১১ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য চেয়েছে রিভিউ কমিটি
১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে জাতীয় রিভিউ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)–এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনা করা হবে। এ জন্য সরকার গঠিত জাতীয় রিভিউ কমিটির গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সভায় ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল, বাঘাবাড়ি ২০০ মেগাওয়াট এইচএসডি, পটুয়াখালী ১৫০ মেগাওয়াট এইচএফও, মংলা ১০০ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ ১৫০ মেগাওয়াট এইচএফও, মানিকগঞ্জ ১৬২ মেগাওয়াট এইচএফও, সুন্দরগঞ্জ ২০০ মেগাওয়াট, লালমনিরহাট ৩০ মেগাওয়াট, সুতিয়াখালী মানিকগঞ্জ ১৬২ এমডাব্লিউ এইচএফও ৫০ মেগাওয়াট ও গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে।
|
১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে জাতীয় রিভিউ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)–এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনা করা হবে। এ জন্য সরকার গঠিত জাতীয় রিভিউ কমিটির গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সভায় ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল, বাঘাবাড়ি ২০০ মেগাওয়াট এইচএসডি, পটুয়াখালী ১৫০ মেগাওয়াট এইচএফও, মংলা ১০০ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ ১৫০ মেগাওয়াট এইচএফও, মানিকগঞ্জ ১৬২ মেগাওয়াট এইচএফও, সুন্দরগঞ্জ ২০০ মেগাওয়াট, লালমনিরহাট ৩০ মেগাওয়াট, সুতিয়াখালী মানিকগঞ্জ ১৬২ এমডাব্লিউ এইচএফও ৫০ মেগাওয়াট ও গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে।
|
|
|
|
কলকাতা থেকে মিয়া আবদুল হান্নান : ঘুরে ফিরে দেখলাম মুসলিম ঐতিহ্যের প্রতিক ভারতে`র কলকাতা`র নাখোদা মসজিদ সাথে রয়েছেন, ভ্রমণ পিপাসুদের একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী বন্ধু সূলভ ভদ্রলোক ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া ইউনিয়নের বেলনা খাসকান্দীর সাদা মনের মানুষ মুহাম্মদ শাহাবুল খান, ১০ দিন আগে থেকেই চিকিৎসা সেবা নিতে কলকাতায় অপেক্ষা করতে ছিলো দক্ষিণ ধর্মশুর গ্রামের কৃতিমান সন্তান বন্ধু মোঃ ইকবাল হোসেন (কাকা) ও আমি মিয়া আবদুল হান্নান, মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল কলকাতায় ।
নাখোদা মসজিদ কলকাতার প্রধান মসজিদ। এটি মধ্য কলকাতার পোস্তা, বড়বাজার এলাকার জাকারিয়া স্ট্রিট ও রবীন্দ্র সরণির সংযোগস্থলে অবস্থিত নাখোদা মসজিদ মিহরাব কচ্ছের একটি ছোট্ট সুন্নি মুসলমান সম্প্রদায় কুচ্চি মেমন জামাত আগ্রার সিকান্দ্রায় অবস্থিত মুঘল সম্রাট আকবরের সমাধি সৌধের অনুকরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। কুচ্চি মেমন জামাত সম্প্রদায়ের নেতা আবদুর রহিম ওসমান এই মসজিদের স্থাপক। তিনি নিজে ছিলেন বিশিষ্ট নাবিক। নাখোদা শব্দেরও অর্থ নাবিক। ১৯২৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এই মসজিদটি স্থাপিত হয়। সেই সময় মসজিদটি তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছিল ১৫,০০,০০০ টাকা। এই শহরের `বড়ি মসজিদ`, ফিরে দেখা নাখোদার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস মঙ্গলবার ভারতে পালিত হতে চলেছে ঈদ। এদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান। পাক্কা দুবছর সেভাবে পালিত বতে পারেনি ঈদ। কিন্তু এবার পরিস্থিতি বদলেছে। ২ বছর পর, রেড রোডে ঈদের নামাজ পরার অনুমতি মিলেছে। আর এই বিশেষ দিনের জন্য সেজে উঠছিলো বলে জানা গেছে নাখোদা মসজিদও। কলকাতা চিৎপুর অঞ্চলে অবস্থিত নাখোদা মসজিদ কলকাতার প্রধান মসজিদ। মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে রবীন্দ্র সরণি ধরে দক্ষিণমুখী ৫ মিনিটের পথে জাকারিয়া স্ট্রিটের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই নাখোদা মসজিদ। কলকাতার নাখোদা মসজিদ ভারতের বাংলাভাষী মুসলমানদের সর্ববৃহৎ উপাসনালয়। মোগল সম্রাট আকবরের সমাধির আদলে লাল বেলে পাথর আর আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি এই মসজিদই অবিভক্ত বাংলার সবচেয়ে বড় মসজিদ ছিল। ১০০ ফুট উচ্চতার ২৫টি ছোট মিনার, ১৫০ ফুট উচ্চতার দু’টি বড় মিনারসহ দুর্লভ গ্রানাইট পাথর দিয়ে নির্মিত সুবিশাল দ্বিতল চাতালে সজ্জিত হয়েছে এই মসজিদ। মূল ভবনে একসঙ্গে ১৫ হাজার মুসলিম নামাজ আদায় করতে পারেন। ঈদের দিনে চাতালগুলোর ভরপুর সমাগমে লাখের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়। গ্রানাইট পাথর এনে ইন্দো-সেরাসেনিক পদ্ধতিতে সম্পাদন করে এই সুবিশাল নির্মাণযজ্ঞ। শ্বেতপাথরে গড়া মসজিদের ভেতরের অংশ তাজমহলের কথা মনে করিয়ে দেয়। মসজিদের প্রধান ফটক বানানো হয়েছে মোগল সম্রাট আকবরের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত ফতেপুর সিক্রির বুলন্দ দরওয়াজার আদলে। নাখোদা মসজিদ স্থাপত্যের দিক থেকে এক বিস্ময়। সূক্ষ্ম অলংকরণ, শৈল্পিক কল্পনার এক অনন্য নিদর্শন। সাদা মার্বেলের দেয়াল, বেলজিয়াম কাচ, বিশাল নামাজের জায়গা, দাঁড়িয়ে থাকা পুরনো কাঠের ঘড়ি। দেয়ালের ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে মুসলিম ঐতিহ্য ও ইতিহাসের গন্ধ। ভারত সরকার ২০০৮ সালে মসজিদটিকে হেরিটেজ বিল্ডিং বা ঐতিহ্যবাহী ভবনের মর্যাদা দিয়েছে। বর্তমানে এটি শুধু মুসলমানদের উপাসনালয়ই নয়, পর্যটকদের কাছেও এটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। নাখোদা একটি ফার্সি শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ হল জাহাজের ক্যাপ্টেন বা জাহাজ যোগে আমাদানি রফতানি ব্যবসা করে থাকেন এমন মানুষ । বিভিন্ন পুস্তক বা ইতিহাস ঘেঁটে নাখোদা সম্বন্ধে যা ইতিহাস পুনরুদ্ধার করা যায় তা হল গুজরাটের কচ্ছ নামে একটা জায়গাতে কিছু সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিমরা বসবাস করতেন।যাদের এক কথায় “কাচ্ছি মেমন জামাত” বলা হয়ে থাকে। সেই সময় তাদের নেতা আব্দুর রহিম ওসমান ছিলেন পেশায় সমুদ্র বণিক। তিনি ১৯২৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিটের সংযোগস্থলে চিৎপুরে এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আব্দুর রহিম ওসমান তাঁর উপার্জিত টাকা দিয়ে এই মসজিদটির নির্মাণ শুরু করেন।তৎকালীন সময়ে ১৫ লাখ টাকা নিনাখোদা একটি ফার্সি শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ হল জাহাজের ক্যাপ্টেন বা জাহাজ যোগে আমাদানি রফতানি ব্যবসা করে থাকেন এমন মানুষ । বিভিন্ন পুস্তক বা ইতিহাস ঘেঁটে নাখোদা সম্বন্ধে যা ইতিহাস পুনরুদ্ধার করা যায় তা হল গুজরাটের কচ্ছ নামে একটা জায়গাতে কিছু সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিমরা বসবাস করতেন।যাদের এক কথায় “কাচ্ছি মেমন জামাত” বলা হয়ে থাকে। সেই সময় তাদের নেতা আব্দুর রহিম ওসমান ছিলেন পেশায় সমুদ্র বণিক। তিনি ১৯২৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিটের সংযোগস্থলে চিৎপুরে এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আব্দুর রহিম ওসমান তাঁর উপার্জিত টাকা দিয়ে এই মসজিদটির নির্মাণ শুরু করেন।তৎকালীন সময়ে ১৫ লাখ টাকা নির্মাণ খরচ বহন করেছিলেন যার বর্তমান মূল্য অনেক, প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা ,যেহেতু তিনি পেশায় একজন বণিক,বা ব্যবসায়ী ছিলেন, তাঁর নামানুসারে এই মসজিদটির নামকরণ হয়।নির্মাণ খরচ বহন করেছিলেন যার বর্তমান মূল্য অনেক, প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা ,যেহেতু তিনি পেশায় একজন বণিক,বা ব্যবসায়ী ছিলেন, তাঁর নামানুসারে এই মসজিদটির নামকরণ হয়।
অনেকেই বলেন, নাখোদা মসজিদ লাগোয়া চিৎপুর রোডের প্রতিটা কোণে কোণে পাওয়া যায় বাদশাহি মেজাজ৷ সুতোর কাজ করা জামাকাপড় থেকে শুরু করে সুরামা, আতর, অম্বুরি তামাক, মোগলাই খানা– যেন সময় থমকে আছে৷ কলকাতার নাখোদা মসজিদটি পরিদর্শন করতে আপনি সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যে কোনও সময়ে যেতে পারেন। এর জন্য কোনও প্রবেশমূল্যের বা টাকার (রুপি`র)প্রয়োজন হয় না সম্পূর্ণ ফ্রী। না-খোদা মসজিদ এখানে এক সঙ্গে প্রায় ১১ হাজার মুসল্লি এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন।
কেনাকাটার নিরাপদ মার্কেট : উত্তর কলকাতা নাখোদা মসজিদের মার্কেট। এই মসজিদ মার্কেটে গোটা কলকাতায় এখানেই মেলে হরিণের কস্তুরীর থেকে তৈরি আতর। মিষ্টি জর্দার বড় বাজার এখানে থেকেই শুরু। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তুরস্ক থেকে আসা নকশী করা নামাজি টুপির বড় মার্কেটও এখানেই। দেশি-বিদেশি পাঞ্জাবী, সেরওয়ানি, বোরখা, ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলাধীন রুহিতপুরী লুঙ্গির পাইকারি ও খুচরা বাজারও তবে না চিনে এসব কিনলে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকে। শুধু পোশাক-আশাক নয়, কলকাতার সবচেয়ে বড় বাদ্যযন্ত্রর মার্কেটও এখানেই। সেই হিসেবে বলাই যায়, মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন নিজের অজান্তেই প্রদক্ষিণ করে চলেছে হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে পর্যটকের দল। আর যাকে কেন্দ্র করে এতো আয়োজন, সে সাজবে না তাই হয়! ইতিহাসের পাতার আর এক অধ্যায়, ঈদের আগে নতুনভাবে সেজে ওঠে প্রতিবার। যার নাম নাখোদা মসজিদ। বিস্তারিত দ্নিতীয় পর্বে।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কুখ্যাত ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির আদালত প্রখ্যাত মুসলিম নেতা এবং পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুবকরকে কারাগারে তার স্বাস্থ্যের অবনতির পর অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দিতে অস্বীকার করেছে। ৭০ বছর বয়সী মুসলিম নেতা বর্তমানে কঠোর আইন, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) এবং এনআইএ আইনের বিধানের অধীনে এনআইএ দ্বারা তদন্ত করা একটি মামলার জন্য নয়াদিল্লির তিহার জেলে বন্দী রয়েছেন। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট অবশ্য তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে আবুবকরকে চিকিৎসার জন্য দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে। এনআইএ বিশেষ বিচারক শৈলেন্দর মালিক তার আদেশে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন যে পিএফআই নেতাকে এখন পর্যন্ত তার সমস্ত চিকিৎসা নথি এবং তদন্ত স্ক্যান রিপোর্ট সহ এইমস হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে যাতে তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা, তার সমস্ত চিকিৎসার জন্য ডায়েট প্ল্যান দেওয়া যায়। এইমস হাসপাতালে অসুবিধা। তার পিটিশনে, পিএফআই নেতা বলেছেন যে তিনি ক্যান্সারের একটি বিরল রূপ - গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল জংশন অ্যাডেনোকার্সিনোমা - এবং পারকিনসন রোগ সহ গুরুতর চিকিৎসা রোগে ভুগছেন। ই আবুবকর ৬ অক্টোবর থেকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। পিএফআই-এর সাথে যুক্ত শত শত মুসলিম কর্মী সহ সংগঠনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে, কঠোর ইউএপিএ -এর অধীনে গ্রেপ্তার হয়েছিল এবং ভারত জুড়ে জেলে বন্দী ছিল। ২৮ সেপ্টেম্বর, ভারত ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রিহ্যাব ফাউন্ডেশন, কেরালা সহ পিএফআই এবং এর সহযোগীদের পাঁচটির জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। বছর ই আবুবকর এই সমস্ত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বা পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ভারতের কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১২ মার্চ) ভোরে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সেখানে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, ভোর সাড়ে ৪টায় ৫ নম্বর মির্জা গালিব স্ট্রিটের (ফ্রি স্কুল স্ট্রিট) ওই হোটেলে আগুন লাগে। দোতলা থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে।
হোটেলটির এক কর্মী জানান, প্রথমে রিসিপশনে (অভ্যর্থনা কক্ষ) আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য কক্ষে। এসময় কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। একে একে অন্তত ১০ থেকে ১২টি কক্ষ পুড়ে যায়। ওইসব কক্ষে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। সেখান থেকে শামীমাতুল আরশ (৬০) নামের এক বৃদ্ধা ছাড়া সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তিনি বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে।
এছাড়া দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। তার নাম মেহতাব আলম (৪২)। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ভারতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত সোমবার থেকে বাস চালুর অনুমোতি দেয়া হলেও ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বন্ধ ছিল বেসরকারি বাস চলাচল।
ভাড়া বৃদ্ধি-সহ বেশ কিছু দাবি-দাওয়ার সুরাহা না হওয়ায় অধিকাংশ বেসরকারি বাস এত দিন রাস্তায় নামেনি। অবশেষে আগের অবস্থান থেকে সরে এসে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আপাতত পুরনো ভাড়াতেই বাস নামাতে রাজি হয়েছে সব মালিক সংগঠন। যত আসন, তত যাত্রী—এই নিয়মেই বাস চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, তারা বৃহস্পতিবার থেকে ধাপে ধাপে বাস চালু করছে।
জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আমাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বৃদ্ধির কমিটি গঠন, বাস-মালিকদের কর ছাড়, চালকদের জন্য স্বাস্থ্য বিমাসহ বেশ কিছু দাবি আছে আমাদের। মন্ত্রী বিবেচনার আশ্বাস দেয়ায় আমরা এখন পুরনো ভাড়াতেই বাস চালাতে রাজি হয়েছি।
তবে বাস-মালিকেরা জানাচ্ছেন, বহু চালক ও কর্মী নিজ জেলায় আটকা পড়েছেন। ট্রেন না চলায় তারা কী ভাবে আসবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাস চালানোর ক্ষেত্রে ভীতিও কাজ করছে অনেকের মধ্যে।
বুধবার কলকাতার সব রুটে সরকারি এসি বাসও চালু হয়েছে বলে জানান পরিবহনমন্ত্রী। লোকাল ট্রেনের অভাব মেটাতে এসবিএসটিসি ধর্মতলা থেকে চুঁচুড়া, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, বালি, ডানলপ, মানকুণ্ডু বৈদ্যবাটী-সহ শহরতলির বেশ কিছু রুটে বাস চালাতে শুরু করেছে।
পরিবহনমন্ত্রী জানান, সোমবারের তুলনায় হয়রানি অনেক কমেছে। এখন বাসের জন্য দাঁড়াতে হচ্ছে অনেক কম। মন্ত্রী বলেন, এ দিন বৃহত্তর কলকাতায় সরকারি বাস ছিল ৭৫০টি। চলেছে ৪৫০টি বেসরকারি বাসও।
৮ জুনের মধ্যে ১২০০টি সরকারি বাস নামাব। সব বেসরকারি সংগঠন বৃহস্পতিবার বাস নামালে সমস্যা আরও কমে যাবে। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের টিটো সাহা জানান, তারা এ পর্যন্ত ২০টি রুটে বাস চালিয়েছেন। আগামী সোমবারের মধ্যে বাস চালানো হবে ৫০টি রুটে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : করোনা আক্রান্ত সন্দেহে অশীতিপর এক নারীকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিল তার ছেলে। ভারতের তেলেঙ্গানার বাসিন্দা কাট্টা শ্যামলয়া মহারাষ্ট্র থেকে শুক্রবার নিজের বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সন্দেহে ওই নারীকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি তার ছেলে। শুধু বাড়ি ঢুকতে বাধা নয় স্ত্রীকে নিয়ে ভেতর থেকে দরজায় তালা আটকে রাখে। ফলে বৃদ্ধা উপায় না পেয়ে ব্যাগ নিয়ে বাড়ির বাইরে রাস্তায় বসে পড়েন।
জানা যায়, ওই নারী শুক্রবার দুপুরের আগে বাড়িতে ফিরলেও ছেলে ও পুত্রবধূ তাকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন। তিনি জানান, ওখানে সরকারিভাবে তার করোনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া অন্য ঘরে একা থাকবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ছেলে ও পুত্রবধূকে রাজি করিয়ে ঘরে ঢুকতে ব্যর্থ হন তিনি। উপায় না পেয়ে বাড়ির পাশে রাস্তায় বসে পড়েন তিনি। প্রতিবেশীরা কিছু খাবার ও পানির ব্যবস্থা করে দেয়। এই খবর শুনে স্থানীয় কাউন্সিলর পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। বৃদ্ধার ছেলেকে বুঝিয়ে মাকে ঘরে ফিরিয়ে নিতে রাজি করালে অবশেষে ঘরে ঢোকার অনুমতি মেলে তার।
এ ব্যাপারে তার ছেলে বলেন, ঘরে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের কারণে তিনি এটা করেন। তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃদ্ধার দেহে করোনার কোনো উপস্থিতি ছিল না। তারা তার ছেলেকে এটা নিশ্চিত করেন। এছাড়া আরও বলেন, যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে ফের তার করোনা পরীক্ষা করানো হবে তার।
দুই মাস আগে ওই বৃদ্ধা মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে করোনা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ দেশজুড়ে লকডাউন জারি করলে তিনি সেখানে আটকা পরেন। সম্প্রতি অন্য রাজ্যে আটকে পড়াদের ঘরে ফেরার অনুমতি দিলে তিনিও বাড়ি ফেরেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গতকাল কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে ট্রাফিক সিগন্যাল। কলকাতার অন্তত ১৮টি জায়গায় গাছ পড়ে গেছে। দিঘা, রামনগর, মন্দারমনি, কাঁথি, হলদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। মন্দারমনিতে কয়েকটি হোটেলে জল ঢুকে গেছে।
ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যায় দিঘা উপকূলে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কার্যত লন্ডভন্ড দশা এখন দিঘার। ঝড়ের দাপটে দিঘা রেলস্টেশনের করোগেটেড শিট (চাল) উড়ে গেছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। এরইমধ্যে আম্পানের প্রভাবে উপকূলে প্রবল ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ঘূর্ণিঝড়টি ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে রয়েছে। বুধবার (২০ মে) বিকেলে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার বেগে আম্পান স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
এমনকি তা ১৮৫ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের তিন জেলা থেকে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া নবান্নে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এখনও জারি রয়েছে লকডাউন। সাধারণ মানুষকে গৃহবন্দি রাখার জন্য এই উদ্যোগ বিভিন্ন দেশের সরকারের। কিন্তু তা সত্ত্বেও কে শোনে কার কথা? দিব্যি চোর-পুলিশ খেলা করছেন লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গকারীরা। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যে কতটা প্রয়োজনীয়, সে বিষয় অজানা নয় কারো। অথচ যারা সামাজিক দূরত্ব বজায়ের প্রয়োজনীয়তার বিন্দু বিসর্গও জানে না সেই বানরেরা দিব্যি মেনে চলছে নিয়ম। আপনার অবাক লাগলেও সম্প্রতি এমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা গেছে, নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখেই দিব্যি খাওয়া-দাওয়া করছে তারা।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এই ছবিটি টুইট করেন। তাতে দেখা গেছে একজন যুবক কিছু তরমুজ কেটে বানরের হাতে দিচ্ছেন। রাস্তার একাংশ জুড়ে বসে রয়েছে বেশ কয়েকটি বানর। তবে প্রত্যেকেই নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে বসে আছে। তারা এক এক করে হাত বাড়িয়ে ওই তরমুজ নিচ্ছে। এভাবেই কলাও নিয়েছে তারা। কোনও তাড়াহুড়ো না করে দিব্যি দূরত্ব বজায় রেখে খাবার খাচ্ছে বানরেরা। অরূপ কালিতা নামে এক ব্যক্তি অরুণাচল প্রদেশের ভালুকপংয়ে এই ছবিটি তোলেন। সেই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। চোখের নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। লাইক, কমেন্টের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে।
কিরেণ রিজিজুর পোস্ট করা ছবি নিয়ে রীতিমতো হইচই। নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে ছবিতে দেখতে পাওয়া বানরগুলো। অনেকেই অবাক হয়ে লিখেছেন, “বানরেরা তো সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কে কিছুই জানে না। তা সত্ত্বেও কীভাবে তা বজায় রাখছে তারা?” কেউ কেউ আবার বলছেন, “মানুষের থেকে জীবজন্তুরা যে অনেক বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীব, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ ছবি যেন আরও একবার তা প্রমাণ করে দিল।”
সাধারণ মানুষকে লকডাউনের জন্য বোঝাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। তা সত্ত্বেও নিয়ম মানতে নারাজ তারা। অথচ বানরেরা কিছু না জানা সত্ত্বেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে। প্রশ্ন উঠছে, অবলা পশুদের থেকেও কি কোনও শিক্ষা নিতে পারি না আমরা? করোনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কিন্তু আর কবে হুঁশ ফিরবে সকলের, মাথাচাড়া দিচ্ছে সেই প্রশ্নও।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৩৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট মৃত ২৭৩ জন। গেল ২৪ ঘণ্টায় ৯০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বরাতে এনডিটিভি বিষয়টি জানিয়েছে।
শনিবার ১৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই তিনি ইঙ্গিত দেন দেশব্যাপী চলতে থাকা লকডাউন আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানোর। করোনার সংক্রমণ রুখতে গেল ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয় ভারতজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন। ২১ দিনের লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ১৪ এপ্রিল। তার আগেই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সিদ্ধান্ত এলো।
এদিকে লকডাউনে দেশটির অর্থনীতি আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জীবন বাঁচাতে লকডাউনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্বের নানা প্রান্তে এই পর্যন্ত ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৩১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৮২৮।
|
|
|
|
মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেয়া ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা। তারা বলেছেন, এই ভাষণ দুই সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, মোদির ভাষণ দুই দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে এই সম্পর্কের বন্ধন তৈরি হয়। এই সম্পর্ক উভয় দেশকে রক্ষা করতে হবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভাষণ দিয়েছেন আমি তাকে সাধুবাদ জানাই। এর আগে তিনি মৃতপ্রায় সার্ককে উজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা উদ্যোগ নিয়েছেন। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অনেক প্রশংসার যোগ্য। উপমহাদেশের দেশগুলোকে এগিয়ে নিতে হলে ভারতকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পরস্পরের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। পরস্পর পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আরও সম্প্রসারিত ও ত্বরান্বিত করতে হবে। নরেন্দ্র মোদি, আপনার উদ্যোগ সফল হোক এবং মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক এবং উপমহাদেশের প্রতিটি দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের আহমদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর শতজন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১৩০ কোটি মানুষের দেশের প্রধানমন্ত্রী যে ভাষণ দিয়েছেন, আমি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে একজন মুজিব অনুসারী হিসেবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি তার বক্তব্যে জাতির জনককে ``শতাব্দীর অন্যতম মহান ব্যক্তিত্ব`` বলেছেন। তিনি বলেছেন, তার অনুপ্রেরণা আমাদের ঐতিহ্যকে বিস্তৃত করেছে। তিনি বাঙালি জাতির গৌরবকে, বাংলাদেশের মানুষকে সম্মনিত করেছেন। তিনি উন্নয়নের কথা বলেছেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে এরইমধ্যে পরিগনিত হয়েছে। আমার বিশ্বাস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতবাসীর পক্ষে যে ওয়াদা করেছেন আগামী দিনে বাংলাদেশ-ভারতের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের মধ্যে দিয়ে তা বাস্তবে রূপলাভ করবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্তের মধ্যে দিয়ে গড়ে উঠা যে সুসম্পর্ক তা অটুট থাকবে এবং সেই ক্ষেত্র তিনি তৈরি করবেন।
সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের ১৩০ কোটি লোকের পক্ষ থেকে আমাদের মহান নেতা এবং বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও সহানুভূতির উদাহরণ। তিনি মুজিব শতবর্ষে আমাদের জাতির জনককে সকল শুভ কর্মের উৎস হিসেবে অবহিত করেছেন। বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব সোনালী পর্বের জন্য দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু বন্ধন মোদি তা আরও দৃঢ় করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। তিনি ক্রীড়া, সংস্কৃতি, শিক্ষার আদান প্রদানের উপর জোর দিয়েছেন। বিশ্ব সভায় এই দুই দেশ একে অপরের হাত ধরে সমভূমিকায় উপস্থিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত অনেক গুরুত্ব দেয়। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে সে সম্পর্ক উচ্চ পর্যায়ে আছে। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে স্থল, নৌ, আকাশ পথে বাংলাদেশের যে কানেক্টিভিটি আছে তা ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুসম্পর্কের পরিচয় বহন করে। এ উপমহাদেশে বাংলাদেশকে যারা প্রতিহিংসার চোখে দেখতো তাদের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ক্ষেত্রে রোল মডেল।
|
|
|
|
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে আটকে পড়া ২৩ বাংলাদেশিকে দিল্লিতে ফেরত এনেছে ভারত। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে ভারতের অন্যান্য নাগরিকের সাথে বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকেও ফিরিয়ে আনা হয়। তাদেরকে আগামি দুই সপ্তাহ দিল্লীতের বিশেষ ব্যবস্থায় কোরান্টেনড করে রাখা হবে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উহান শহর থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে উহান শহরকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।
|
|
|
|
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ভারতের পাঞ্জাবের ‘কীর্তন’ উৎসবে বাজি বিস্ফোরিতে হয়ে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। শনিবারের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩০ জন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খবরে বলা হয়, পাঞ্জাবের তরণ তারণ জেলার পাহু গ্রামের কাছে ধর্মীয় উৎসব ‘নগর কীর্তন` উপলক্ষে আয়োজিত একটি মিছিলে বাজি বিস্ফোরণ হয়। ওই মিছিলের সঙ্গে থাকা একটি ট্রাক্টর ট্রলিতে বেশ কিছু বাজি বোঝাই করা ছিল। সেখানেই কোনো কারণে অগ্নিসংযোগ ঘটে। পাঞ্জাবের আইজিপি এসপিএস পারমার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।এদিকে এই ঘটনায় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আমারিন্দার সিং ।
|
|
|
|
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: বিগত কয়েক বছর থেকেই ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে গরু। প্রাণীটিকে নিয়ে হাস্যকর এবং বিতর্কিত মন্তব্যের অভাব নেই। সেই তালিকায় এবার নাম জড়ালেন ভারতের গোয়ার বিধায়ক চার্চিল আলেমাও। তার দাবি, গরু খেলে বাঘেরও শাস্তি হওয়া উচিত। মহাদায়ি অভয়ারণ্যে চারটি বাঘের মৃত্যু নিয়ে গতকাল বুধবার সরগরম হয়ে ওঠে গোয়া বিধানসভা।
বিষয়টি উত্থাপন করেন বিরোধী দলনেতা দিগম্বর কামাট। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই এক বাঘিনী ও তার তিন শাবককে পিটিয়ে মারে গ্রামবাসীরা। গ্রামে হানা দিয়ে বেশ কয়েকটি গরু মেরেছিল ওই বাঘিনী বলে অভিযোগ গ্রামের মানুষের। সেই বিষয়েই চলছিল তর্ক। তপ্ত বিতর্কের মাঝেই এনসিপি দলের বিধায়ক চার্চিল বলেন, “গরু খেলে বাঘেরও সাজা পাওয়া উচিত। মানুষ যদি গোমাংস খেলে শাস্তি পায়, তাহলে বাঘেরাই বা বাদ যাবে কেন?” এখানেই শেষ নয়, ওই বিধায়ক আরও বলেন, “পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীরা গুরুত্বপূর্ণ। তবে মানুষেরও গুরুত্ব রয়েছে। এই গোটা ঘটনায় মানুষের কথা আগে ভেবে দেখতে হবে।”
এদিকে, বিধানসভায় গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত জানিয়েছেন, রিপোর্ট মোতাবেক মহাদায়ি অভয়ারণ্যের পাশের একটি গ্রামে কয়েকদিন থেকেই হানা দিচ্ছিল বাঘ। বেশ কয়েকটি গরুও নিহত হয় বাঘের হামলায়। এতেই ক্ষেপে ওঠে গ্রামবাসীরা। তিনি আরও জানান, বাঘের হামলায় যারা গরু হারিয়েছেন, তাদের এককালীন আর্থিক সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, মানুষ ও বন্যপ্রাণীদের মধ্যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে সংঘাত। সংকীর্ণ হয়ে আসা জঙ্গল ও সভ্যতার অগ্রসনে কোণঠাসা হয়ে মানব বসতিতে হামলা চালাচ্ছে বাঘ, হাতির মতো প্রাণীরা।
|
|
|
|
নিউজ ডেস্ক
ভারতে দেশীয় পেঁয়াজের উৎপাদন অনেকটাই বেড়ছে। এরই মাঝে ধীরে ধীরে সেসব পেঁয়াজ বাজারেও আসতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাজারগুলোতে কিছুদিন আগ পর্যন্ত ১৩০ রুপি কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এখন দাম অপেক্ষাকৃত কম। সার্বিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছ থেকে বিদেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ নিতে চাইছে না অনেক রাজ্যই। ফলে আমদানি করা পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে মোদি সরকার।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সস্তায় পেঁয়াজ নিলেও বাকি রাজ্যগুলো আর কেন্দ্রের কাছ থেকে পেঁয়াজ নিতে চাইছে না। ফলে এরই মাঝে আমদানি করা পেঁয়াজ পচতে শুরু করেছে। অবস্থা এতোটাই বেগতিক যে বাংলাদেশকে শস্তায় পেঁয়াজ দিতে চাইলেও তাতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না দেশটির সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের উপভোক্তা সচিব অবিনাশ শ্রীবাস্তব জানান, দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকায় রাজ্যগুলোর আবেদন অনুযায়ী বিদেশ থেকে ৪২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় কেন্দ্র নিজ থেকেই তা কমিয়ে ৩৮ হাজার মেট্রিক টন করেছিল। এরই মধ্যে তিন দফায় ১৮ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে আফগানিস্তান, মিশর ও তুরষ্ক থেকে। তবে রাজ্যগুলি এখন আর পেঁয়াজ নিতে চাইছে না। আবার চুক্তি অনুযায়ী আমদানির অর্ডারও বাতিল করা যায় না। ফলে আমাদের হাতে এখন অতিরিক্ত পেঁয়াজ।
অবিনাশ শ্রীবাস্তব আরও জানান, যেসব রাজ্য এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পেঁয়াজ নিচ্ছে তাদের মাত্র ২২ রুপি কেজি দরে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিদেশি পেঁয়াজের মান, ভারতের মতো না হওয়ায় খুচরা ক্রেতারা আগ্রহী কম। সব মিলিয়ে বিদেশি পেঁয়াজ নিয়ে পস্তাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে আটক ৫৭ ‘বাংলাদেশি’কে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে পুশব্যাক করতে চলেছে ভারত সরকার। সম্প্রতি কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরুতে আটক আরও ৮২ জনকে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় ভারত। আটকদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ, ২৫ জন নারী ও ১০ শিশু।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ২৬ দিন ব্যাঙ্গালুরুর একটি হোমে আটক ছিলেন এই ৫৭ জন। শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তাদের ট্রেনে চাপানো হয়। পথে কেউ যেন পালাতে না পারে সে জন্য ব্যাঙ্গালুরু পুলিশের ৪০ জনের একটি দল পাহারা দিয়ে এনেছে।
ব্যাঙ্গালুরু পুলিশের দাবি, আটকদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জেরায় তারা নিজেদের বাংলাদেশি বলে স্বীকার করেন এবং কোনো কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশে করেছে।
পুলিশের দাবি, আটকদের ফোনকল ঘেঁটে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে তারা বাংলাদেশি। তাদের কাজের কথা বলে ভারতে নেয়া হয়েছিল। তাই তারা পাচার হয়ে এসেছে গণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রুজু করা হয়নি।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে আরও বলা হয়, ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ হাওড়ায় রেল পুলিশের হাতে আটকদের তুলে দেবে। তারা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছে দেবে। এরপর সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।
জানা গেছে, বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে এই ৫৭ জনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হবে। রাজ্য পুলিশ কর্তারা স্বীকার করেন, সম্প্রতি এত বড় সংখ্যায় বাংলাদেশি নাগরিকদের এভাবে এ রাজ্য দিয়ে ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে বলে তারা মনে করতে পারেন না।
এদিকে এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির মানবাধিকারকর্মী রঞ্জিত সুর। তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ ঘটনা। কর্ণাটক সরকার দেশের আইন-সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। কাউকে এভাবে পুশব্যাক করা যায় নাকি? কোনো মামলা নেই ওদের বিরুদ্ধে। পুলিশ কী করে নিশ্চিন্ত হলো ওরা বাংলাদেশি? ওরা পশ্চিমবাংলার বাঙালিও হতে পারে।’
তিনি বলেন, পুলিশকে বাংলাদেশি নির্ধারণের ক্ষমতা কে দিল? কোন আইনে? পুশব্যাকের অর্ডার কে দিল? কোর্টের আদেশ ছাড়া পুশব্যাক কখনওই করা যায় না। কর্ণাটক সরকার ফেরত পাঠাচ্ছে, তাতে সাহায্য করছে বাংলার সরকার। আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে দাবি করছি, এই পুশব্যাক বন্ধ করুন।
জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) আতঙ্কে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিনই ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে মানুষ। গত দুই সপ্তাহে দুই শতাধিক ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছেন খালিশপুরস্থ ৫৮ বিজিবির সদস্যরা।
বিজিবি বলছে, যারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এদের মধ্যে বেশির ভাগই মুসলমান। এরা এনআরসি আতঙ্ক ও স্থানীয় নির্যাতনে দেশ ছেড়ে চলে আসছেন। তারা আর ভারতে যাবেন না বলে বিজিবির কাছে জানিয়েছেন। সহায়-সম্বল নিয়ে তারা এদেশে চলে এসেছেন। তাদের আটকের পর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে আটকরা জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারে অপেক্ষমাণ আরও অসংখ্য নারী-পুরুষ। তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে সুযোগের অপেক্ষায়।
|
|
|
|
|
|
|
|