বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * জিম্মি নাবিক-জাহাজ উদ্ধার নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী   * নোয়াখালীর সেই পুকুরে মিলল একশ ইলিশ   * পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার টিকিট বিক্রি শেষ ৪ ঘণ্টায়   * একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন   * ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড আলফাডাঙ্গার ২৪ গ্রাম   * ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ১৫ ফেরি ও ২০ লঞ্চ   * ময়মনসিংহে বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত   * মস্কো হামলায় এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ: রিপোর্ট   * নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু   * যুক্তরাষ্ট্রে সেতু ধস : শেষ সময়ের সতর্কবার্তায় বাঁচে বহু প্রাণ  

   ইসলাম
  ইসলামে মাতৃভাষার মর্যাদা
 

মিয়া আবদুল হান্নান : ভাষা আল্লাহর এক অনুপম নিদর্শন। বর্ণ, শব্দ, বাক্য, উচ্চারণে নানা বৈচিত্র্য বিদ্যমান। যা মুসলমানের জন্য শিক্ষণীয়। ভাষায় আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব ফুটে ওঠে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এবং তার নির্দেশনাবলির মধ্যে রয়েছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। (সুরা রুম-২২)। অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘দয়াময় আল্লাহ, শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন। সৃজন করেছেন মানুষ। শিক্ষা দিয়েছেন ভাষা। (সুরা আর-রহমান, ১-৪)।

আমাদের মহানবির (সা.) ভাষা ছিল সর্বাধিক সুফলিত। তিনি বলতেন, ‘আরবদের মধ্যে আমার ভাষা সর্বাধিক সুফলিত। তোমাদের চেয়েও আমার ভাষা অধিকতর মার্জিত ও সুফলিত। তাই মাতৃভাষার চর্চা, বিশুদ্বভাবে বলা রাসুলের (সা.) সুন্নত।’ ইসলামের প্রসারে, দীনের দাওয়াতের অন্যতম মাধ্যম ভাষা। সুন্দর, শুদ্ধ ভাষায় মানুষকে বোঝানো সম্ভব। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে বিজ্ঞানসম্মত ও উত্তম ভাষণ দ্বারা আহ্বান করো এবং তাদের সাথে সদ্ভাবে আলোচনা করো।’ (সুরা নাহল-১২৫)।

স্বজাতির ভাষা যা; সে ভাষায় ভাষাভাষি করে আল্লাহপাক রাসুল পাঠিয়েছেন। এতেই বোঝা যায়, মাতৃভাষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষি করে পাঠিয়েছি তাদের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।’ (সুরা ইবরাহীম, আয়াত-৪)।

হজরত ঈসার (আ.) ওপর ইনজিল কিতাব তার মাতৃভাষা হিব্রুতে নাজিল হয়েছিল। তাওরাত সুরিয়ানি ভাষায় নাজিল হয়। সুরিয়ানি ছিল হজরত মুসার (আ.) মাতৃভাষা। শুধু মাতৃভাষা নয়, অন্য ভাষা শেখা ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। প্রখ্যাত সাহাবি হজরত জায়েদ ইবনে সাবিত আনসারি (রা.) ইয়াহুদি, খ্রিষ্টানদের ভাষা শিখেছেন। তাকে দিয়ে রাসুল (সা.) ইয়াহুদি, খ্রিষ্টানদের চিঠি লেখাতেন। আবার ইয়াহুদি, খ্রিষ্টানদের চিঠি তিনি পড়ে শোনাতেন। (বুখারি-২৬৩১)।

দ্বীনের দাওয়াতের জন্য ভাষা শিক্ষা জরুরি। মুসা (আ.) তার ভাষিক জড়তা দূর করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। ‘হে আমার রব, আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন এবং আমার কাজ সহজ করে দিন। হে আমার রব, আমার জিহ্বা থেকে জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সুরা ত্বহা-২৫-২৮)।

হজরত হারুন (আ.) খুব সুন্দর স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতেন। মানুষকে বোঝাতে পারতেন। হয়তো সে কারণে মুসা (আ.) তাকে সঙ্গী হিসেবে আল্লাহর কাছে চাইলেন। যখন তিনি ফেরাউনকে ইসলামের দাওয়াত দিতে যান। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে প্রভু, আমার ভাই হারুন আমার চেয়ে সুন্দর ও স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে। সুতরাং তাকে আমার সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবে প্রেরণ করুন।’ (সুরা ক্বাসাস-৩৪)। খারাপ, কদর্য ভাষা মুনাফিকের লক্ষণ। তারা যখন ঝগড়া-বিবাদ করে; তখন কদর্য ভাষা ব্যবহার করে।

হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যখন সে বিবাদে লিপ্ত হয়, সীমালঙ্ঘন করে কদর্য ভাষা ব্যবহার করে।’ (বুখারি-২৩২৭)। কারো সঙ্গে মতের অমিল হতেই পারে। তাই বলে নোংরা ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ। এটি কোনো মুমিনের কাজ হতে পারে না। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন কখনো দোষারোপকারী, অভিশাপদাতা, অশ্লীলভাষি ও গালাগালকারী হয় না।’ (তিরমিজি-২০৪৩)।

মুসলিমদের গালি দেওয়া স্পষ্ট ফাসেকি কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি (আল্লাহর অবাধ্য আচরণ) এবং তার সঙ্গে লড়াই-ঝগড়া করা কুফরি।’ (বুখারি-৬০৪৫, ৭০৭৬; তিরমিজি-১৯৮৩)। যত যা-ই হোক, ভাষা সংযত রাখতে হবে। এমন না যে, নোংরা ভাষায় কথা বললে আপনার মর্যাদা বাড়বে। তর্কে জিতবেন। বরং খারাপ ভাষা আপনার মর্যাদা কমিয়ে দিতে পারে।

ফেব্রুয়ারি মাস এলেই নয়, সারাবছর মাতৃভাষার চর্চা বাঞ্ছনীয়। মাতৃভাষার চর্চা অবশ্যই ইসলাম সমর্থিত একটি ভালো কাজ। তাই ঘরে-বাইরে সর্বত্র ভাষার ব্যবহারে যত্নবান হওয়া সময়ের দাবি।



সংবাদটি পড়া হয়েছে মোট : 169        
   শেয়ার করুন
Share Button
   আপনার মতামত দিন
     ইসলাম
১৭ তম রোজার ফজিলত : রমজানে একদিনের জন্য নবীগনের সমান সাওয়াব দেওয়া হবে
.............................................................................................
১৬ তম রোজার ফজিলত : আল্লাহ রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করেন
.............................................................................................
যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ ও মাকরুহ হয়
.............................................................................................
১৫ তম রোজার ফজিলত : রমজানের ১৫ রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলা হয় সমস্ত ফিরিস্তারা রোজাদারের জন্য দোয়া করে
.............................................................................................
১৪ তম রোজার ফজিলত : রমজানের ১৪ তারিখের রোজাদারদের হাশরের ময়দানে হিসাব- নিকাশ সহজ করা হবে
.............................................................................................
রমজানের ১৩ নম্বর রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলা হয় হাশরের ময়দানের সকল বিপদ থেকে নিরাপদ করা হবে
.............................................................................................
রমজানের ১২ তারিখের রোজার মাগফিরাতের দ্বিতীয় দিনের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয় হাশরের ময়দানে রোজাদারের চেহারা পূর্ণিমা চাঁদের মতো উজ্জল করা হবে
.............................................................................................
রমজান মাসের ১১ তম রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়-রোজাদারের মৃত্যু নবজাতকের ন্যায় নিষ্পাপ নিশ্চিত হয়
.............................................................................................
রহমতের ১০ দিনের বিদায় মাগফিরাতে রোজা শুরু ফজিলত দেখে নেওয়ার আমল
.............................................................................................
এবার ফিতরা কত, জানা যাবে বৃহস্পতিবার
.............................................................................................
নবম রমজানের ফজিলত নবী-রাসূলদের সাথে দাড়িয়ে ইবাদতের সমান সওয়াব দেওয়া হয়
.............................................................................................
রমজানের ফজিলত : রোজাদারের উপর ইবরাহীম আঃ এর মতো রহমত বর্ষণ
.............................................................................................
সপ্তম রোজার দোয়া ও ফযিলত : আল্লাহর স্মরণ করা মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় রহমত
.............................................................................................
রমজানে আল্লাহর ক্রোধ তোমার নির্দেশ অমান্য করার কারণে এই দিনে আমায় লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করো না
.............................................................................................
রমজান রহমতের পঞ্চম রোজা। রোজা মুসলমাদের ধর্মীর ৫টি স্তম্বের একটি
.............................................................................................
পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমা আজ
.............................................................................................
রমজানের চতুর্থ রোজা ফজিলত : আসমানি চার কিতাবের বর্ণ সমান সাওয়াব
.............................................................................................
রোজা রমজান পালনের অর্থ শুধু উপবাস করা বা অভুক্ত থাকা নয়
.............................................................................................
রমজান মুমিনের জীবনে বিশেষ বরকত নিয়ে আসে
.............................................................................................
রোজা রাখার যে স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেকেরই অজানা
.............................................................................................
Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale
Digital Load Cell
Digital Indicator
Digital Score Board
Junction Box | Chequer Plate | Girder
Digital Scale | Digital Floor Scale
Dynamic Solution IT
POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software
Accounts,HR & Payroll Software
Hospital | Clinic Management Software

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: dailyasiabani2012@gmail.com
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD