কেরানীগঞ্জে তিন ফসলি কৃষিজমি দখলের অভিযোগে মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন শাক্তা ইউনিয়নের কাঠালতলী, চন্ডিপুর ও কলাতিয়া ইউনিয়নের বেলনাসহ এলাকার তিন ফসলী কৃষিজমি এবং সরকারি খাল-বিল-জলাশয় বেদখলের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, আবাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘মধুসিটি হাউজিং’ কোম্পানি এলাকার কৃষিজমি দখল করে বালু ভরাটের মাধ্যমে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে। এলাকার বেশিরভাগ সরকারি খাল-বিল-জলাশয়ও বেদখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে কোম্পানিটি। সরকারি খাল-বিল-জলাশয় উদ্ধার এবং কৃষিজমি রক্ষায় থানায় বহু মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। ভূমিদস্যুদের থাবায় কৃষিজমিহারা কৃষক, বসত-ভিটা হারানো নিরীহ মানুষ, স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সহস্রাধিক লোকজন ব্যানার নিয়ে এ মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কাঠালতলী, চন্ডিপুর ও বেলনাসহ এলাকার তিন ফসলী কৃষিজমি এবং সরকারি খাল-বিল-জলাশয় বেদখলকারী ‘মধুসিটি হাউজিং’য়ের মালিক দুই ভাই ছলিম উল্যাহ ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে ন্যায় বিচারের দাবি জানান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা`র ঘোষণা উপেক্ষিত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান মন্ত্রিপরিষদের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মন্ত্রিপরিষদের সচিব বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কাছ থেকে তিন ফসলি জমিতে উন্নয়ন ও স্থাপনা তৈরির কাজের জন্য আবেদন পাওয়া যাচ্ছে। সোলার প্যানেল থেকে শুরু করে ভবন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, কোনো তিন ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না এবং প্রকল্প নেওয়া যাবে না।
এগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।একইসঙ্গে এ ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মানববন্ধনে কৃষিবিদ মোসলেহ উদ্দিন ফারুক বলেন, ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কাঠালতলী, চন্ডিপুর ও বেলনাসহ প্রায় পুরো এলাকা কৃষিজমিহীন হওয়ার উপক্রম। সরকারি খাল-বিল-জলাশয়ও রেহাই পাচ্ছে না তাদের হাত থেকে। এতে শুধু এলাকার কৃষিজমিই হ্রাস পাচ্ছে না, এলাকার পরিবেশও মারাত্বক হুমকির মুখে পড়ছে। কৃষক মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, মধুসিটি জোর করে মানুষের বসতভিটা ও একের পর এক কৃষিজমি বেদখল করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে ভুয়া মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। অ্যাডভোকেট মাসুদ বলেন, নিজের কৃষিজমি ও বসতভিটা রক্ষায় স্থানীয়দের রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বেদখলকারীদের ভয়ে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। কৃষক সারোয়ার হোসেন বলেন, নামমাত্র মূল্যে জোর করে মানুষের কৃষিজমি দখল করে নিচ্ছে মধুসিটি। প্রতিবাদ করলে ‘মোটরসাইকেল বাহিনী’ নামক সন্ত্রাসী দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়। এতে সেখানকার কৃষকরা ভীতসন্ত্রস্ত। জমি হারানো সালাহউদ্দিন বলেন, রাতের আঁধারে বালু ফেলে স্থানীয়দের কৃষিজমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: dailyasiabani2012@gmail.com