অনলাইন ডেস্ক : ল্যাংড়া, ক্ষিরসাপাত, মল্লিকা, নাগ ফজলি শেষে নওগাঁর বরেন্দ্রর হাটে উঠতে শুরু করেছে আম্রপলি জাতের সুস্বাদু আম। মৌসুমের মাঝামাঝি সব জাতের আম গাছ থেকে নামানোর পর এক সাথে হাটে তোলায় কেনা বেচায় জমজমাট আড়ৎগুলো। গেল দু বছর আম বেচাকেনায় নানা কারণে লোকসান দিলেও এবার অনেকটা দ্বিগুণ দর পাওয়ায় দারুণ খুশি বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। বরেন্দ্রর সুমিষ্ট আম বিদেশের রপ্তানির সুযোগ চায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, বিদেশে রপ্তানি উপযোগী আম উৎপাদনে কাজ করছে তারা।
জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার বাগান থেকে পঞ্চম ধাপের আম নামানো হচ্ছে। ল্যাংড়া, খিরসাপাত, নাগ ফজলি মল্লিকা শেষে সব শেষ গাছ খেকে সুমিষ্ট জাতের আম আম্রপলি গাছ থেকে নামানোর পর হাটে তোলা হচ্ছে । মৌসুমের মাঝামাঝিতে পরিপক্ব আম এক সাথে হাটে তোলায় কেনাবেচায় জমজমাট আড়ৎগুলো। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা এসব আম কিনতে ভিড় করছেন জেলার সাপাহার আমের হাটে। এবার অনেকটা দ্বিগুণ দরে আম বিক্রি করতে পারায় বাড়তি লাভের আশা করছেন বাগান মালিকরা।
জেলার আড়ৎগুলোতে আম্রপালি ২৩শ থেকে ২৪শ টাকা, ল্যাংড়া ২২শ থেকে ২৩শ টাকা এবং মল্লিকা ও স্থানীয় জাতের আম ১৪শ থেকে ১৬শ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হচ্ছে।
নওগাঁর সাপাহারের আম ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সাহা বলেন, এখন আমের দাম মণে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি। বর্তমানে এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসেছে।
বরেন্দ্র’র সুস্বাদু জাতের আম বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সরকারের সহায়তা চান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
নওগাঁর সাপাহারের উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী বলেন, এটা আমরা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার করতে পারলে আমরা একটা ভালো ফলাফল পাব বলে মনে করি।
পোরশা উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মুনজুর মোরশেদ বলেন, আমাদের হিমসাগর ও খিরসাপাত যেভাবে জিআইএ সার্টিফিকেট পেয়েছে সেভাবে যাতে আমাদের ল্যাংড়া আমটাও সার্টিফিকেট পায় সেই ব্যবস্থা করার জন্য আমি তাদের দৃষ্টি কামনা করছি।
বিদেশে রপ্তানি উপযোগী নিরাপদ ও গুণগত মানের আম উৎপাদনে কৃষি বিভাগ বাগান মালিকদের সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
নওগাঁর পোরশা উপজেলার কৃষি অফিসার মো. মাহফুজ আলম বলেন, কৃষি বিভাগের কৃষকরা যেই পরিচর্যা করেছে তাতে কৃষকরা খুশি, কৃষি বিভাগ খুশি এবং দেশবাসী নিরাপদ আম খেতে পারছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার ১৯ হাজার হেক্টর জমির আম বাগান থেকে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
|