রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা নির্বাচন এলে ধর্মকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা চালায়।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হামলা ও সহিংস অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২০৬টি পরিবারের মাঝে এক কোটি টাকা সহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় সালানা জলসা মাঠে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রশাসন তৎপর ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। অযথা কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তা চান।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা ট্রাফিক পুলিশের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে ক্ষতিসাধন করে। ডিসি অফিস, এসপি অফিসে হামলার চেষ্টা করে। প্রশাসন তৎপর ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। এ সময় মন্ত্রী পুলিশকে হামলার ঘটনায় নিরীহ মানুষদের যেন হয়রানি করা না হয়, এ বিষয়টিও খেয়াল রাখতে বলেন।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জামিয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ মোবাশ্বের উর রহমান প্রমুখ।
এ সময় পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল লতিফ তারিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক, বোদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবি, বোদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশাসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসন। পরে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
|