত ১০টি কোম্পানির মালিক তিনি। শুধু ঢাকায়ই আলিশান বাড়ি করেছেন দুই ডজনেরও বেশি। এর বাইরে আছে অগণিত প্লট ও ফ্ল্যাট।

কথিত মামা জাহাঙ্গীর আলমের নামে গড়েছেন এসব সম্পদ। দখল করা সম্পত্তি বিক্রি করে সেই টাকা দেশের বাইরে পাচার ও বিদেশে গড়ে তোলা সম্পদ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব আলাদা কমিটির। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ছয়টি দেশে অঢেল টাকার ব্যবসা গড়েছেন হারুন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান হারুনের দেশে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক ছিলেন তার কথিত মামা জাহাঙ্গীর হোসেন এবং তার সহযোগী জহির। মূলত মামার মাধ্যমে সব অপকর্ম করতেন হারুন। জায়গা, জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ি রিসোর্ট সব সম্পদেই তার মামা জাহাঙ্গীরের নামে করেছেন। আবার এসব সম্পদ দেখিয়ে ব্যাংক থেকে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

আবার মানুষের সম্পত্তি দখলের পর তা বিক্রি এবং সেই টাকা দেশের বাইরে পাঠানোর দায়িত্ব পালন করতেন ডিবির খিলগাঁও জোনের এডিসি সাইফুল। বিদেশে অর্থ পাচারের সুবিধার জন্য গড়ে তোলা হয় নিজস্ব মানি এক্সচেঞ্জ। ঢাকায় এই প্রতিষ্ঠানের অফিস পুরানা পল্টনের আজাদ প্রোডাক্টসের গলিতে। কার্যক্রম পরিচালনায় দুবাইয়ে আছে আরেকটি অফিস। এই মানি এক্সচেঞ্জ পরিচালনা করেন এডিসি সাইফুল ইসলামের দুই ভাই। একজন থাকেন দেশে। আর আরেক ভাই রিফাত অবস্থান করেন দুবাই।

সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউ হাইড পার্ক এলাকায় স্ত্রীর নামে পাঁচ মিলিয়ন ডলারের একটি বাড়ি কিনেছেন হারুন। ওই সময় হারুনের স্ত্রীর বিপুল অর্থ লেনদেন শনাক্ত করে এর তদন্ত করেছিল এফবিআই।

রাজধানীর উত্তরায় হারুনের বহুতল একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট ও প্লটের তথ্য মিলেছে। যার মধ্যে ৩ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডে (লেকপাড়ের রোডে) রয়েছে ৬তলা একটি আলিশান বাড়ি। ‘পার্ক লেক ভিউ’ নামের বাড়িটির হোল্ডিং নম্বর-৩০। এটি গেস্ট হাউস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একই রোডের মাথায় ৮তলা আরেকটি বাড়ি আছে হারুনের। এই বাড়ির চতুর্থ তলায় সপরিবারে নিয়ে থাকতেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে তিনি আর ওই বাড়িতে যাননি। ৩ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর রোডের হোল্ডিং নম্বর-৫ এ ১০ কাঠা জায়গার ওপর একটি ১০তলা মার্কেট। এটি হারুনের শ্বশুরের নামে করা হয়েছে। চার রাস্তার মোড়ে জমিসহ এই ভবনটির আনুমানিক বাজারমূল্য শতকোটি টাকার ওপর। ১২ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ রোডের ২১ নম্বরে ৬তলা একটি বাড়ি। এই বাড়িটি বন্ধক রেখে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া হারুন অর রশীদের নামে কিশোরগঞ্জে মিঠামইনে প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট নামে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট রয়েছে। যেটি পরিচালনা করেন হারুনের ভাই ডাক্তার শাহরিয়ার। গাজীপুরে রয়েছে সবুজ পাতা রিসোর্ট এবং ‘গ্রিন টেক’ নামে আরও একটি বিলাসবহুল রিসোর্টের শেয়ার। এ ছাড়া নন্দন পার্কেও শেয়ার আছে হারুনের। আছে আমেরিকান ডেইরি নামে একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ। এই কোম্পানির এমডি হারুনের স্ত্রী। ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাবেক এমপি আনিসের সঙ্গে ফিশারিজ এবং রেস্টুরেন্টের যৌথ ব্যবসা আছে হারুনের।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের ব্যক্তিগত নম্বরে টানা কয়েক দিন বারবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কথিত মামা জাহাঙ্গীরের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) উত্তরার জাহাঙ্গীরের অফিস ও বাসায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বাসার নিরাপত্তাকর্মী ইফাতুল বলেন, ‘জাহাঙ্গীর সাহেব এখানে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। দুই সপ্তাহ ধরে স্যার এখানে আসেন না। তার পরিবারের কেউ এখানে এখন নেই।’

সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘একজন পুলিশ কর্মকর্তা বা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তার যে বৈধ আয়, তার সঙ্গে সম্পদের পরিমাণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। দেশে-বিদেশে তিনি যে সম্পদ অর্জন করেছেন, সেটি দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে। গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে তার কাছে যে ক্ষমতা ছিল, সেটির অপব্যবহার করেছেন তিনি। আইন লঙ্ঘন করে তাদের সংবিধানপরিপন্থি অস্বাভাবিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। সেটি ব্যবহার করেই তিনি এই সম্পদ গড়েছেন। আর এই সম্পত্তি যে তিনি একা করেছেন, সেটা কিন্তু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। তার সঙ্গে অনেক যোগসাজশকারী ও সহায়তাকারী রয়েছে। এখন এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার এবং জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার।’

নিউজ/ সূত্র ঃ কালবেলা

অর্থ পাচারে মানি এক্সচেঞ্জ চালু করেন ডিবি হারুন
                                  

 বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ। বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা সর্বশেষ ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি)। সরকারি স্কেল অনুযায়ী তৃতীয় গ্রেডের চাকরিজীবী হিসেবে সর্বসাকুল্যে বেতন ৮০ হাজার টাকারও কম। অথচ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে গড়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ। টাকা পাচারের পথ সহজ করতে নিজেই চালু করেন মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চাকরি জীবনের শুরু থেকেই হারুন ছিলেন বেপরোয়া। কখনোই চাকরি বিধিমালার তোয়াক্কা করেননি। যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই নানা অনিয়মে জড়িয়েছেন। প্রতিটি ধাপে প্রতারণা ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়ালেও তাকে কখনো শাস্তি পেতে হয়নি। বরং পদায়ন করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব ইউনিটে। ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, জিম্মি করে অর্থ আদায়, মারধর, জমি দখল, বাড়ি দখল, প্লট দখল, ফ্ল্যাট দখল, গুম, খুন, হত্যা, অর্থ পাচার, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, আটকে রেখে নির্যাতন, নিয়োগ বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারিসহ এহেন কোনো অপরাধ নেই, যার সঙ্গে জড়াননি হারুন।

তবুও বছর বছর পেয়েছেন পদোন্নতি। এসব অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ ঘুরে ডিবি হারুনের অন্তত হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।

সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও আছে হারুনের। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্পত্তি দখল ও দেখাশোনার জন্য আছে তিন সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি। নামে-বেনামে অন্তত তিনটি রিসোর্টের মালিকানা আছে তার। রয়েছে একাধিক আবাসিক হোটেল। আরও অন্তত ১০টি কোম্পানির মালিক তিনি। শুধু ঢাকায়ই আলিশান বাড়ি করেছেন দুই ডজনেরও বেশি। এর বাইরে আছে অগণিত প্লট ও ফ্ল্যাট।

কথিত মামা জাহাঙ্গীর আলমের নামে গড়েছেন এসব সম্পদ। দখল করা সম্পত্তি বিক্রি করে সে টাকা দেশের বাইরে পাচার ও বিদেশে গড়ে তোলা সম্পদ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব আলাদা কমিটির। অন্তত ছয়টি দেশে ব্যবসা গড়েছেন অঢেল টাকার।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান হারুনের দেশে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক ছিলেন তার কথিত মামা জাহাঙ্গীর হোসেন এবং তার সহযোগী জহির। মূলত মামার মাধ্যমে সব অপকর্ম করতেন হারুন। জায়গা, জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ি রিসোর্ট সব সম্পদই তার মামা জাহাঙ্গীরের নামে করেছেন। আবার এসব সম্পদ দেখিয়ে ব্যাংক থেকে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

আবার মানুষের সম্পত্তি দখলের পর তা বিক্রি এবং সেই টাকা দেশের বাইরে পাঠানোর দায়িত্ব পালন করতেন ডিবির খিলগাঁও জোনের এডিসি সাইফুল। বিদেশে অর্থ পাচারের সুবিধার জন্য গড়ে তোলা হয় নিজস্ব মানি এক্সচেঞ্জ। ঢাকায় এই প্রতিষ্ঠানের অফিস পুরানা পল্টনের আজাদ প্রোডাক্টসের গলিতে। কার্যক্রম পরিচালনায় দুবাইয়ে আছে আরেকটি অফিস। এই মানি এক্সচেঞ্জ পরিচালনা করেন এডিসি সাইফুল ইসলামের দুই ভাই। একজন থাকেন দেশে। আরেক ভাই রিফাত অবস্থান করেন দুবাই।

সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউ হাইড পার্ক এলাকায় স্ত্রীর নামে পাঁচ মিলিয়ন ডলারের একটি বাড়ি কিনেছেন হারুন। ওই সময় হারুনের স্ত্রীর বিপুল অর্থ লেনদেন শনাক্ত করে এর তদন্ত করেছিল এফবিআই।

রাজধানীর উত্তরায় হারুনের বহুতল একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট ও প্লটের তথ্য মিলেছে। যার মধ্যে ৩ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডে (লেকপাড়ের রোডে) রয়েছে ৬তলা একটি আলিশান বাড়ি। ‘পার্ক লেক ভিউ’ নামের বাড়িটির হোল্ডিং নম্বর-৩০। এটি গেস্ট হাউস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একই রোডের মাথায় ৮তলা আরেকটি বাড়ি আছে হারুনের। এই বাড়ির চতুর্থ তলায় পরিবারে নিয়ে থাকতেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে তিনি আর ওই বাড়িতে যাননি। ৩ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর রোডের হোল্ডিং নম্বর-৫ এ ১০ কাঠা জায়গার ওপর একটি ১০তলা মার্কেট। এটি হারুনের শ্বশুরের নামে করা হয়েছে। চার রাস্তার মোড়ে জমিসহ এই ভবনটির আনুমানিক বাজারমূল্য শত কোটি টাকার ওপর। ১২ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ রোডের ২১ নম্বরে ৬তলা একটি বাড়ি। এই বাড়িটি বন্ধক রেখে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে।

১৩ নম্বর সেক্টরের শাহ মখদুম এভিনিউয়ে ১২ নম্বর প্লটটির মালিক হারুন। এখানে তাজ ফুডকোর্টসহ কয়েকটি দোকান ভাড়া দেওয়া আছে। একই সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ রোডের ৭৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি প্লট জজ মিয়া নামের এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেওয়া আছে। এ ছাড়া ৩ নম্বর সেক্টরে ১৫ নম্বর রোডের ২৩ নম্বর হোল্ডিংয়ে ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন, ১৩ নম্বর সেক্টরে ৩ নম্বর রোডের ৪৯ নম্বর বাড়িতে ৬তলা ভবন, ৩ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর হোল্ডিংয়ে ৭ কাঠার বাণিজ্যিক প্লট, ১০ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের ৩৯ নম্বর হোল্ডিংয়ে ৫ কাঠার একটি প্লট এবং ৫ নম্বর সেক্টরে ৬ নম্বর রোডে ঢুকতেই প্রথমে ২৯ ও ৩০ নম্বর হোল্ডিংয়ের ১০ কাঠার দুটি প্লটের মালিক হারুন। শেষ দুটি প্লটের মধ্যে একটিতে টিনশেড ঘর বানিয়ে ভাড়া দেওয়া এবং অন্যটি গোডাউন। ১৪ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডের ১৭ ও ১৯ নম্বর প্লট চারটি কোম্পানির শোরুম হিসেবে ভাড়া দেওয়া। ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়ির ৫ তলায় কথিত মামা জাহাঙ্গীরের অফিস। এই অফিসেই হারুনের সব সম্পত্তির কাগজপত্র রক্ষিত থাকে বলে জানিয়েছে জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ সূত্র।

উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর প্লটটি হিরন নামের এক ব্যক্তির কাছে ৩২ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন হারুন। ৩ নম্বর সেক্টরের সাবেক ৯ নম্বর রোড বর্তমানে রবীন্দ্র সরণিতে ৭ কাঠার ৪১ নম্বর প্লটটি মাসিক ১৪ লাখ টাকায় ভাড়া দেওয়া আছে। ১১ নম্বর সেক্টরের উত্তরা স্মৃতি কেবল টিভি লিমিটেডের পাশে ৫ কাঠার আরেকটি প্লট ‘স্টার কার সেলেকশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া আছে। এ ছাড়া ১৩ নম্বর সেক্টর, জম টাওয়ারের পাশে, উত্তরা থার্ড ফেইসে, পূর্বাচলে কয়েক ডজন ফ্ল্যাট রয়েছে হারুনের।

বনানী কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে ২০ কাঠার প্লট দখল করে একটি কোম্পানির কাছে ৭০ কোটি টাকায় বিক্রি করেন হারুন। টঙ্গীর সাতাইশ মৌজায় ৮ বিঘা জমিতে কোনো অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ করা হচ্ছে ‘জেএইচ-জিওটেক্স লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। টঙ্গীর গুশুলিয়া মৌজায় ছায়াকুঞ্জ-৫ আবাসিক প্রকল্পের ভেতরে ১২ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসিক হোটেল।

এখানে ড্রেজার দিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে এরই মধ্যে। এটি টঙ্গীর চিহ্নিত ভেতরে। অভিযোগ রয়েছে, গাজীপুরের পুলিশ সুপার থাকার সময় ওই এলাকার ভূমিদস্যু কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল ওরফে মাউচ্ছা কামরুলের সঙ্গে সখ্য ছিল হারুনের। কামরুলের ভূমিদস্যুতার রক্ষক ছিলেন এই পুলিশ সুপার। সম্প্রতি কামরুলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে ডিআইজি হারুনের উপস্থিতির ছবি ও ভিডিও কালবেলার হাতে রয়েছে।

এ ছাড়া হারুন অর রশীদের নামে কিশোরগঞ্জে মিঠামইনে প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট নামে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট রয়েছে। যেটি পরিচালনা করেন হারুনের ভাই ডাক্তার শাহরিয়ার। গাজীপুরে রয়েছে সবুজ পাতা রিসোর্ট এবং ‘গ্রিন টেক’ নামে আরও একটি বিলাসবহুল রিসোর্টের শেয়ার। এ ছাড়া নন্দন পার্কেও শেয়ার আছে হারুনের। আছে আমেরিকান ডেইরি নামে একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ। এই কোম্পানির এমডি হারুনের স্ত্রী। ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাবেক এমপি আনিসের সঙ্গে ফিশারিজ এবং রেস্টুরেন্টের যৌথ ব্যবসা আছে হারুনের।

সূত্রঃ কালবেলা

ময়মনসিংহে সাবেক এমপিসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
                                  

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়ীয়া) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক সরকারসহ আওয়ামী লীগের ৬০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা ও দণ্ডবিধি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বিএনপি নেতা ওমর ফারুক বাদী হয়ে জেলার ফুলবাড়িয়া থানায় এই মামলাটি করেন।

গত ৪ আগস্ট বিকেলে ফুলবাড়িয়া পৌর সদরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, গত ৪ আগস্ট হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দণ্ডবিধি আইনে সাবেক এমপিসহ ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের হয়েছে।

মামলায় সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরয়িা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক সেলিমসহ মোট ৫৯৭ জনকে আসামি করেন বাদী।

গাঁজাসহ দুজনকে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে দিলেন শিক্ষার্থীরা
                                  

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের আমতলা এলাকায় কুয়াকাটাগামী ইউনিক পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে ১৪ পোটলা (স্কচটেপ মোড়ানো প্যাকেট) গাঁজাসহ দুজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে নগরীর আমতলার মোড় এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের ধরা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে সন্দেহ হলে তল্লাশি চালান শিক্ষার্থীরা। এসময় একটি ব্যাগে গাঁজাসহ সীমা নামের এক নারী এবং আব্দুর রব নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেন তারা। তাদের বাড়ি বরগুনার আমতলী।

সেখানে সড়কে দায়িত্বরত সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী শাওন জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তল্লাশি করতে গেলে আকস্মিক বাসের মধ্য থেকে এক যাত্রী পালিয়ে যান। এছাড়া আটক নারী ও পুরুষ যাত্রী অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। এসময় তাদের পায়ের কাছে থাকা তিনটি ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ১৪ প্যাকেট গাঁজা পাওয়া যায়।

তাৎক্ষণিক বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যান।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা গাঁজাসহ দুজন আটক করে। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


   Page 1 of 44
     অপরাধ ও অনিয়ম
ভোলা থেকে ৫২০ মণ জাটকা আটক
.............................................................................................
পাচারকারীদের কোমরে বাঁধা ছিল সাড়ে ৫ কেজি সোনা
.............................................................................................
নরসিংদীতে অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনীসহ আটক ২
.............................................................................................
পটুয়াখালীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় অর্ধশত জেলে কারাগারে
.............................................................................................
পাংশায় অস্ত্রসহ ৩ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
.............................................................................................
হাত বদলে পাচার হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ
.............................................................................................
মিয়ানমার থেকে আনা সাড়ে ১০ কেজি সোনা উদ্ধার
.............................................................................................
ভারতে পাচারের সময় সুপারি, রসুন ও শিং মাছ জব্দ
.............................................................................................
জামালপুরে পাওয়ার প্লান্টে ডাকাতি
.............................................................................................
নারায়ণগঞ্জে লুট হওয়া ২ অস্ত্র উদ্ধার
.............................................................................................
সারাদেশে ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
.............................................................................................
পালানোর সময় খোয়া গেল বিচারপতি মানিকের ৭০ লাখ টাকা
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রে ডিবি হারুনের সম্পদ, একাধিক বাড়ি
.............................................................................................
অর্থ পাচারে মানি এক্সচেঞ্জ চালু করেন ডিবি হারুন
.............................................................................................
ময়মনসিংহে সাবেক এমপিসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
.............................................................................................
গাঁজাসহ দুজনকে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে দিলেন শিক্ষার্থীরা
.............................................................................................
লুট করে পালানোর সময় ৭ জনকে ধরলো জনতা
.............................................................................................
মিরপুরে মেস থেকে ১৬ ককটেল উদ্ধার
.............................................................................................
নোয়াখালীতে ৪ হাজার কেজি চিনিসহ পিকআপ চালক গ্রেপ্তার
.............................................................................................
৬ লাখ টাকা নিয়ে উধাও কর্মসংস্থান ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী
.............................................................................................
মতিউরের ৪ ফ্ল্যাট, ৮৬৬ শতাংশ জমি জব্দের নির্দেশ
.............................................................................................
উপকূল ট্রেনে পাথর ছুড়ে গ্লাস ভাঙচুর
.............................................................................................
মতিউর ও তার পরিবারের সম্পদের খোঁজে বিভিন্ন দপ্তরে দুদকের চিঠি
.............................................................................................
লাকড়ি পোড়ানোয় ইট ভাটা বন্ধ, জরিমানা ৩ লাখ
.............................................................................................
‘সম্পদের পাহাড়’ ছেড়ে আত্মগোপনে ছাগলকাণ্ডের মতিউরের স্ত্রী
.............................................................................................
সেই ইফাত আরও ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছিলেন যেখান থেকে
.............................................................................................
সীমান্তে বেড়েছে গরু চোরাচালান
.............................................................................................
ফেনীতে ৮ পরিবহন চাঁদাবাজ আটক
.............................................................................................
কাঠের গুঁড়া-রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মসলা!
.............................................................................................
দামুড়হুদায় লুঙ্গির ভাঁজে মিলল ২০ ভরি স্বর্ণ, আটক ১
.............................................................................................
মুন্সিগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত
.............................................................................................
মেঘনায় বাল্কহেডে অভিযান, গ্রেফতার ১০
.............................................................................................
ফরিদপুরে ডিমের বাজারে ভোক্তার অভিযান
.............................................................................................
অশ্লীল ভিডিওর ফাঁদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার স্ত্রীসহ আটক ৩
.............................................................................................
বগুড়ায় কোল্ড স্টোরেজে দুই লক্ষাধিক ডিম
.............................................................................................
ফরিদপুরে ইয়াবাসহ নারী মাদকবিক্রেতা গ্রেপ্তার
.............................................................................................
বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার ৫
.............................................................................................
ফল প্রকাশের সময় বিজয়ী প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর
.............................................................................................
কিশোরগঞ্জে কোল্ড স্টোরেজে মিলল ২৮ লাখ পিস ডিম
.............................................................................................
ইটনায় ২০ কেজি গাঁজাসহ কারবারি গ্রেপ্তার
.............................................................................................
ঝিনাইদহ সীমান্তে ৪০ সোনার বারসহ দুই কারবারি আটক
.............................................................................................
নগদের দুই কর্মীকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই
.............................................................................................
কুমারখালীতে ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে চুরি
.............................................................................................
ফেসবুকে হা হা রিয়েক্ট দেওয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, দোকানপাট ভাঙচুর
.............................................................................................
নওগাঁয় কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ চোরাকারবারি আটক
.............................................................................................
জামালপুরে ট্রেনের টিকিটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার
.............................................................................................
জয়পুরহাটে কিশোর গ্যাংয়ের লিডারসহ গ্রেপ্তার ৮
.............................................................................................
যশোরে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার
.............................................................................................
অপহরণের পর ধর্ষণ, পলাতক আসামি গ্রেফতার
.............................................................................................
শিবচরে ৩ মণ জাটকা ও ১০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD